বগুড়া ডাক-ঘর ঘুরে দেখা||প্রথম-পর্ব
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও ভাল তবে প্রচন্ড ব্যস্ত আছি।যাই হোক কাজের প্রয়োজনে কয়েকদিন আগে বগুড়া কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিসে যেতে হয়েছিল,আজ সেটা নিয়েই লিখি।অনেকেই ভাবছেন ডাকঘর ঘুরে দেখার কি আছে?তাদের বলি,আছে ভাই আছে।খালি দেখার চোখ থাকা চাই।
আজকাল তথ্যপ্রযুক্তির যুগে পৃথিবীটা প্রায় আমাদের হাতের মুঠোয়।পৃথিবীর একপ্রান্তে বসেই অন্য প্রান্তের হাড়ির খবর মুহুর্তেই পেয়ে যাচ্ছি।বাংলাদেশে থেকে পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে থাকা আত্মীয় কে দেখার ইচ্ছা হল মুহুর্তেই ভিডিওকলে দেখে নিতে পারছি।কথা বলতে ইচ্ছা হলে কল,টেক্সট মেসেজ কত সুবিধা।মুহুর্তেই হাল-হকিকত সব জেনে নেওয়া যাচ্ছে।
কিন্তু একটু চিন্তা করুন সব সময় কিন্তু এমন ছিল না।মোবাইল-টেলিফোনের আগে মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল চিঠি।আগেকার দিনে রাজাদের দূত থাকত তারাই চিঠি পরিবহন করত।তারপর আস্তে আস্তে শেরশাহ এর আমলে ভারতবর্ষে ঘোড়ার ডাকের প্রচলন হয়।এই ঘোড়ার ডাক নিয়ে একটি মজার কৌতুক আছে
একছেলে পরীক্ষায় লিখেছে,"শেরশাহ সর্বপ্রথম ঘোড়ার ডাকের প্রচলন করেন,তার আগে ভারতবর্ষের ঘোড়ারা ডাকত না।"
যাই হোক এরপর আস্তে আস্তে আধুনিক ডাকবিভাগের সূচনা।ডাকবিভাগ কিন্তু শুধু চিঠিপত্রই সরবরাহ করে না।সেই সাথে পার্শেল সার্ভিস ও মানিঅর্ডার সার্ভিস ও দিয়ে থাকে।মানি অর্ডার বুঝলেন না? আরে সেই যে ছোট বেলায় পিতার কাছে টাকা চেয়ে চিঠি লিখতেন।তখন তো বিকাশ নগদ,পেটিএম,গুগল-মানি ছিল না টাকা পাঠানোর জন্য।তখন এই কাজ করত ডাকবিভাগ।এখনো কিন্ত ডাকবিভাগ ব্যাংকিং এর কাজ ও করছে।আপনি আপনার জমানো টাকা ভাল মুনাফার বিনিময়ে ডাক-বিভাগে গচ্ছিত রাখতে পারেন।
যাই হোক ধান ভানতে অনেক শিবের গীত শুনিয়ে ফেললাম।এখন আমি আমার ডাকঘর ভ্রমনের অভিজ্ঞতা বলি।আপনারা যারা আমার পোস্ট নিয়মিত পড়েন তারা জানেন আমার মাসির বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্র বন্টনের দায়িত্ব পড়েছে আমার উপর।সেই নিমন্ত্রণ পত্র দিতেই আমার ডাকঘরে যাওয়া।
আমার অন্য এক মাসি থাকে পাবনা, চাটমোহর।আমার পরীক্ষা থাকায় পাবনা গিয়ে নিমন্ত্রণ পত্র দিয়ে আসা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না।তাই মেসোর সাথে কথা বলতেই উনি জানালেন ফোনে নিমন্ত্রণ করা টাই যথেস্ট, তারপরেও মামার আদেশ পাঠাতেই হবে জানালে উনি বললেন তাইলে পোস্ট করে দাও।
আমিও ভেবে দেখলাম মন্দ নয় আইডিয়া টা।এই সুযোগে ছোট বেলা থেকে শেখা চিঠি লেখার বিদ্যা টা কাজে লাগবে।তবে আমাদের ডাকবিভাগের গতির উপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে,তাই আমি ১০দিন আগেই গিয়েছিলাম। এটা নিয়েও একটা কৌতুক প্রচলিত আছে।
কি কৌতুক দিতে ভুলে গেছি ভাবছেন? আরে না কৌতুক ভুলে গেছি,তাই দিতে পারিনি।
