বৈশাখী মেলার প্রথম পর্ব।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
এশো হে বৈশাখ, এসো এসো-
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে বৈশাখী মেলায় যাওয়ার প্রথম পর্ব শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আপনারা সবাই জানেন যে কিছুদিন আগে আমাদের দেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার বাংলা ভাষাবাসি দেশ গুলো বাংলা নববর্ষ পালন করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ভারত দুই দেশে নববর্ষ উপলক্ষে অনেক ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মেলার আয়োজন করা হয়। গ্রামের ভাষায় মেলাকে বান্নিও বলা হয়।
আমাদের নানারবাড়িতে খুবই জাগজমক ভাবে পহেলা বৈশাখের মেলা বা বান্নি পালন করা হয়। আমার শ্বশুর বাড়ির পাশেও ঐতিহ্যবাহী মেলা বসে। গ্রামের বান্নিতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। আজকে আমি এমনই এক ঐতিহ্যবাহী বান্নীতে ঘুরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি করার অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
তিতাস নদীর পারে বিশাল বড় এরিয়া নিয়ে মেলাটি বসেছে। দেখতে পাচ্ছেন কত মানুষ মেলাতে এসেছে। আশে পাশের দুই চার দশ গ্রাম থেকে এখানে মানুষ আসে। মেলা শুরু হওয়ার দুই চারদিন আগে থেকেই মেলার আয়োজন শুরু হয়। প্রতিবছর মেলার আগের দিন বা পরের দিন বৃষ্টি হয়। এই বছরও তার ব্যাতিক্রম হয় নি। সবাই ভেবেছে বৃষ্টি হওয়ার পরে মেলা ভেঙে যাবে, কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো বৃষ্টির আগে রোদের কারনে মেলাতে মানুষ কম ছিল। কিন্তু বৃষ্টির পরে ঠান্ডা বাতাসের কারনে মেলাতে মানুষের কারনে পা রাখার জায়গা ছিল না।
দেখতে পাচ্ছেন মেলাতে হরেক রকম জিনিসপত্র এসেছে। বাচ্চাদের আনন্দের জন্য নাগররদোলা, নৌকা, জাম্পিং, বেলুন সহ অনেক কিছু আছে। আবার বিভিন্ন ধরনের খেলনা উঠেছে যে গুলো মানুষ কিনে বাড়ি নিয়ে যায়। তারপর আরো আছে আর্টিফিশিয়াল জিনিসপত্র। আগে পরে দেখা যায় মেলাতে বাচ্চাদের জিনিসপত্রই বেশি থাকে। আর মেয়েদের কিছু কসমেটিকসের পন্য আসে।
মেলাতে ঘোরাঘুরি করে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছি। অনেকটা সময় সেখানে ব্যয় করেছি। আমি মেলা থেকে তেমন কিছু কিনি নাই। কারন সেখানে আমার প্রয়োজনীয় কিছু পায় নি। যা দেখেছি সব কিছুই বাচ্চাদের জিনিস। সে জন্য বাচ্চাদের কিছু খেলনা কেনা হয়েছে। বন্ধুরা আর কথা বাড়াবো না। এখনই বিদায় নিবো। সবাই ভালো থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ২৮.০৪-২০২৫ |
সময় | বিকাল -৪.৩০ মিনিট |
স্থান | তিতাস নদীর তীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া , ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1917165794523550012?t=0HxiLjfLmgrDfUjb9k-4WQ&s=19
অসাধারণ আয়োজন! বৈশাখী মেলার প্রথম পর্বের ছবিগুলো দেখে নিজেই যেন মেলার আমেজ পেয়ে গেলাম।বৈশাখী মেলা আমাদের ঐতিহ্যের অনন্য অংশ। এই আয়োজনে স্থানীয় শিল্প, সংগীত ও পোশাকের প্রতিফলন দেখে খুব গর্বিত লাগছে। স্থানীয় শিল্পীদের সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ।
জী ভাই দ্বিতীয় পর্বে চমক আছে। ধন্যবাদ।