ঘূর্ণিঝড়ে উপড়ে যাওয়া আমার অত্যন্ত ফেভারিট একটি আম গাছের বাস্তব কাহিনী // পর্ব-০২.

in আমার বাংলা ব্লগ8 months ago



হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।



আজ সোমবার। ২৯ ই জুলাই, ২০২৪ ইং।


আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।

IMG_20240527_101640_614.jpg



যাহোক এ বছরের প্রথমে যখন আম গাছে আমের মুকুল খুব একটা দেখা যাচ্ছিল না, ঠিক সেই সময় আমার ফজলি গাছের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার ফজলি আম গাছে অনেকগুলো মুকুল আসছে। তারপর আমার ফজলি আম গাছের প্রায় প্রতিটি ডালেই আমের মুকুল এসেছিল এবং প্রত্যেকটা আমের মুকুলে অনেকগুলো আমের গুটি এসেছিল। এরপর পরিমাণ মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এবং অতিরিক্ত তাপদহের কারণে আমার ফজলি আমগাছের অধিকাংশ ছোট ছোট ঝরে পড়ে যায়। প্রত্যেকদিন সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখতাম যে, পাড়ার ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা এসে ফজলি গাছের ঝরে পড়া আম কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।



এরপর হঠাৎ করে একদিন মাথায় এলো যে, আম গাছের গোড়ার চারপাশে কোদাল দিয়ে মাটি আগলা করে দিয়ে নিয়মিত সকাল বেলায় ও বিকেল বেলায় পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এরপর আমার ফজলি আম গাছের গোড়ায় সকালবেলা এবং বিকেল বেলায় প্রায় প্রতিদিন পরিমাণমতো পানি দিতে শুরু করেছিলাম। তারপর থেকে আমার ফজলি আম গাছের খুব কম আম ঝরে পড়েছে। আবার মাঝে মাঝে কয়েকদিন একটি স্প্রিং মেশিন দিয়ে পুরো ফজলি আম গাছে ঠান্ডা পানি স্প্রে করে গাছটি ভিজিয়ে দিতাম। এতে ফজলি আম গাছের পাতাগুলো দেখতে আরো বেশি সবুজ ও সতেজ লাগতো।



আমার ফজলি আমগাছটিতে এমন ভাবে যত্ন ও পরিচর্যা করার ফলে এ বছর প্রায় 200 থেকে 240 টি মতো ফজলি আম বড় হতে শুরু করেছিল। অর্থাৎ প্রায় 240 টি পরিমাণ ফজলি আম প্রায় বড়ই হয়ে গিয়েছিল। ফজলি আমগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত বড় হয়েছিল। এবং কয়েকটি আমের ওজন প্রায় আধা কেজির উপরে হয়েছিল। ছোট ফজলি আম গাছের ফজলে আমগুলো কাছে থেকে ও দূরে থেকে দেখতে বেশ সুন্দর লাগতো। ফজলি আম গাছের প্রায় চারপাশেই মোটা মোটা আম ঝুলে থাকতো এবং পাড়ার অধিকাংশ মানুষই আম গাছের পাশে দাঁড়িয়ে আম গুলো দেখতো।



পাড়ার অধিকাংশ মানুষই আমার ফজলি গাছের আম গুলো দেখে পরে জিজ্ঞেস করতো যে, আম গাছের মাথার ডাল ভাঙ্গা কেন? তখন আমি আমার ফজলি আম গাছ সম্পর্কে বিস্তারিত বলতাম এবং আমার কথাগুলো শুনে সকলেই বেশ বিস্মিত হতো। যাহোক আমার ফজলি আমগুলো যখন বড় হয়ে গেল ঠিক তখনই আমাদের মাঝে আসলো ঘূর্ণিঝড় রিয়াল,,,



প্রথম পরবর্তী পড়ার লিংক





আমার পরিচয়।

IMG_20220709_132030_108.jpg



আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।

১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।



Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 8 months ago 

আপনি যে পরিমাণে আম গাছের যত্ন নিয়েছিলেন, তাতে তো বোঝাই যাচ্ছে যে আম গাছটা উপড়ে যাওয়ার ফলে অনেক কষ্ট হয়েছে আপনার। যদিও ঘূর্ণিঝড়ে উপড়ে যাওয়ার কথা এখানে কোথাও লেখেন নি। আশা করি, পরবর্তী পর্বে সেই বিষয়ে বিস্তারিত লিখবেন। আসলে আমরা যে জিনিসটাকেই সবথেকে বেশি যত্ন করি, সেটাই আমাদের থেকে সবার আগে চলে যায়। যাইহোক, দেখা যাক পরবর্তী পর্বে বাকি তথ্য জানা যায় নাকি। অনেক ভালো লাগলো ভাই, আপনার শেয়ার করা এই গল্প টি পড়ে।

 8 months ago 

প্রথম পর্বটি পড়ার লিংক দেওয়া আছে,, প্রথম পর্বটি পড়লে বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন,, সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 8 months ago 

যেহেতু এই পোস্টের প্রথম পর্বটি পড়া হয়নি, এই জন্যই পরবর্তী পর্ব টি বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে যা আমি পরে বুঝতে পেরেছি ভাই।