শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে ঘোরাঘুরি। (পর্ব-৪)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৩শে এপ্রিল,বুধবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আজকেও হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ঘোরাঘুরি করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তবে এখন আর আগের মতো কোথাও ঘুরাঘুরি করা হয় না। প্রায় তিন মাস আগে রবীন্দ্র কুঠি বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে ঘোরাঘুরির কয়েকটি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। অনেকদিন পরে আবার আজকে একটি পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে আমার পোস্ট পড়ে আসা যাক।
সেদিন যেখান থেকে শেষ করেছিলাম আজ সেখান থেকে শুরু করছি। সেদিন আমরা চারজন মিলে আম বাগানে ঘোরাঘুরি করার শেষে ওইদিকে থাকা একটি পুকুর ধারে কিছু সময় কাটিয়েছিলাম। তারপর আমরা ঘুরতে ঘুরতে দ্বিতীয় গেট দিয়ে কুঠিবাড়ির মধ্যে প্রবেশ করি। তারপর পিছন দিক দিয়ে সুন্দর একটি সিরি আছে যেটা আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পারছেন। এখান দিয়ে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে আমরা চলে গেলাম সামনের দিকে। সামনের গেট দিয়ে প্রবেশ করলাম কুঠিবাড়ির মধ্যে।
ঢুকতেই এই কুঠিবাড়ির বড় বড় দরজা এবং জানালা ধরা দেয় নজর কারা লুকে। এখানকার দরজা জানালাগুলো বেশ বড় বড় হয় আমার বেশ পছন্দ। বিশেষ করে এই বড় বড় জানালার রংটি বেশি ভালো লাগে। জানালার এদিকে ওদিকে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। রবীন্দ্র কুঠি বাড়ি যারাই হতে যাক না কেন প্রত্যেকের এখানে ছবি তুলতেই হবে। এখানে আমি এবং আমার বন্ধুরা সবাই মিলে ছবি তুলে নিলাম। কয়েকটি সিঙ্গেল জানালার ছবি তুলে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ঢুকতেই দেখি অনেক ভিড়। সবেমাত্র লাঞ্চ শেষে কুঠিবাড়ি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে সেজন্য ভিড় বেশি হয়ে গেছে। ভিড় খেলে ভিতরে নাকি আমরা একটু সাইডে দাঁড়ালাম।
তারপর একটু ভিড় কমতেই আমরা প্রবেশ করলাম কুঠিবাড়ির মধ্যে। ঢুকতেই নজরে পড়লো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খুব সুন্দর একটি বড় ছবি। কুঠিবাড়ির মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক ছবি রয়েছে। ছবি তো থাকারই কথা। এটাতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই বাড়ি। চারপাশে বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং জিনিসপত্র ছিল। মানুষজন বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে বিভিন্ন জায়গায় ছবি তুলছিল। আমরাও বেশ কিছু ছবি তুলে নিলাম। তারপরে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম এখানে কি কি রাখা আছে। এখানে যে জিনিসগুলো আছে সবই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত জিনিস।
ঢুকতেই দেখতে পেলাম একটি পালকি। শুনেছি, এই পালকিতে করেই নাকি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার জমিদারি ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য বের হতেন। এক কথায় এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত পালকি ছিল। যেহেতু তিনি জীবনের অনেকটা সময় এখানে কাটিয়েছেন সেহেতু তার দরকারি প্রত্যেকটি জিনিস এখানে ছিল। এখন তো এরকম পালকি নেই। আগের দিনে মানুষ এরকম পালকি ব্যবহার করত। আমি পালকি খুব একটা দেখিনি এই প্রথম দেখলাম। এর আগের বার হয়তো দেখেছিলাম না দেখলে তো মনে থাকতো। যাইহোক তারপরে আমরা অন্য দিকে চলে গেলাম।
তারপর আমরা এই ঘর থেকে অন্য ঘরে চলে গেলাম। অন্য ঘরেও গিয়ে দেখি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ কিছু ব্যবহৃত জিনিস রয়েছে।। ছবিতে তো আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন এই জিনিসগুলো সেখানে ছিল। জিনিসগুলো তো ছিল তার সাথে আরো অনেক ছবি ছিল। প্রত্যেকটি ছবি নিজে সাল উল্লেখ করা ছিল যেটা আমাদের জন্য খুবই সুবিধাজনক। কবে কার সাথে দেখা হয়েছে তাদের সাথে ছবি এবং সাল উল্লেখ করা থাকায় আমরা সহজেই বিষয়টা বুঝতে পারলাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বলে দেওয়া বিভিন্ন কিছু কথা এখানে প্রিন্ট করে রাখা হয়েছে। আসলে একবার হলেও কুঠি বাড়িতে যাওয়া উচিত। সেখানে গেলে জানা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্কে। অনেক কিছু জানতে পারলাম আমরা।
এখানে ভালো করে সব কিছু দেখলাম ছবি তুললাম বুঝলাম তারপরে আমরা চলে গেলাম আরেকটি ঘরে। এটি উপরতলার একটি ঘর। উপর তলায় ওঠা সিরিগুলো বেশ সুন্দর। তারপর আমরা আস্তে আস্তে সবাই মিলে উপরে উঠে গেলাম। সেখানে গিয়ে প্রথমে দেখতে পেলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি খাট। এটি তার ব্যবহৃত। তিনি যখন কুঠি বাড়িতে তার জমিদারি দেখাশোনা করতে আসতেন সে সময় তিনি এখানে ঘুমাতেন বলে শুনেছি। সঙ্গে দেখতে পেলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ব পুরুষদের বেশ কিছু ছবি। এই ছবিগুলো আগে দেখা হয়নি। অনেক কিছু দেখলাম জানলাম এবং বুঝলাম। আসলেই শিখার অনেক কিছু আছে। যেগুলা আমরা বয়ে পড়েছি সেগুলা বাস্তবে দেখা আলাদাই শান্তি।
তারপরে আমরা আরো ঘোরাঘুরি করছিলাম বিভিন্ন দিকে। তারপর ঘুরতে ঘুরতে চোখ পড়ল এই ছবিটির দিকে। সবাই এটি আগ্রহভরে দেখছিল। এটা নাকি কবিগুরুর নিজের হাতের লেখা। সত্যি বলতে আমি লেখাটা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারিনি। কিছু কিছু জিনিস বুঝলাম। আসলে এখানে দেখার জন্যই যাওয়া। অনেক কিছু দেখলাম শিখলাম এটাই।তারপরে আমরা সেখান থেকে চলে গেলাম উপরের দিকে। তারপর আমরা কি করলাম সেটা না হয় পরে শুনবেন।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৭জানুয়ারি ২০২৫
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


আপনার রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ভ্রমণের আগের পর্ব গুলো দেখেছিলাম। আজকে আরো একটা পর্ব দেখে ভালো লাগলো। আপনার পোস্টগুলোর মাধ্যমে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির বেশ কিছু ফটোগ্রাফি দেখেছি। আজকের পোস্ট দেখেও ভালো লাগলো। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1915084461362086064?t=ik_89zQbZZhHsPbHMMU2nA&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1915085010694279205?t=8o8mK8dsrEjyrZIzXQnC2w&s=19