কালাচাঁনের মেলার নবম ও অন্তিম পর্ব।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার ধারাবাহিক ব্লগ কালাচাঁনের মেলার নবম ও অন্তিম পর্ব শেয়ার করবো। আজকের পর্বে থাকবে বেশ কিছু বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের খেলনার ফটোগ্রাফি।

হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা আমি অনেকদিন যাবৎ আপনাদের সাথে আমার একটি মেলার ধারাবাহিক পর্বের ব্লগ শেয়ার করে আসতেছি। আজকে আমার সেই পর্বের সমাপ্তি ঘটবে। আমার কাছে সর্বশেষ ৮ থেকে ১০ টি ফটোগ্রাফি রয়েছে। আজকে যদি সেগুলো শেয়ার করতে পারি তাহলে কালা চাঁনের মেলার পর্ব শেষ হয়ে যাবে। যেহেতু মেলাটি প্রায় এক মাস যাবত ছিল, সেজন্য আমি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। এই কয়েকদিনে আটটি পর্বের মাধ্যমে আপনাদের সাথে সবকিছু শেয়ার করেছি।

মেলাটি শহরের সাইটে হওয়ার কারণে মোটামুটি অনেক ধরনের পণ্য উঠেছিল। অন্যান্য বছর অনেক জমজমাট হয়ে থাকে, তবে এই বছর রাজনৈতিক কারন দেশের পরিস্থিতির কারণে তেমন ভালোভাবে জমে ওঠেনি। তারপরও মোটামুটি অনেকগুলো শপ বসেছিল। অনেক মানুষের সমাগম হয়েছিল। বাণিজ্য মেলা সহ, জেলা ভিত্তিক উপজেলা ভিত্তিক, বিভিন্ন পাড়া মহল্লার মেলা গুলিতে গেলে মোটামুটি অনেক কিছু দেখা যায়। এসব মেলাতে নতুন ধরনের জিনিস আসে। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে। তো আজকে আমি বাচ্চাদের কিছু খেলনার ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আপনারা তো জানেন বিভিন্ন মেলাতে বাচ্চাদের জিনিসপত্র ছাড়া মেলা পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে না। বিশেষ করে মেয়ে মানুষ এবং বাচ্চাদের জিনিসপত্র মেলাতে বেশি থাকে।

মেলাতে বাচ্চাদের কত রকমের খেলনা উঠেছে, সেগুলো আমি মনে হয় ক্যালকুলেটর দিয়েও গণনা করে শেষ করতে পারবো না। এখানে রয়েছে বাচ্চাদের মোটরসাইকেল, গাড়ি, ভেকু, মাটির তৈরি বিভিন্ন প্রাণী। গরু ছাগল সিংহ বিভিন্ন ধরনের পুতুল সহ আরো অনেক কিছু। আসলে বাচ্চারা কখন কোনটা পছন্দ করে ফেলে সেটা কেউ বলতে পারে না। আর বাচ্চাদের খেলনা অনেক দাম। বাসার মধ্যে খেলনা থাকার পরেও একই রকম খেলনা আরো কিনতে চাই। আর দোকানদারগণ ঝুপ বুঝে কুপ মারার সুযোগের আশায় বসে থাকে।

আপনারা উপরের ফটোগ্রাফি গুলোতে দেখতে পাচ্ছেন কত সুন্দর ভাবে খেলনার পিস্তলগুলো সাজিয়ে রেখেছে। এসব খেলনার পিস্তল দেখলে ছোট বাচ্চারা কেনার জন্য কান্নাকাটি করা শুরু করে। যতক্ষণ পর্যন্ত মা-বাবা, বাচ্চার গার্জিয়ান সেগুলো কিনে না দিবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কান্না থামে না। এখন অনেক কিছু আধুনিক হয়েছে, পিস্তলের মধ্যে ব্যাটারি দিয়ে বিভিন্ন সাউন্ড সিস্টেম করে রেখেছে। যেগুলো দেখলে বাচ্চারা খুবই আকর্ষণ হয়।

বন্ধুরা এখানে আরো কিছু খেলনার ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। আপু ভাইয়েরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কত রকমের, কত ডিজাইনের কত খেলনা এখানে রয়েছে। যেটা দেখা হয় সেটাই পছন্দ হয়ে যায়। আর বাচ্চারা এগুলো দেখলে তো পাগল হয়ে যায়। প্রত্যেকটা খেলনা অনেক সুন্দর, সেই সাথে দামটাও অনেক সুন্দর। ছোট একটি খেলনা 200-400,500 টাকা দাম চাই। আবার দামও সহজে ছাড়তে চায় না। বাচ্চাদেরকে শান্ত করার জন্য বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দাম দিয়ে এসব খেলনা কিনতে হয়।

বন্ধুরা দেখতে পাচ্ছেন উপরের দুইটি ফটোগ্রাফি হলো আমার আজকের ব্লগের সর্বশেষ ফটোগ্রাফি। সেই সাথে আমার ধারাবাহিক পর্বের শেষ ফটোগ্রাফি। এখানে ছোট বড় প্লাস্টিকের লোহার কাগজের সব ধরনের খেলনা রয়েছে। শুনেছি খেলনা বিজনেসের মধ্যে মোটামুটি ভালো প্রফিট থাকে। এগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত মালিকের হাতে থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত এগুলো পচে না, নষ্ট হয় না। এ জিনিসগুলো দীর্ঘদিন গোডাউনে বা দোকানে রেখে বিক্রয় করা যায়। যার ফলে লস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।

তো বন্ধুরা দেখতে দেখতে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করে ফেললাম। সেই সাথে সুন্দর বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি সবার কাছেই ভালো লাগবে। সবগুলো ভাল লাগার জিনিস। আপনার আমার ছেলে মেয়ে ভাতিজা ভাস্তি ভাগিনা ভাগ্নি ছোট ভাই বোন সবার জন্যই আমরা খেলনা কিনে থাকি। এই খেলনা গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগে। আজকে আর কথা বাড়াবো না, এখান থেকেই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেব। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।