দুই বান্ধবী মিলে রেস্টুরেন্টে একদিন।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ৩১ শে মে, শনিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। বিভিন্ন ধরনের পোস্টের পাশাপাশি আমি ঘোরাঘুরি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করে। আমার ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই মাঝে মধ্যে এদিকে সেদিকে ঘুরতে চায়। আবার মাঝে মধ্যে চলে যাই রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে। দুই বান্ধবী মিলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। সেই মুহূর্তই আপনাদের সাথে পোস্ট আকারে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি করার পাশাপাশি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক ভালো লাগে। আমাদের কুষ্টিয়াতে বেশ কিছু নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে। অনেকগুলোতে আমার যাওয়া হয়েছে কয়েকটা রেস্টুরেন্টে এখনো যাওয়া বাকি। আমার আবার নতুন কিছুর প্রতি খুব আকর্ষণ। নতুন কিছু হলেই সেখানে যেতে ইচ্ছা করে। তো সেদিন চলে গিয়েছিলাম ওয়েস্ট এরিয়া রেস্টুরেন্টে। কুষ্টিয়ার মধ্যে ডেকোরেশন এর দিক থেকে বেস্ট একটা রেস্টুরেন্ট ওয়েস্ট এরিয়া। এতদিন নাম শুনেছিলাম ছবিতে দেখেছিলাম তাই সেদিন বান্ধবীর সাথে একবার ঘুরে আসলাম।
রেস্টুরেন্টটা এককথায় অন্যরকম সৌন্দর্যে ভরপুর। চারি পাশে নানান রকম সৌন্দর্য। রেস্টুরেন্টটা সম্পূর্ণ পারপেল কালার আর প্রকৃতির ছোঁয়ায় ভরপুর। প্রকৃতি অর্থাৎ সবুজের ছোঁয়া। এক কথায় অসাধারণ। আমি তো রেস্টুরেন্টটাকে পারপেল কালারের রেস্টুরেন্ট নাম দিয়েছি। নামটা বেশ মানিয়েছে তাই না? সেদিন বান্ধবী আমার রুমে থাকবে বলে ঠিক করেছিল। তাই বান্ধবী সন্ধার দিকে আমার রুমে আসলো। রুমে এসে বল রেডি হ। আমি বললাম কোথায় যাবি? বান্ধবী উত্তরে বলল চল কেটে যাব। আমি বললাম আমি তাহলে নাচোস। আমার খুব বেশি নাচোস খেতে ইচ্ছে করছিল। ওয়েস্ট এরিয়া রেস্টুরেন্ট যেহেতু নতুন হয়েছে।সেজন্য আমরা সেখানে যাব বলে ঠিক করলাম।
আমরা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বেরিয়ে পড়েছিলাম রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। আমাদের এখান থেকে ১৫ মিনিটে রাস্তা। ১৫ মিনিটের মধ্যে আমরা সেখানে পৌঁছে গেলাম। সেখানে পৌঁছে বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সবকিছু এত অপূর্ব ছিল যে দেখে ভালো লাগছিল। সিঁড়ে উঠতে আমরা প্রথমে একটি মিরর দেখতে পেলাম। সেটা অপূর্ব সুন্দর। তার সামনে আবার বিভিন্ন ধরনের দামি এবং সৌন্দর্য ভরপুর ডেকোরেশন। ঝাড়বাতিগুলো অপূর্ব রকম সুন্দর। এভাবে সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আমরা প্রবেশ করলাম।
আপনারা তো ফটোগ্রাফিতে দেখতেই পাচ্ছেন রেস্টুরেন্টটা সম্পূর্ণ পার্পেল কালারের। সৌন্দর্যে ভরপুর একটা রেস্টুরেন্ট। আমরা প্রথমে ঢুকে রাস্তার সাইডে একটা টেবিলে বসলাম। সেখান থেকে স্পষ্ট রাস্তা দেখা যাচ্ছিল। বিভিন্ন কালার দেখতে চমৎকার লাগছিল। তারপরে আমরা অর্ডার করলাম। সেখানকার আসল সৌন্দর্য ছিল এই দোলনা গুলো। অপূর্ব সুন্দর লাগছিল। প্রথমেই নাচোস আর দুজনের জন্য দুটো কোক অর্ডার দিয়ে দিলাম। যতক্ষণে অর্ডার আসছিল ততক্ষণে আমরা বিভিন্ন কোয়ালিটির ছবি তুলে নিলাম। মেয়েরা যেখানে যাবে সেখানে ছবি তাদের তুলতেই হবে। দুই বান্ধবী মিলে অনেক ছবি তুললাম। দোলনায় বসে বেশ মজা করলাম। তারপরে রেস্টুরেন্টের মধ্যে ছিল সবুজে ভরপুর কিছু জায়গা আর একটা সুন্দর মিরর। সেখানে গিয়েও কিছু ছবি তুললাম ।
তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের অর্ডার চলে আসলো। দুজনে মিলে নাচোস খাওয়া শেষ করলাম। সম্পূর্ণটা শেষ করতে পারিনি। রেস্টুরেন্ট টা বাইরে থেকে দেখতে সুন্দর হলেও খাবারের কোয়ালিটি আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। এ থেকে অন্য রেস্টুরেন্টে নাচোস খেয়ে আমি বেশি মজা পেয়েছি। তবে যাই হোক রেস্টুরেন্টে দেখতে সুন্দর। এখানকার খাবারের প্রাইস ছিল অন্য রেস্টুরেন্টের তুলনায় অনেক বেশি। সৌন্দর্যে ঘেরা জায়গা সে জন্যই হয়তো এরকম প্রাইস। তারপরে দুজনে মিলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম।
দুজনের খাওয়া-দাওয়া শেষ করতে প্রায় ৯ টা বেজে গেল। বেশ অনেকটা সময় সেখানে কাটিয়েছিলাম। কয়েকদিন পর বান্ধবীর সাথে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে বেশ ভালো লাগছিল। আমি অবশ্য মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে খেতে যাই। মেসে থাকলে রান্না করতে ইচ্ছা করে না। দুই বান্ধবী মিলে বেশ মজা করেছিলাম। তারপর আমরা একটা রিকশা নিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম। সেদিন আমার বান্ধবী আমার রুমেই ছিল। বেশ মজা করে কাটিয়েছিলাম সময়টা।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৪ শে মে ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


https://x.com/PurnimaBis34652/status/1928870456125202717?t=qq-jYM28WkyvpOX3kgvZFw&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1928870827350430084?t=G5MmRbEEz7id7f1nm2-GSw&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1928871126391763435?t=ukDFmzT2GsTX5jZRYE_RGQ&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1928871495805043008?t=9lENKgqxCQkohyapkc4zxw&s=19
0.00 SBD,
0.01 STEEM,
0.01 SP
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
কতই না সুন্দর রেস্টুরেন্টটা দেখেই মন ভরে গেল। প্রথম ছবিটা কিন্তু দারুণ হয়েছে। যাইহোক এ ধরনের খাবার গুলো দেখে শুধু লোভ যাই কিছু করার নেই। কারণ মানুষের মত আমার আবার বান্ধবী নাই 😁 দুই বান্ধবী মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।