বান্ধবীর সাথে ঈদ বাজার মেলায় একদিন।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৭শে মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সহ উপলক্ষে মেলা হয়ে থাকে। এখন রমজান মাস চলছে। সামনেই রয়েছে ঈদ। ঈদ উপলক্ষে বসেছে অনেক জায়গায় মেলা। সেরকমই কুষ্টিয়া শহরেও ঈদ উপলক্ষে মেলা বসেছে। সেদিন বান্ধবী সাথে কিছুক্ষণের জন্য ঈদ বাজার মেলায় গিয়েছিলাম। সেখানে কাটানো মুহূর্তই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
এমনিতে আমার ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু অনেকদিন হয়ে গেল নানান কারণে রুমের ভেতর থেকে বের হওয়ায় হয় না। বাড়ি চলে আসার একদিন আগে আমার বান্ধবী আমাকে কল করে বলে সে আমার রুমে থাকবে। আমিও একা একা থাকি। বান্ধবীকে বললাম চলে আসতে। তারপর বান্ধবী আমার রুমে চলে আসলো। তারপর বান্ধবী বাহিরে গিয়ে সন্ধ্যার সময় আমার জন্য ইফতার কিনে নিয়ে আসলো। দুজন মিলে একসাথে বসে ইফতার শেষ করলাম। ইফতার করার পরে বান্ধবী বলল চল দুজনে মিলে একটু ঘুরে আসি।
আমরা মূলত ঘোরার জন্য বের হয়েছিলাম না। বের হয়েছিলাম বান্ধবীর মোবাইল দোকান থেকে আনার জন্য। মোবাইল দোকান থেকে আনতে যাওয়ার জন্য দুজন রেডি হয়নি। রেডি হতেই বান্ধবীর আপুর কল আসে। তারপর বান্ধবীকে রুমে যেতে বলে। বান্ধবী রুমমেটের অনেকগুলো টাকা হারিয়ে গিয়েছিল। সেজন্য বান্ধবী আর আমার কাছে থাকবে না বলে ঠিক করল। তারপর আমি আর বান্ধবী রেডি হয়ে ফোন আনতে গেলাম। রাতের বেলায় রিক্সায় করে এন এস রোড ঘুরতে বেশ ভালো লাগছিল। রাতের বেলা শহরের রাস্তাগুলো অন্যরকম ভালো লাগে।।
মোবাইল ফোন আনার পথেই বান্ধবী বলল চল মেলায় যাই। তারপর আমরা রেশা থেকে নেমে একটু সময়ের জন্য মেলায় গিয়েছিলাম। মেলায় যেতে দেখি ঈদ বাজারের মেলা। মেলায় বিভিন্ন ধরনের জিনিস এসেছে। অনেক লোকের মেলা বসেছে। মূলত এখানকার মেলায় খুব বেশি লোকজন দেখা যায় না। তবে সেদিন বেশ অনেকজন এসেছিল। সব ধরনের জিনিস মেলায় পাওয়া যাচ্ছিল। প্রথমে যেতে দেখতে পেলাম চুরি মালার দোকান। সেখানে গিয়ে বান্ধবীর কাছে আবদার করলাম একটা কানের দুল কিনে দিতে। সে আমাকে ছোট্ট একটি কানের দুল কিনে দিল। সেটার অবশ্য ছবি তুলে রাখা হয়নি।
তারপরে হাটতেই দেখতে পেলাম আরো বিভিন্ন ধরনের দোকান। আমি চলে গেলাম থালা বাটির দোকানে। যেখানে সকল ধরনের থালা বাটি পাওয়া যাচ্ছিল। সেখান থেকে আমি কয়েকটি চামচ এবং মেলাবাইনের প্লেটের দাম জিজ্ঞেস করেছিলাম। কিন্তু দামের পরতা না হয় আমি সেগুলো নিতে পারলাম না। তারপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসলাম। এবার গেলাম আরেকটি দোকানে।
এবারে আমরা আর্টিফিশিয়াল ফুলের দোকানে গেলাম। বান্ধবী তার রুম সাজানোর জন্য কয়েকটি আর্টিফিশিয়াল ফুল নেবে বলে ঠিক করল। আমার রুমে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় আমি আর এসবের প্রতি আগ্রহ দেখালাম না। তারপর দুজন মিলে বেশ পছন্দ করে দুটি আর্টিফিশিয়াল ফুল পছন্দ করলাম। তার মধ্যে একটির দাম ছিল অতিরিক্ত। সেজন্য সেটি বাদ দিয়ে আরেকটি আর্টিফিশিয়াল ফুল বান্ধবী তার জন্য নিয়ে নিলেন। আমারও কয়েকটি আর্টিফিশিয়াল ফুল পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু জায়গা না থাকায় নিতে পারিনি
