অজানা গন্তব্যে ঘোরাঘুরি।(পর্ব-১)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৫ শে আগস্ট, সোমবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।
বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটিভ কাজের পাশাপাশি ফটোগ্রাফি এবং ঘোরাঘুরি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। মাঝে মাঝে একটু ঘুরতে গেলে মনটা ভালো থাকে। মাঝে মাঝে নির্দিষ্ট কোন জায়গায় না ঘুরে আনমনে একটু ঘুরতে গেলেও অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। কিছুদিন আগে আমি আর ভাই মিলে আনমনে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেটা এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি আবার খুব প্রকৃতি ভালোবাসি। যারা আমার পোস্ট প্রতিনিয়ত পড়েন তারা অবশ্যই সেটা জানেন। কারণ আমার বেশিরভাগ পোস্ট হয়ে থাকে প্রকৃতি কেন্দ্রিক। সময় পেলে প্রকৃতির সান্নিধ্যে বসে কিছুটা সময় কাটিয়ে নিতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। প্রকৃতি যেন আমার কাছে একমাত্র শান্তি আশ্রয়। মাঝে মাঝে প্রকৃতির বাইরেও যাই তবে প্রকৃতিটা আমাকে বেশি আকর্ষণ করে।
তো যাই হোক সেদিন হঠাৎ করেই ঘুরতে গিয়েছিলাম। পরীক্ষা শেষে দুদিন রুমে ছিলাম। কিছুতেই ভালো লাগছিল না। আমার ভাই যেহেতু এখন কুষ্টিয়া থাকে তাই এখন ঘুরতে যাওয়ার জন্য ভাইকেই ডেকে নি। সেদিন ভাইকে ডেকে বললাম চল দুজন মিলে একটু হেটে আসি। সচরাচর আমার এখন আর হাঁটা হয় না। আগে বন্ধুদের সাথে বিকেল বেলা প্রায় হাঁটতে যেতাম। অনেকদিন পর দুই ভাই বোন মিলে হাঁটতে হাঁটতে চলে গিয়েছিলাম রবীন্দ্র লালন উদ্যানের সামনে নদীর ধারে। ভেবেছিলাম লালন উদ্যানের মধ্যে যাব কিন্তু সেখানে যাওয়ার মতো কোনো পরিবেশ আছে বলে মনে হচ্ছিল না।
সেজন্য আর ভিতরে যায়নি। আমাদের মত অনেকে সেখানে হাটতে গিয়েছে দেখলাম। বুঝলাম আমার মতো অনেকেই নদীপ্রেমী। নদীর ধারে শান্ত হাওয়া দিচ্ছিল যেটা দাঁড়িয়ে উপভোগ করতে ভীষণ ভালো লাগছিল। তবে আমরা সেখানে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম না। দুই ভাইবোন মিলে হাঁটছিলাম আর বিভিন্ন ধরনের গল্প করছিলাম। একবার হেঁটে গিয়েছিলাম আবার আসার সময় নদীর ধার দিয়ে দুই ভাই বোন মিলে হাঁটতে হাঁটতে আসছিলাম।
সেদিন আকাশটা খুব একটা সুন্দর ছিল না। আকাশ তো সব সময় সুন্দর তবে সেদিনকার টা একটু আলাদা ছিল। তবু আকাশ এবং নদীর মিশ্রণ দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। নদীর দিকে তাকালে মনে হয় ঐতো নদীর শেষ। আকাশও বুঝি সেখানেই শেষ হয়েছে। কিন্তু না এই দুটোর কোন শেষ নেই। এগুলো উপভোগ করতে বেশ ভালই লাগে।
নদীর ধার দিয়ে আসার সময় বিভিন্ন ধরনের দৃশ্য ও চোখে পড়ছিল। আমরা বন্দি করে রাখতে ইচ্ছে করে। আমার এত ছবি তোলা দেখে আমার ভাই আমাকে বলছিল, তুই কি পাগল এত ছবি কেন তুলিস। সবাই আমাকে পাগল ভাবে। আসলে ছবি তুলতে আমার খুব ভালো লাগে। আগে নিজের ছবি তুলতাম আর এখন প্রকৃতি এবং নিজের উভয়ের ছবি ক্যাপচার করি। যাইহোক, দুই ভাই বোন মিলে বেশ ভালোই গল্প করছিলাম।
গল্প করতে করতে আমরা বেশ খানিকটা পথ পাড়ি দিলাম। ভাইকে অনেক কিছু খাওয়ার অফার করেছিলাম কিন্তু সে কিছুতেই খাবে না। নদীর ধার দিয়ে হাঁটতে এবং মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে এতটাই ভালো লাগছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না। এভাবে হাঁটতে হাঁটতে চলে গিয়েছিলাম আরেকটি জায়গায়। সেটা পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২০ শে আগস্ট ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


https://x.com/PurnimaBis34652/status/1960588578897191116?t=LjgI8h8A7A-Hwz1_b5WTyA&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1960589082754420766?t=Wu9t4X_vVkA01y3T1kyYJg&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1960590110556107044?t=hXrzCILZAsW870C1Ml8AAQ&s=19