১ম পর্ব || সন্ধ্যায় ধূপকলা মেলায়!
13-04-2025
৩০ চৈত্র , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই হলো প্রথম কথা। তো ঈদের ছুটি শেষ হয়ে গিয়েছে কয়েকদিন আগেই। ঢাকা শহরে ইতোমধ্যে মানুষজন ফিরে এসেছে। তাদের কর্মজীবন শুরু হয়ে গিয়েছে। তো ঈদের পরে আমার বড়বোন আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল। কারণ হচ্ছে আমার ভাগ্নী মাওয়া নানু বাড়িতে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করেছিল অনেক। তারপর বাধ্য হয়ে আপুরা আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল। আসলে শহরে ঈদ করে তেমন আনন্দ পাওয়া যায় না। গ্রামে সবাই থাকে, ঈদ করতেও ভালো লাগে সেখানে। আমার ভাগ্নীর বয়সী অনেকেই আছে আমাদের বাড়িতে। এজন্য সে নানু বাড়ি যেতে সবসময় পাগল। যেমনটা ছোটবেলায় আমরা করতাম। ছোটবেলায় নানু বাড়ি যাওয়ার জন্য কতো কান্নাকাটি করতাম। কিন্তু এখন! দুই-তিন বছরেও নানু বাড়ি যাওয়া হয়না। নানুর বাড়ির ঈদ করার যে আনন্দ সেটা আর মনে আসে না। এখন বাড়িতেই আনন্দ খুঁজে ফিরি।
তো ভাগ্নীরা বাড়িতে আসছিল বেড়াতে। কয়েকদিন থাকার পরে ঢাকা ব্যক করতে হয়েছিল। কারণ ভাগ্নীর পরীক্ষা ছিল ১৩ তারিখে। আর আমার ভার্সিটিও খোলা ১৫ তারিখ থেকে। এজন্য আগেই ঢাকা চলে আসা। তো ঢাকা আসার সময় গেন্ডারিয়া ধূপকলা মাঠে রিকশা থেকে খেয়াল করেছিলাম মেলা বসেছে। তা দেখে ভাগ্নীর কান্না শুরু। তাকে মেলায় নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু যেহেতু জার্নি করে আসছিলাম তাই আর যাওয়া হয় না। তবে তাকে বলেছিলাম পরেরদিন মেলায় নিয়ে যাবো। তো গতকাল সন্ধ্যা বেলা তাকে নিয়ে চলে গেলাম মেলায়। আসলে ঢাকা শহরে এ মেলাগুলো আসলে ছোটদের জন্যই হয় বলা যায়। কারণ বাচ্চাদের খেলার জন্য যত ধরনের জিনিস আছে সবই উঠে সেখানে।
তো মেলার ভিতরে গিয়ে দেখলাম বেশ কিছু কসমেটিকস এর দোকান বসেছে। আমরা শুরুতে কিছুক্ষণ মেলা ঘুরে দেখলাম। তারপর দেখলাম বেশ কিছু নাগরদোলা ও বাচ্চাদের খেলা উঠেছে। দেখতে পেলাম নৌকার নাগরদোলা উঠেছে। সাধারণ যে নাগরদোলা রয়েছে সেগুলোও দেখতে পেলাম। আমার ভাগ্নী তো শুরুতেই নৌকার নাগরদোলায় উঠার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিল। তবে নৌকার নাগরদোলায় উঠে জীবনে একবার শিক্ষা পাইছি। মাথা তো পুরা ঘুরে। আর বাচ্চাদের নিয়ে উঠলো তো জীবন শেষ। তার উপর দেখলাম কিছু মেয়ে নৌকার নাগর দোলায় উঠে চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিয়েছে। আমার কথা হলো বুঝেশুনে তারপর নৌকার নাগরদোলায় উঠার দরকার ছিল। তারপর দেখতে পেলাম বাচ্চাদের জন্য মামা ওয়েফার উঠেছে। সেখানে একটু ভিন্নতা দেখতে পেলাম। মামার ওয়েফারে কি একটা মেশানোর পরে সেটাতে প্রচন্ড ধুয়া হয়। আমিও আগ্রহ করে একটা নিলাম। মুখে দিতেই দেখলাম অনেক ঠান্ডা লাগছিল। আর মুখ থেকে শ্বাস ফেলার সাথে ধুয়া বের হচ্ছিল। আমার ভাগ্নী তো বেশ খুশি হয়েছিল ধুয়ার মামার ওয়েফার খেয়ে। আমারও একটা নতুন এক্সপেরিয়েন্স হলো।
তারপর আমরা চলে গেলাম বাচ্চাদের জন্য বানানো স্লাইডার গেমে। যেখানে বাচ্চারা উঠে পিছলা খেয়ে নিচে নেমে পরছে। আমার ভাগ্নী তো দেখেই বায়না ধরলো সেও উঠবে স্লাইডারে! তোলার মতো স্লাইডারে দেখতে পেলাম অনেকবাচ্চা লাফালাফি করতেছিল। স্লাইডারে উঠার জন্য ৫০ টাকা দিয়ে একটা টিকিট কেটে নিলাম। স্লাইডারে জুতা খুলে উঠতে হয়। তো ভাগ্নীর জুতা খুলে টিকিট দেখিয়ে তাকে স্লাইডারপ উঠানো হলো। মাঝখানের দুইটা রাস্তা দিয়ে উপরে উঠে হয় তারপর দুদিক দিয়ে পিছলা দিয়ে নামতে হয়। আর এটাতেই বাচ্চারা অনেক আনন্দ পায়। আমার ভাগ্নী তো একের পর এক পিছলা দিয়ে নিচে নামছিল আর উপরে উঠে জাম করছিল। ছোট বাচ্চাদের হাসিখুশি দেখলেই ভালো লাগে। সেখানে পাচঁমিনিটের স্লাইডারে চড়ার পর ভাগ্নী নেমে। সে তো দেখি ঘেমে একদম শেষ। কারণ অনেকক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করেছিল।
চলবে,,,,
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | W3w |
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
[Twitter share](https://x.com/Emtiaz38/status/1911475884642697617?t=8N9IdZrOWDPT_2ZmWM4Maw&s=19
Puss tweet
Today's comment link:
https://x.com/Emtiaz38/status/1911358718857629775?t=erWjb56oV1RoJVT6wgbclA&s=19
https://x.com/Emtiaz38/status/1911468032544870576?t=j3gM_Wx54BYoknjATl0h_w&s=19