পরিবারের সবাই মিলে রথ মেলায় ঘোরাঘুরি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১ জুলাই , মঙ্গলবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। ক্রিয়েটিভিটির পাশাপাশি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের আনন্দঘন মুহূর্ত শেয়ার করতে ভীষণ ভালো লাগে। আমাদের জীবনে বিভিন্ন ধরনের আনন্দ উৎসব কিংবা আনন্দ মুহূর্ত আসতেই থাকে। এক এক বিষয়ে আমরা এক এক ধরনের আনন্দ লাভ করি। আজ আমি শেয়ার করব সবাই মিলে রথ মেলায় কাটানো মুহূর্ত। অনেকদিন বাদে সবাই মিলে রথ মেলায় গিয়ে খুব মজা করেছিলাম। চলুন তাহলে আমার আনন্দঘন মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়া যাক।
রথ মেলা হল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত আনন্দঘন একটি ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসবে জগন্নাথ দেব, সুভদ্রা এবং বলরাম কে প্রথমে মাসির বাড়ি দিয়ে আসা হয় এবং পরবর্তীতে রথ টেনে তাদেরকে নিজ গৃহিণী নিয়ে আসা হয়। এই উৎসব আমরা খুব আনন্দের সাথে পালন করে থাকি। এইতো সেদিন শুক্রবার ছিল জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির যাত্রাকাল। যেটাকে আমরা রথ মেলা বলেই চিনে থাকি। অনেকদিন বাদে পরিবারের সবাই মিলে গিয়েছিলাম রথ মেলায়। যেকোনো উৎসবে পরিবারের সবাই মিলে গেলে আলাদা রকম আনন্দ হয়।
আমি কুষ্টিয়া তে থাকলেও নানান ব্যস্ত তাই রথ মেলায় যেতে পারি না। মেলায় যাওয়ার ভাগ্য হলেও জগন্নাথ দেবের দর্শন কিংবা তার রথের দর্শন পাওয়া হয়ে ওঠে না।। কারণ যেতে যেতে অনেক দেরি করে ফেলি। এবার শুক্রবার হয় রথের দর্শন মেলাতে পেরেছিলাম। সেদিন ছিল আমাদের বাড়িতে নারায়ণ পূজা।সেজন্য গ্রাম থেকে মা বাবা এবং বোন এসেছিল। সবাই মিলে মেলা দেখতে যাব ভেবে ভালো লাগছিল। আমাদের বাড়ির পূজা শেষ হয়ে যায় একটা নাগাদ। পূজা শেষে সবাই একটু বিশ্রাম করে একসঙ্গে রথ মেলায় আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমরা মোট ১২ জন ছিলাম। এত জন মিলে রথ মেলায় অনেকদিন পর আসা হল ভীষণ ভালো লাগছিল।
আমরা বেলা চারটা নাগাদ রথ মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমাদের বাসা থেকে কাছেই রথ মেলা।আমরা একটি অটো নিয়ে খুব দ্রুত পৌঁছে গেলাম সেখানে। পৌঁছতেই দেখলাম প্রতিবছরের তুলনায় এবার ভিড় একটু কম। প্রথমেই আমরা জগন্নাথ দেবের রথের কাছে পৌছালাম এবং রথে প্রণাম করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। রথ দেখতে ভীষণই ভালো লাগছিল। আমরা সামনের দিকে এগোতেই দেখিয়ে ধীরে ধীরে অনেক মানুষের ভিড়। প্রথমেই পিসিমণি মেলায় গিয়ে একটি বাসি কিনে নিল। পিসিমণিকে দেখে আমরা সবাই ভয় পাই। তবে সেদিন পিসিমণি একটু বেশি মিশুকে হয়ে গেল ভীষণই ভালো লাগছিল সেদিন।
তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে রথ টানা শুরু হয়। আমরা আর ভিড়ের মধ্যে রথের দড়ি ধরিনি অথবা ধরতে পারিনি বলা চলে। তবে আমরা সবাই মিলে রথের অনেক সামনে ছিলাম। এই প্রথমবার রথের সাথে সবাই মিলে গানের তালে তালে নাচ করতে করতে রথ টানার সুযোগ হল। নাচ করা বলতে আমরা সবাই হাততালি দিচ্ছিলাম। আর মুখে জগন্নাথ দেবের গান। ভীষণই ভালো লাগছিল সেদিন। মা বাবার সাথে এই প্রথম রথ মেলা আমার। দিনটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল।
তারপর জামাই-বোনকে একটি বাবোল কিনে দিল। সেটা নিয়ে তো সবাই মজা করছিলাম। ছবি তুলেছিলাম সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যদিও ভিড়ের মধ্যে ভালো করে তুলতে পারিনি। তারপর আমরা রথের তালে তালে অন্য মন্দিরে অর্থাৎ জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতে জগন্নাথ দেবকে পৌঁছে দিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসলাম। আসার পথে সবার আবদারের জামাই আমাদের আইসক্রিম খাওয়ালেন। প্রথমে তো কোক খাওয়ার আবদার পূরণ করলেন। তারপর আস্তে আস্তে পাপড় আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিস খাওয়ালেন। এই প্রথমবার সবার সাথে মেলায় গিয়ে এত মজা হচ্ছিল।
ভিড় ঠেলে মেলা দেখার মধ্যে জানাজার রকম মজা আছে সেটা সেদিন রথ মেলায় গিয়ে অনুভব করলাম। আসলেই দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। এরকম আনন্দঘন মুহূর্ত সবার সাথে শতাধিক বার কাটাতে চাই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ:২৭ শে জুন ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14

