বোনকে নিয়ে পার্কে ঘোরাঘুরি।(শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ১৬ ই মে,শুক্রবার, ২০২৫ খ্রিঃ

কভার ফটো


1000047318.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি ঘোরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি। কিছুদিন আগেই বোনকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেটার একটি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজকের শেষ পর্ব শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।



1000047319.jpg
সেদিন যেখানে শেষ করেছিলাম আজকে সেখান থেকেই শুরু করব। আমরা প্রথমে উপরে একটি রাইডে উঠেছিলাম। সেখানে দুই বোন মিলে বেশ মজা করেছিলাম। আমি মজার থেকে বেশি ভয় পেয়েছি। আমার আসলে এসব রাই ডে উঠতে অনেক ভয় লাগে। ভয়ের কারণে আজ পর্যন্ত নাগর দোলায় উঠতে পারলাম না। তা যাই হোক, তারপরে আমরা সেখান থেকে এসে একটু ঘোরাঘুরি করলাম। পার্কের বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য দেখছিলাম। এখানে বেশি গাছপালা ছিল না তবে যেগুলো ছিল দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। পড়ন্ত বিকেলটা অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।
1000047320.jpg
তারপরে দুই বোন মিলে হাঁটতে হাঁটতে বোনের চোখে পড়লো আরেকটি রাইড।বোনকে যেহেতু বলেছিলাম তোমাকে আজকে সবগুলো রাইডে ওঠাবো তাই তার ইচ্ছেমতো শুরু করে দিলাম। তারপর বোনকে রাইডে উঠিয়ে দিয়ে আমি তার জন্য অপেক্ষা করলাম। এখানে যেহেতু দশ বছরের বড় বাচ্চা উঠতে পারে না সেহত বোনকে একাই উঠতে হলো। ঘোড়ার উপর উঠে বোন চারিপাশে ঘুরছিল আর সঙ্গে মিউজিক বাজছিল। বোন তো অনেক খুশি হয়েছিল। তার খুশি দেখে আমারও অনেক মজা লাগছিল।
1000047321.jpg
তারপরে আমরা আবার কিছুক্ষণ হাটাহাটি করলাম। কিছু খাওয়া দাওয়া করলাম । তারপর বোনের চোখে পড়লো ব্যাঙের মত একটা রাইড।দুঃখিত যে আমি রাইডগুলোর নাম জানিনা। নাম না জানার কারণে আমি বলতে পারছি না। তবে এই ব্যাঙের মতো রাইড টা ট্রেনের মতোই চলছিল। এখানে আবার একজন বাচ্চার সাথে আরেকজন অভিভাবক ওঠার পারমিশন ছিল। সেজন্য আমিও বোনের সাথে উঠে পড়লাম। যদিও সেখানে উঠে আমি একদমই কমফোর্ট ফিল করছিলাম না। কারণ এটা বাচ্চাদের জন্য। আমি অনেকটাই বড় এখানে উঠতে আমার বেশ অসুবিধা হচ্ছিল। তারপরেও বোন ভয় পাবে সেজন্য আমাকে উঠতে হল। আমি তো আবার বোনের থেকে বেশি ভয় পাই।
1000047322.jpg
তারপর সেখানে প্রায় ১৫ মিনিট মত উঠা হলো। তারপরে আমরা দুজন মিলে আবার হাঁটতে থাকলাম। তারপর হাঁটতে হাঁটতে বোন উঠতে চাইলো ট্রেনে। ট্রেনে উঠতে সে খুব পছন্দ করে। যে কয়বার এই পার্কে এসেছি কিংবা অন্য কোন পার্কে গিয়েছি সেখানে ট্রেন থাকলে বোন সেখানে উঠবেই। তারপর তাকে ট্রেনে করে ঘুরিয়ে সেখান থেকে নেমে পড়লাম । তারপর বাইরে চলে আসার পালা।
1000047323.jpg
সবগুলোর রাইডে ওঠা শেষ করে আমরা বাইরে চলে আসলাম। আসলে সবগুলো বলতে যেগুলোতে বোন উঠতে পারে সেগুলোতেই তাকে উঠেছিলাম। তারপর দুজন মিলে বাইরে এসে ফুচকা খেলাম। সেখানকার মামার ফুচকা টা অনেক মজা ছিল। এর আগে কখনো খাওয়া হয়েছিল না। দুজন মিলে বেশ মজা করে ফুচকা খাওয়া শেষ করে আমরা চলে গেলাম বাজারে। বোনের খুশি দেখে আমারও খুশি লাগছিল। দিনটা বেশ ভালই কেটেছিল।
আজ এই পর্যন্তই।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৩ ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 4 days ago 

বোনকে নিয়ে পার্কে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছে জেনে ভালো লাগলো। বাচ্চাদের পার্কে নিয়ে গেলে অনেক আনন্দ করতে পারে আর এই আনন্দ দেখলে নিজের কাছেও ভালো লাগে। তোমাকে একদিন জোর করেই নাগর দোলায় তুলে দিতে হবে আর তারপর মজাটা দেখতে হবে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 3 days ago 

বোনকে নিয়ে পার্কে ঘুরাঘুরি করার আরো অনেকগুলো পর্ব আপনার কাছ থেকে দেখেছিলাম৷ আজকে এর শেষ পর্ব দেখে খুব ভালই লাগলো৷ সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে ফুটে তুলেছেন। একই সাথে এখানে যেভাবে আপনি এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনার মধ্য দিয়ে সবকিছু খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