বোনকে নিয়ে পার্কে ঘোরাঘুরি। (পর্ব-১)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ৩০ শে এপ্রিল, বুধবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।আমি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার শেয়ার করে থাকি। আজ শেয়ার করব নতুন একটি পোস্ট। ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। মাঝে মাঝে এদিকে ওদিকে ঘুরতে বের হই। সেদিন বোনকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম পার্কে। বোন আসলে তার আবদার থাকে পার্কে ঘুরতে যাওয়া। তাই তাকে নিয়ে পার্কে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম। সেটা এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে পোস্ট করে আসা যাক।
বোন বাড়িতে খুব একটা ঘোরাঘুরি করতে পারে না সেজন্য তার ছুটি হলেই আমার মেসে চলে আসে। এখানে এসে কোথায় যাবে সেগুলো সে নিজেই ডিসাইড করে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।। আমাকে এসে বলছে আমি অনেক জায়গায় ঘুরতে যাব। আমি বললাম ঠিক আছে আমি তোমাকে নিয়ে যাব। তারপর বলছে আমি এর আগে যে পার্কে গেছিলাম সেখানে যেতে চাই। আমিও বললাম চলো নিয়ে যাবো, কখন যাবে? বোন বললো কালকে বিকেলে যাব। পরের দিন তিনটে বেলায় আমি আর বোন রেডি হলাম। তারপরে দিন যেহেতু পহেলা বৈশাখ ছিল সেহেতু তার বৈশাখে কোথায় বেরোবে সে প্ল্যান হয়ে গেছে। যেতে যেতে আমাদের প্রায় চারটা। আমার মেসের কাছেই পার্ক তাই অল্প সময় লেগেছিল যেতে।
পার্কে ঢোকার প্রবেশ মূল্য ছিল ২০ টাকা করে। আমি ওর বোন চল্লিশ টাকা দিয়ে দুটি টিকিট কেটে নিলাম। দুটি টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকলাম। তারপর বোনকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি আজ কোন কোন রাইডে উঠতে চাও? বোন বললে আমি সবগুলোতেই উঠবো। শুধু নাগরদোলা বাদে। তারপর আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। তারপর আমি সাতটা টিকিট কেটে নিলাম। এখানে এক একটি টিকিট মূল্য ছিল ৩০ টাকা করে। আর ওপরে ওঠার একটি টিকিট মূল্য ছিল ৬০ টাকা করে। ও যেহেতু একা উঠতে পারবেনা সেহেতু দুজনের জন্যই টিকিট কেটে নিলাম। আমার তো এসবই ভয় লাগে তারপরও বোনের আবদার মেটাতে নিজেকে উটতে হলো।
প্রথমে টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে সিঁড়ি দিয়ে উপরে চলে গেলাম। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতেই পার্কের এই পাশ থেকে ওই পাশ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য একটি রাইড রয়েছে। বোন সেখানেই উঠতে চেয়েছিল। সেখানে গিয়ে আমি সেই রাইডে উঠলাম। রাইড এর নাম আমার জানা নেই। আমার মত ভীত মানুষের জন্য এই রাইড নয়। বোন তো ভয় পাচ্ছিল না কিন্তু আমার অনেক ভয় করছিল।
রাইডে ওঠার সময় এবং নামার সময় দুটি ঝাকি দেয়। যেটা খুবই ভয় লাগে। তারপর দুজন মিলে বেশ খানিকটা সময় ধরে সেই রাইডে কাটালাম। এখানে যাওয়া আসা মিলে ২০ মিনিট মতো লেগে যায়। ২০ মিনিট সময় উপর থেকে শহরটা দেখতে দারুন লাগছিল। বিশেষ করে পার্কটা দেখতে বেশি ভালো লাগছিল। এ সময় আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। উপর থেকে সবকিছু দেখতে অন্যরকম সুন্দর লাগছিল। পার্কের আসল সৌন্দর্য বুঝতে পারছিলাম।
উপর থেকে সব বাচ্চাদের খেলাধুলা দেখছিলাম। আবার সব রাইড গুলো খুব সুন্দর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলাম। বোনের সাথে নানান বিষয়ে গল্প করছিলাম। বোন আমাকে বলছিল সে কিসে কিসে উঠতে চায়। বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর রাইত থেমে গেল। আমরাও নেমে আসলাম। নেমে আসতে লম্বা একটা সিঁড়ি পাড়ি দিতে হয়। মনে হয় যেন কোন পর্বত থেকে নামছি। ছোট ছোট সিঁড়ি পাড়ি দিয়ে নিচে নামলাম। তারপর বোনের হাত ধরে খানিকটা সময় ঘুরে বেড়ালাম। আমি ওকে বলেছিলাম আজ যা খাবে তাই খাওয়াবো এবং যে রাইডে উঠতে চাও তাতেই উঠাবো। তারপর বোনের আইসক্রিম খাওয়ার শখ হল। আইসক্রিম খেতে খেতে দুই বোন মিলে ভালোই ঘুরলাম। তারপর কিছু আপুদের ছবি তুলে দিতে বলল। আমি তাদের ছবি তুলে দেখছিলাম। তারপর বোন আরেকটি রাইডে ওঠার সিদ্ধান্ত নিল।
তারপর আমরা কি কি করলাম শেয়ার করব পরবর্তী পর্বে।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


একটু ঘোরাঘুরি করলে মনটাও ভালো থাকে।বোনকে নিয়ে বেশ দারুন একটি জায়গায় ঘুরেছিলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।বোনের অনেক আবদার পূরণ করেছেন দেখছি নিশ্চয়ই আপনার বোন অনেক খুশি হয়েছিল।ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1917628871329079490?t=bxdCvpwuUFXT1Rlu-EhWZA&s=19
আপনি দেখছি ছোট বোনকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে গেলেন। তবে পার্কে ঘুরতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে। আর পার্কে যাওয়ার টিকিট 20 টাকা হলে মোটামুটি কমে আছে। তবে আপনারা ভিতরে গিয়ে অনেকগুলো জিনিসের মধ্যে উঠলেন । আর পার্কে যত কিছু আছে সবকিছুর মধ্যে উঠতে হলে টিকেট লাগে। আর আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে দুই বোন ভালই সময় কাটিয়েছেন। এবং এটি শুনে ভালো লাগলো আপনি আপনার বোনের আবদার রাখেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।
বোনকে নিয়ে পার্কে ঘুড়াঘুড়ি নিয়ে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ এখানে আজকের এই পোস্টের আপনি প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন এবং এখানে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে এই পার্কের সৌন্দর্যকে আপনি খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
এই পাশের পাশে বেশ কয়েকটা বছর কাটিয়েছি তবুও কখনো যাওয়া হয়নি। মাঝেমধ্যে যাওয়ার ইচ্ছা করত কিন্তু একা একা যেতে মন চাইতো না। বোনকে নিয়ে পার্কে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।