দই মেলার ❤️ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি ❤️
হ্যালো
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো মজাদার দইয়ের ফটোগ্রাফি । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
দই অনেক জনপ্রিয় একটি পুষ্টিকর খাবার।অতিথি আপ্যায়নে বা আত্নীয়ের বাড়িতে গেলে আমরা দই রাখি পছন্দের তালিকায়। দইয়ের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। দই খেলে সাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।হাঁড়ও দাঁত মজমুত করে।ওজন কমায়।হজমের উন্নতি ঘটায়।চুল ভালো রাখে ইত্যাদি উপকারী এই দই।
পহেলা বৈশাখে ভরতখালি কালিবাড়ি গিয়েছিলাম আর মেলা ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম হঠাৎ সামনে পড়লো দইয়ের মেলা। অনেক টা এলাকা জুড়ে দই নিয়ে বসেছিলো দইওলারা আর তখনি কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছি।ভিডিও করছি জন্য বেশি ফটোগ্রাফি করা হয়নি। ভিডিও ও ফটোগ্রাফি করতে করতে স্মৃতিচারণ করে ফেল্লাম।
ছোট বেলায় যখন দিদুর সাথে মেলায় আসতাম তখন দিদু বাড়ি থেকে চিড়া মুড়ি,জলপান,মোয়া মুরকি নিয়ে আসতো মেলায় কালি পূজা শেষে খাওয়ার জন্য। কখনো কখনো বাড়ি থেকে দই আনতেন তবে বেশির ভাগ সময় মেলায় কিনতো দই ও সন্দেশ আর পূজা শেষে আমরা দই দিয়ে চিড়া,মোয়া, মুড়ি মজা করে খেতাম।দেখতাম সবাই সাথে করে নিয়ে আসতেন এসব খাবার আর মলায় দইয়ের খুঁটি কিনে খেতেন সন্দেশ দিয়ে। কত্ত কত্ত ভিক্ষারী আসতো এসব নিতে দিদু সবাইকে দিতেন এসব শুকনো খাবার।
কালের বিবর্তনে এখন দেখলাম সাথে করে কেউ আর এসব খাবার নিয়ে আসেন না কারণ এখন মন্দির প্রাঙ্গনেই নিরামিষ ভাতের হোটেল হয়েছে। এখন পূজা শেষে সবাই নিরামিষ ভাত কিনে খায়।
তবে আমরা এখনো বাড়ির খাবার নিয়ে যাই তবে তা চিড়া মুড়ি নয় লুচি তরকারি বা রুটি তরকারি। এবারও নিয়ে গিয়েছিলাম লুচি ও আলুর দম তবে অনেকেই আবার নিরামিষ হোটেলে ভাত খেয়েছে। আমরা খাইনি কারন আমরা মহিলারা সবাই মঙলচন্ডির ব্রত পালন করছিলাম।
দই গুলো দেখা দেখে লোভ লেগে ছিলো কিনবো কিনবো ভেবেছিলাম তবে কিনতে মনে ছিলো না।আমাদের বাংলাদেশে বগুড়ার দই বিখ্যাত আর গাইবান্ধায় দই আমাদের এলাকায় অনেক পাওয়া যায়।
তো চলুন দেখি একনজরে দইয়ের মেলার ভিডিওগ্রাফি।
সোর্স লিঙ্ক
এই ছিলো আমার আজকের সুন্দর দইমেলার দইয়ের ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি।
আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোষ্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
https://x.com/DattaShapla/status/1921991097825235406?t=QpeuPbt10myTM74O6nyF7Q&s=19
https://x.com/DattaShapla/status/1921992304140652963?t=aVNSePAl4F3fDfoVYwnI5A&s=19
আপনার এই পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বই মেলা সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি অবাক হলাম কারণ এর আগে কখনো আমি দই মেলা দেখিনি বা শুনিওনি। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম ধন্যবাদ।
আমি আগে কখনো এমন দই মেলার কথা শুনিনি তাই কখনো যাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি। তবে আপনার ফটোগ্রাফিতে এই দই দেখে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পড়ে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
আমাদের এখানে মেলায় দই মেলা হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।