নতুন গাছের লিচু পাড়ার প্রথম অভিজ্ঞতা আমার বাংলা ব্লগ বাসীদের মাঝে শেয়ার
আজ - রবিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আপনারা জানেন 'সুমন মানেই নতুন কিছু, সুমন মানে উনি পোস্ট'।
হয়তো বর্তমানের আবহাওয়া সম্পর্কে আপনাদের সচেতন ধারণা রয়েছে। আমাদের এখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি জানলে আপনাদের খারাপ লাগতে পারে। বেশ কিছুদিন ধরে ঝড়-বৃষ্টি জনিত কারণে ঠিকমতো কারেন্ট থাকছে না। ওয়াইফাই লাইন পাই না। তবে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে বেশি একটা কারেন্ট থাকে না। আর ইন্টারনেটের অবস্থা তো খুবই বিরল, ঘর থেকে বাইরে আসার পরেও তেমন লাইন পাই না। ইন্টারনেট ভালো সার্ভিস পাওয়ার জন্য এই কয়টা দিন ধরে মাঠের মাঝখানে নিজেদের পুকুর পাড়ে বসে পোস্ট করার চেষ্টা করি। কিন্তু হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে আবার বাড়ির দিকে দৌড় দিতে হয়। গতদিনের ন্যায় আজকেও হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হওয়া তে পুনরায় বাড়িতে চলে আসা। যার জন্য ভাল পোস্ট রেডি থাকা সত্ত্বেও শেয়ার করা সম্ভব হচ্ছে না। কিছুদিন ধরে এভাবেই চলছে। যাইহোক অনেক কথা হলো, চলুন এবার রেসিপি বা ডাই পোস্ট নয়। নিজের নতুন গাছের লিচু পড়ার জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা শেয়ার করি,আর তার সাথে এক নজরে দেখে আসি ফটোগ্রাফি গুলো।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
নতুন গাছের লিচু পড়ার অভিজ্ঞতা
অপেক্ষার প্রহর গোনা বড়ই কঠিন, কোন কিছুর জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করা বড়োই ধৈর্যের ব্যাপার। দীর্ঘ ১৪ বছর আগে এই লিচু গাছটি লাগানো।
সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এবার অনেক লিচু ধরেছিল। নতুন লিচু তাই অনেক জনকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছি।
এই গাছের চারা যখন কিনেছিলাম একই সাথে আমার এক চাচাতো ভাই একটি চারা নিয়েছিল। অর্থাৎ উনার গাছ এবং আমার গাছ একইসাথে একই দিনে ক্রয় করা এবং লাগানো। উনার গাছটিতে অবশ্য আট বছর আগে থেকেই লিচু ধরে। তবে আমাদের অনেক দেরী করে ধরেছে। সবি সৃষ্টিকর্তার নেয়ামত।
এত বছর পরে গাছটিতে অনেকগুলো ধরেছিল। তাই পরিবারের সকল সদস্য অনেক খুশি। এবার যে অনেকগুলো লিচু ধরবে, কেউ কখনো কল্পনা করে নায়। সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজার শুকরিয়া।
তবে আমার জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো হয়েছিল লিচু ধরে🤗 স্কুল থেকে বাড়ি এসে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানো জায়গাটিতে বসে পড়তাম। লিচু গাছটি তার পাশে হওয়ায় একথুকা করে লিচু পেড়ে নিতাম এবং চৌকির উপর শুয়ে বসে একটি একটি করে লিচু বিনিয়ে খেতাম🤫। এছাড়া তেমন টাইম পেতাম না। এর ফলে অনেক লিচু নষ্ট হয়েছে। বাড়িতে লিচু পেড়ে খাও মত মানুষও তেমন নেই। যা পেড়ে দেওয়ার আমাকে দিতে হতো।
ফটোগ্রাফিতে যা দেখছেন তা লিচু পাকা শুরু হওয়ার প্রথম পর্যায়ের। আর এই পর্যায়ে থেকে যে আমি এভাবে পেড়ে খেতাম তা ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারছেন। আর এর মধ্য থেকে একদিন হঠাৎ মাথায় এলো ফটোগ্রাফি করে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করি। কারণ জীবনে প্রথম এভাবে লিচু পেড়ে খাচ্ছি তাও নিজের বাড়ি থেকে নিজের গাছের। নিজের হাতে লাগানো গাছ থেকে লিচু পেড়ে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। এর মধ্যে অন্যরকম গর্ভ রয়েছে, আছে ভালোলাগা ও সফলতা।
