পারিবারিক ঝগড়া-কলহ এবং শিশুদের উপর তার প্রভাব।
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজ আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করব। মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে পারিবারিক ঝগড়া-কলহ এবং শিশুদের উপর তার প্রভাব।

শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। বিশেষ করে বেশিরভাগ শিশুই তাদের বাবা মাকে অনুকরণ করে থাকে। তাদের আচার-আচরণ, কথাবার্তা, চালচলন, খাবার, রুচি, সব কিছুই তারা তাদের বাবা মায়ের কাছ থেকে শেখে। যাকে আমরা বলি পারিবারিক শিক্ষা।
একটি সভ্য পরিবারে বড় হওয়ার শিশুর আচরণের মধ্যে সভ্যতা প্রকাশ পায়। তার আচার-আচরণ, কথাবার্তায, চাল চলনে সভ্যতা ফুটে ওঠে। পরবর্তী জীবনে সে হয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসী। জীবনের সফলতার পথে সে এক ধাপ এগিয়ে থাকে। সফল মানুষের তালিকায় এদের সংখ্যাটাই বেশি।
কিন্তু কোন পরিবারে যদি ঝগড়া কলহ লেগে থাকে, তাহলে সেই পরিবারে সুস্থ মানসিকতা নিয়ে একটি শিশুর বেড়ে ওঠা অসম্ভব। কারণ, ছোটবেলা থেকেই সে কলহের মত বড় হয়। তার মনে এর নিধারুণ প্রভাব পড়ে। বড় হয়ে সেও সেই ঝগড়া করার মধ্যেই নিজের জীবন অতিবাহিত করে।
তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় যখন কোন শিশুর বাবা-মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তখন শিশুটি না পায় পরিপূর্ণ মায়ের আদর, না পায় পরিপূর্ণ বাবার আদর। তাকে ছোটবেলা থেকেই হতাশা গ্রাস করে ফেলে। সে তার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। জীবনে চলার পথে বারবার ধাক্কা খায়। কারণ, পর্যাপ্ত সমর্থন এবং সহমর্মিতা সে পায় না। যার কারণে সে সামনে এগিয়ে যেতে পারে না।
মানসিকভাবে সে হয়ে ওঠে অপরিপক্ক। যার কারনে অনেক কিছু সে বুঝতেও পারেনা। তার পক্ষে স্বাভাবিকভাবে জীবন ধারণ করা তাই অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। অনেকেই অবশ্য সে ধাক্কা সামাল দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ শিশু এই ধাক্কাটা সামাল দিতে পারে না। তারা একটা অসহ্য গড়পড়তা জীবন কাটায়।
বলা হয়, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কিন্তু সেই ভবিষ্যতের জন্য বর্তমানটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে এসব বিষয়ে অবশ্যই নজরদারি বাড়াতে হবে। পারিবারিক ঝগড়া কলহ শিশুর আড়ালে করা উচিত। কেননা, একটি সুস্থ স্বাভাবিক পরিবার একটি শিশুর ভবিষ্যৎকে আলোকিত করে তোলে। আর অসুস্থ পরিবার করে অন্ধকার।

Link 1: https://x.com/akib_66/status/1916534911353184540
Link 2: https://x.com/akib_66/status/1916535301964521777