সৃষ্টিকর্তার পরীক্ষা।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

১১ ই পৌঁষ ১৪৩১

--------

২৭ই জানুয়ারি ২০২৫


baby-4100420_1280.jpg

source

প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজকে আপনাদের সাথে জেনারেল পোস্ট শেয়ার করবো।আসলে হাবল তাবল কাহিনি। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সৃষ্টির সেরা জীব বানিয়েছে ঠিক তবে আমাদের মানুষদের কোন না কোন দিক অপূর্ণ দিয়ে রেখেছে।কোন মানুষেই পারফেক্ট না কোন না কোন দিন অপূর্ণ থাকে।তাই মানুষের চাহিদার শেষ হয়না ।


কারো ছেলেমেয়ে হয় না কারো আবার ছেলেমেয়ে আছে কোন না কোন দিকে অপূর্ণ।আমার দূর সম্পর্কের খালা হয় ওনার কোন সন্তান হয় না,অনেক চিকিৎসা করিয়ে হয় না,বেশ শক একটা বাচ্চার আসলে প্রতিটি মানুষের কোন না সময় সন্তানের চাহিদা ফিল হয়।যাই হোক একদিন তিনি গ্রামে যায় হঠাৎ শুনে গ্রামের এক পাগলের বাচ্চা হয়েছে, শিশু বাচ্চা টাকে শীতের মধ্যে সামান্য কাঁথা পেচিয়ে রেখেছে।ওনার বেশ মায়া হয় তিনি বাচ্চাটাকে তার কাছে নিয়ে আসে,আর পাগলটাও কেন জানি কিছু বলেনি কেন জানি।


পরে খালা বাচ্চা টাকে তার নিজের কাছে নিয়ে আসে।কখন ও যদি খালা বাচ্চাটাকে গ্রামে যেত তখনই পাগল টা বাচ্চাকে দেখে আসতো আবার আদর ও করতো।কিন্তু গ্রামের মানুষ নানা জনে নানান কথা বলতো তাই তিনি পছন্দ করতো না তারপর একটা খালাটা বাচ্চার জন্য গ্রামে আসা বন্ধ করে দেয়।কয়েকদিন পর অবশ্য পাগলটা মারাও যায়, আমার সেই খালা সেই ছেলেটাকে অনেক যত্ন করে বড় করে।একজন আপন যেমন করে তার সন্তানের জন্য তিনিও তাই করেন।সৃষ্টি কর্তা কোথাও না কোথাও কোন না কোন ভাবে মানুষকে বাঁচার পথ করে দেয়।এই তো কয়েকদিন আগে আমার বাসায় যে কাজ করেন খালা তার মেয়ের বাচ্চা হয় না।


একটা বাচ্চার জন্য অনেক চিকিৎসা করিয়েছেন নিজের সাধ্য অনুযায়ী। হঠাৎ কয়েকদিন আগে এক মা নাকি একটা বাচ্চাকে রাস্তায় ফেলে রেখে যাচ্ছিলো বয়স হয়তো হবে এক বছরের মত।বাচ্চাকে রেখে যাওয়াতে বাচ্চা কান্না করছিলো পরে এলাকার মানুষ দেখে ফেলাতে বাচ্চার মা আর বাচ্চা কে নিয়ে থানায় দিয়ে আসে।থানা থেকে কিভাবে যেন পালিয়ে যায় মহিলা বাচ্চা কে রেখে।তারপর আর কি খালার মেয়ের জামাই শুনে দৌড়ে যায় থানায় তারপর বাচ্চাকে নিয়ে আসে সে কি যত্ন।


একজনের কাছে ফেলানো আর আরেকজনের কাছে অমূল্য ধন।সে কি আদর, বাবুটার জন্য খেলনা জামা শীতের জামা কাপড় দুধের কৌটা আরো কত কি।আসলে বাবুটা কান্না করছে আর তার মাকে খুঁজছে। আসলে এক বছর ধরে মায়ের কাছে ছিলো সে কি করে মাকে ভুলে।প্রথম প্রথম অনেক কান্না করছিলো এখন আগের তুলনায় একটু কমেছে।দিনে রাতে সমান তালে বেশ যত্ন করছে। আসলে সৃষ্টি কর্তা কোন না কোন ভাবে বাচ্চাটাকে পাঠিয়েছে,আপন মা যাকে ফেলে দিয়ে গিয়েছিলো তাদের কাছে এখন সে অমূল রতন হয়ে আছে।সবই আল্লাহ তরফ থেকে আমাদের পরীক্ষা।

আজকে আর নয় ,আবার আসবো অন্যকোন দিন অন্যকোন পোস্ট নিয়ে সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht

20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

Sort:  
 3 months ago 

আপনি একদম বাস্তব বিষয় তুলে ধরেছেন আপু আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যাদের বাচ্চা হয় না। আবার অনেক মানুষ আছে যাদের বাচ্চা অনেক অবহেলায় মানুষ হচ্ছে। আপনার খালা পাগলের বাচ্চাটাকে নিয়ে বেশ ভালই করেছে। না জানি পাগলের বাচ্চাটা কোথায় কিভাবে মানুষ হতো কি মারা যেত। তারপর দ্বিতীয় গল্পটি পড়েও বেশ ভালো লাগলো। তবে একটা চাওয়া সৃষ্টিকর্তার কাছে সব মায়ের কোল আলোকিত করুক আল্লাহ । ধন্যবাদ আপু।

 3 months ago 

আসলেই আপু,সবই সৃষ্টি কর্তার পরীক্ষা হয়তো।ধন্যবাদ

 3 months ago 

কখনো কখনো জীবনে আমরা যা চাই তা না পাওয়ার পরও, সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য নতুন উপায় তৈরি করেন। বাচ্চাটির নতুন পরিবারে আগমন এবং খালার যত্নপূর্ণ ভালোবাসা সত্যিই প্রমাণ করে যে, ভালোবাসা ও যত্নের অভাবে কিছুই অসম্ভব নয়।

 3 months ago 

আসলেই ভাই য়া সৃষ্টিকর্তা কোন না কোন পথ দেখায়।ধন্যবাদ