আমি প্রতি বছর দু একটা করে গাছ লাগানোর চেষ্টা করি। অবশ্য বেশিরভাগ ফলের গাছ। গতবারও কয়েকটা কমলা লেবুর গাছ লাগিয়ে ছিলাম এবং একটি লেবুর চারা। ইনশাল্লাহ গাছগুলো হয়ে গেছে এবং সুস্থ-সবল। কোন একদিন তা ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আপনাদের একটি মেসেজ দিতে চাই। এখন বর্ষার সময়, তাই চেষ্টা করুন অত্যন্ত একটি করে গাছ লাগানোর। এখন মেলা শুরু হয়েছে,যেখানে নানান প্রকার গাছ এর চারা খুঁজে পাওয়া যায়। আশা করি চেষ্টা করবেন সকলে।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
সত্যি পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন ভাই। কত লিচু পেড়েছি গাছ থেকে। আমাদের এলাকায় এখনও সেই লিচু গাছ টি আছে। কিন্তু এখন আর লিচুর ধারে কাছেও যাই না। আর হ্যা সুন্দর একটি মেসেজ দিয়েছেন সবাই কে । ফলজ বৃক্ষ লাগানো উচিত আমাদের সকলের। আমাদের বাড়ীর ভেতর বেশ কিছু ফল গাছ রয়েছে । আমি তারপারও কিছুদিন আগে একটি সবরি কলা গাছ লাগিয়েছি। ভাল থাকবেন ভাই। ধন্যবাদ।
অনেকের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই লিচু কে কেন্দ্র করে। আপনার স্মৃতি স্মরণ করেদিতে পেরে আমার খুবই ভাল লাগবে।
সত্যি কথা বলতে নিজের গাছ থেকে ফল খেলে খাওয়ার মত আনন্দটা কোথাও যেন পাওয়া যায় না। অসাধারণ একটি আনন্দ কাজ করে নিজের ভিতর। খুব ভালো লাগলো ভাই আপনি সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। খুব সুন্দর করে সবকিছু বর্ণনা তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। যা দেখে ভালো লাগলো। সেই সাথে আপনার লিচু গাছের লিচু গুলা দেখতে হবে ভালো হয়েছে ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি মুহূর্তে আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
এর জন্যই আমি সকল প্রকার ফলের গাছ লাগানোর চেষ্টা করে এবং ইনশাল্লাহ অনেক জাতের ফলের গাছ রয়েছে।
জ্বি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন নেটের অবস্থা চারদিকে খুবই দুর্বল। বৃষ্টি বাদল দিনে কারেন্ট না থাকলে ওয়াইফাই থাকে না এমবি কিনলে ও বৃষ্টির কারণে নেট অনেক দুর্বল থাকে। কিন্তু কি করব কাজ তো চালিয়ে যেতে হবে। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর লিচু গাছের ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া । এই সময় লিচু দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে ।এই সময় তো লিচু প্রায় শেষ। যাইহোক আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
বেশ কিছুটা দিন ধরে আমাদের এখানে একই প্রবলেম হয়ে চলেছে।
আপনার লিচু পাড়ার অভিজ্ঞতা টি শুনে বেশ ভালো লাগলো। কিছু পুরনো কথা মনে পড়ে গেল আমার। আমাদের গ্রামের বাড়ির চারপাশে প্রচুর ফলের গাছ রয়েছে ।ছোটবেলায় আমি লিচু গাছে উঠে গাছ থেকে লিচু পেড়ে খেতাম সত্যিই সেই অনুভূতি ছিল অসাধারণ। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে লিচু গুলো সম্পূর্ণভাবে এখনো পাকেনি। সম্পূর্ণ পাকা লীচু খেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই অনেকেরই স্মৃতি জড়িয়ে থাকে এভাবেই।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে নতুন গাছে লিচু পড়ার অভিজ্ঞতার গল্প শেয়ার করেছেন। এবার লেখা পড়ার কারণে বাসার বাইরে থাকার কারণে নিজের গাছের লিচু খেতে পারিনি খুবই কষ্ট লাগছে এটা ভেবে। আপনার মত আমিও প্রতিবছর নিজ গাছ থেকে লিচু পারতাম। হাতার মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই, সবার সব সময় এক হয় না তো তাই একটু খারাপ লাগতেই পারে। আমারও ঠিক তেমনি লাগত যখন গাছ থেকে ধরত না।
নিজেদের গাছে যদি ফল হয় সেটা আসলে খাওয়ার মজাই থাকে আলাদা। আপনার লিচু গাছ লাগানোর ১৪ বছর পর এবার অনেক লিচু ধরেছে শুনে খুব ভালো লাগলো লিচুগুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে।
দোয়া করেন ভাইজান আপনাদের ও যাতে খাওয়াতে পারি।
লিচু আমার খুব পছন্দের ফল। গাছ থেকে লিচু পেড়ে খেতে খুব ভালো লাগে। আসলে গাছ থেকে ফল পড়ার অনুভূতি খুবই অন্য রকম হয়ে থাকে। এত চমৎকার পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।