ভিডিওগ্রাফি( পছন্দের জায়গা )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
নদীর প্রতি ছোটবেলা থেকেই আমার একটা আগ্রহ ছিল। তবে আমার শৈশবে ঐভাবে আমার নদী দেখা হয়নি। পরবর্তীতে আমি ভর্তি হয় আমাদের উপজেলার সেরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ওখানে ভর্তি হওয়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া লাগত। মোটামুটি ৭০০-৮০০ ছেলে পরীক্ষা দিত এরমধ্যে ভর্তির সুযোগ পেত মাএ ৩০০ জন। আমাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে গড়াই নদী। আমাদের শহরে ঐ একটা নদী রয়েছে। কথাটা শোনার পরে আমি বেশ ভালোভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়। এবং ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিতভাবে ২২তম স্থান অর্জন করে ভর্তির সুযোগ পাই। সেই থেকে শুরু। ভর্তি হওয়ার পরে আমাদের বন্ধুদের প্রতিটা টিফিন পিরিয়ড কাটতো এই নদীর পাড়ে। আমাদের টিফিনের সময় ছিল ১ ঘন্টা ১০ মিনিট মতো। আমরা দ্রুত আমাদের টিফিন শেষ করেই চলে যেতাম নদীর পাড়ে।
শীতকালে খুব একটা পানি থাকত না নদীতে। ঐসময় নদীর মাঝ দিয়ে হেঁটে আমরা অনেক বার অপরপ্রান্তে চলে গিয়েছি। আবার টিফিন শেষ হওয়ার আগেই ফিরে এসেছি। তবে এই সৌন্দর্য আরও কয়েকগুণ বেড়ে যেত বর্ষাকালে। বর্ষাকালে পানিতে নদী একেবারে ভর্তি হয়ে যেত। ঐসময় ঐ চির যৌবনা নদীকে দেখে যেমন ভালো লাগত তেমন ভয়ও করতো। নদীর সে কী স্রোত। প্রায় প্রতিবছরই এই নদীতে কেউ না কেউ তলিয়ে যেত। মাধ্যমিক অধ্যায় শেষ হওয়ার পরে কলেজের ব্যস্ততায় বেশ অনেকদিন আর নদীর ধারে আমার যাওয়া হয়নি। তবে আবার যাতায়াত শুরু করেছিলাম বছরখানেক পরে। তবে সেটাও নিয়মিত ভাবে না। গতবছরের কথা এইটা। এক সকালে কোন একটা কাজে ঐ দিকে গিয়েছিলাম আমি। কাজ শেষ করে হঠাৎ কী মনে হলো চলে গেলাম নদীর পাড়ে।
হ্যা ঠিক ঐ জায়গাই যেখানে আগে টিফিন টাইমে বসে থাকতাম। সকালে সাধারণত খুব একটা মানুষ থাকে না। নিরিবিলে পরিবেশে আমি ওখানে বসে পড়ি। একটা অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছিল। আবার অনেকদিন পরে যেন আমি সেই অতীতে ফিরে গিয়েছিলাম। ঐদিন আমি এই ভিডিওটা ধারণ করেছিলাম। শীতের সময় হওয়াই নদীতে খুব একটা পানি ছিল না। আবার কুয়াশার আবেশ তখনও পুরোপুরি কাটেনি। আজ আবার ভিডিও টা খুজে বের করে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। আমরা চাইলেও কখনও আমাদের অতীত অস্বীকার করতে পারি না। আর এটা করা কখনও সম্ভব না। বরং আমাদের উচিত অতীত কে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। ।
------ | ------ |
---|---|
ভিডিও ধারক | @emon42 |
ডিভাইস | VIVOIVO 1820 |
সময় | ফেব্রুয়ারি,২০২৪ |
মিউজিক | পুরানো সেই দিনের কথা। |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/Emon423/status/1933831344939040839?t=C7_4DeoDv1EELAux6D9Mbg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1933831840688902487?t=0ADFA7sOzUA0m__pesaVpg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1933832345607606318?t=koOxh1kMsd1kkCNswWIhvg&s=19
নদীর পারে বেড়াতে এবং দেখতে খুব ভালো লাগে। নদীর পাড়ে থাকে খুব বাতাস এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই আমরা । আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে যেমন সুন্দর ছিল তেমনি ভিডিও গ্রাফিটি দেখেও বেশ ভালো লাগলো এবং তার সঙ্গে যে গানটি অ্যাড করেছেন গানটি অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
নদীর পাড়ে ঘুরতে আমার বেশ ভালই লাগে। আমিও প্রায়ই এমন সুন্দর জায়গায় ঘুরতে যাই। এমন সুন্দর জায়গা যেমন বাস্তবে দেখতে ভালো লাগে তেমন ফটোগ্রাফিতে দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে।। আর আপনি ফটোগ্রাফির পাশাপাশি এত সুন্দর একটি ভিডিও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।