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া এখন ফোন হওয়ার কারণে মানুষ ঘরে বসে সব খবরা খবর পাচ্ছে এবং ইচ্ছে হলে মানুষকে দেখতে পাচ্ছে। আগেকার দিনে চিঠির ব্যবস্থাটাই আমার কাছে ভালো লাগতো কত সুন্দর অনেকদিন পরে মানুষের খোঁজখবর নেওয়া যেত তাতে মানুষের দাম ছিল আর এখন প্রতিদিন দেখার কারণে মনে হয় একটু পাত্তা কম পাওয়া যায়। কৌতুকটা কিন্তু মজার ছিল। আপনার মাসির বিয়ের নেমন্তন আপনি ডাকঘরে চিঠির মাধ্যমে দিতে গিয়েছেন এটা শুনে প্রথমে অবাক লাগলো যে ফোনের যুগে এটা আবার হয়। পরে দেখলাম যে না এটা একটা ইচ্ছা পোষণ করেছেন। ভালো লাগলো ভাইয়া আগেকার যুগের মত আপনি নিমন্ত্রণ পত্র পাঠাতে গিয়েছেন দেখে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তথ্য প্রযুক্তির যুগে সব কিছুই হাতের মুঠোয়।তারপরেও আপনি ডাকঘরে গিয়ে নিমন্ত্রণ বাত্রা পাঠিয়েছেন।বেশ ভালো লেগেছে বিষয়টি।হ্যা এটা একদম ঠিক বলেছেন আগে তো আর বিকাশ,নগদ ছিল না।এসকল কার্যক্রম করতো ডাক বিভাগ।আপনার মামার আদেশে আপনার আবার চিঠি লেখা বিদ্যা টাও ঝালাই হলো।আপনি যেহেতু সময় নিয়ে ১০ দিন আগেই গিয়েছিলেন।সব মিলিয়ে বেশ ব্যাস্ততায় আছেন ভাইয়া ।ব্লগটি ভালো লাগলো।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ আপু গুছিয়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের কলকাতায় বিয়ের কার্ডগুলো সাধারণত বাড়ি গিয়েই বিলি করা হয়। তবে যাদের বাড়ি অনেকটাই দূরে তাদেরকে হোয়াটসঅ্যাপে বিয়ের কার্ড পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে ডাকঘরে গিয়ে পোস্ট করা তো কখনো শুনিনি। তবে এটা কিন্তু বেশ ভালো একটা আইডিয়া। কৌতুকটাও বেশ ভালো ছিল। হা হা হা...
এখানেও বাড়িতে গিয়েই দেওয়া হয় দাদা,কিন্তু এটা অনেক দূরে।পরীক্ষা মাথায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব না।তাই পোস্ট করেছিলাম।
এখন তো সবাই ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সব খোঁজ খবর দিয়ে দেয় এবং পেয়ে যায়। আপনি তো দেখছি আধুনিক যুগের সাথে সবকিছুই মিলিয়ে নিয়েছেন এখন। আপনার মাসির বিয়ের নিমন্ত্রণ ডাকঘরে চিঠির মাধ্যমে দিয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। একটু অবাক অবাক লাগছে তবুও এরকম কথা আমি কখনোই শুনিনি তাই জন্য। সবাই তো এখন আধুনিক যুগ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অতীতের সেই স্মৃতি এবং বিভিন্ন নিয়ম এখন তো কেউ ই মানে না এবং সেগুলোকে পাত্তা দেয় না। খুবই ভালো লাগলো আর এই পোস্টটি দেখে।
এখন ফোনের হোয়াটস আপ, মেসেঞ্জারেই দাওয়াত দেয়া শেষ করে ।প্রয়োজনে একটা ফোন। না হলে কুরিয়ার সার্ভিস। তবে ডাক বিভাগের মাধ্যমে দাওয়াত দেয়ার চল এখন নাই বললেই চলে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ডাকঘরের অভিজ্ঞতা।
আমরা তো এখন অতীতের সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারিনি। কারণ এখন এই বর্তমান যুগে সবকিছু আধুনিক হয়ে গিয়েছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এখন সবকিছুই করা যায়। আপনি আমাদের সেই পুরাতন ঐতিহ্য আবার নতুন করে নিয়ে এসেছেন আপনার পিসির বিয়ে নিমন্ত্রণ ডাকঘরে চিঠি মাধ্যমে দিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এরকম পোস্টগুলো একদমই দেখা যায় না বললেই চলে। প্রাচীন যুগের কথা তো এখন কারো মনেই নেই। সবাই এখন আধুনিক যুগ নিয়ে ব্যস্ত। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সব খবরা খবর দিয়ে দেয় সবাই।
মাসির বিয়ে ভাই।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।