তারপর সামনে এগিয়ে দেখতে পেলাম একটি ব্যাগের দোকান। ব্যাগের দোকানে ঢুকতেই দেখতে পেলাম ভিড়। ব্যাগের দাম বেশ কম ছিল। কিন্তু কোয়ালিটি দিক থেকে বিচার করলে ব্যাগগুলো সেরকম ভালো না।আমাদের হাতে বেশি সময় ছিল না। তাই আমরা ব্যাগগুলো আর বেশি না দেখে অন্য একি দোকানে চলে গেলাম। এভাবে সব কয়টি দোকান আমরা ঘুরে দেখলাম। সেদিন মেলায় বেশি লোকজন দেখা যাচ্ছিল। অন্যদিনে তুলনা এদিন যেন বেশি ভালো লাগছিল। এখানে অনেকে ঈদের জন্য কেনাকাটা করতে আসছিল। এখানে আনা ড্রেসগুলো বেশ চমৎকার ছিলো।আমরা ড্রেস কেনার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম না। সেজন্য শুধু দেখেই চলে এসেছিলাম।
ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেই। তারপর আমার বান্ধবী আমাকে খাওয়ানোর জন্য কি খাব তা জিজ্ঞেস করে।সেদিন মূলত বান্ধবী আমাকে ট্রিট দেবে বলে আগেই বলে রেখেছিল। সেজন্য সেদিন তার খাওয়ানোর কথা। তারপর আমি তাকে বলি বনফুড থেকে নান আর গ্রিল খাবো।তারপর আমরা সেখান থেকে রিক্সা করে সরাসরি বনফুডের সামনে চলে আসি। সেখান থেকে বান্ধবী আমাকে খাবার কিনে দিল। তারপর একটা রিকশা নিয়ে সে রুমে চলে গেল। আমিও চলে আসলাম আমার রুমে।
সবকিছু মিলিয়ে অনেকদিন পর মেলায় ঘুরতে গিয়ে অনেক ভালো লাগছিল। মাঝে মাঝে এরকম ঘুরতে বের হলে মনের মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগে কাজ করে।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


https://x.com/PurnimaBis34652/status/1905315864880243017?t=MzJ5IOf4BvJDISi0Iw8y2g&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1905319529657631197?t=Wu5PDTtrbaJhnN4LSfdVhw&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1905325695003492565?t=7VWj4ahHhFjovwA1aGEwQw&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1905328745457803283?t=B2s19inWfAmIcY0wibhVkw&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1905330214747734076?t=yewm_nWkJjh7SGpNYj7ing&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1905331647450677610?t=D0GBSAvqfQsVWSFrBiZsvA&s=19
আপনার লেখা পড়ে মনে হলো যেন মেলার সেই আনন্দময় পরিবেশে আমিও ছিলাম।ছবিগুলো দারুণ। বান্ধবীর সাথে এমন স্মরণীয় সময় কাটানোর সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার চমৎকার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঈদের বাজারের মেলাতে দুই বান্ধবী মিলে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছ। এটা সত্যি রাতের বেলায় এন এস রোডে রিক্সা নিয়ে ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।