দুই ভাইবোন মিলে নৌকা ভ্রমণ। (পর্ব -২)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০৮ আগস্ট, শুক্রবার , ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।
ক্রিটিভিটির পাশাপাশি প্রতিদিনের হাসি খুশির মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে আমি অনেক ভালবাসি আগের দিন দুই ভাইবোন মিলে নৌকা ভ্রমণের মুহূর্তের কিছু অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। সেই পোস্টটি ফিচারড হয়েছিলো।যেটা দেখে আমি ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। আজকে পরবর্তী অংশ শেয়ার করব। সেদিন যেখানে শেষ করেছিলাম আজ সেখান থেকেই শুরু করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
বেশ অনেকটা সময় অপেক্ষা করার পর। বেশ কিছু লোকজন এসেছিল নৌকায় উঠার জন্য। শুক্রবারে বেশি লোক থাকেন। আমরা শুক্রবারে গিয়েছিলাম না। আমার যতদূর মনে পড়ে আমার সোমবার দিন গিয়েছিলাম। সেদিন লোকজন একটু কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেজন্য খুব সহজে মানুষ হচ্ছিল না। তারপর আমাদের সাথে আরো কয়েকজন উঠে পড়ল। তখন মাঝি নৌকা ছাড়তে রাজি হলে না।
বিকাল ৫ টার কিংবা সাড়ে পাঁচটা এরকম সময় নৌকা ছাড়লে। বেশ অনেকদিন পর নৌকা ভ্রমণ করছি। নদীর যে বড় বড় ঢেউ আমি প্রথমেই ভয় পাচ্ছিলাম। আমি খুব একটা নৌকায় ওঠার সাহস রাখি না।তারপর সেদিন খুব শখ করে উঠেছিলাম। প্রথম উদ্দেশ্য ছিল ভাইকে নিয়ে ঘুড়া। সেজন্যই গিয়েছিলাম। আমাদের সাথে কয়েকটা ফ্যামিলিও গিয়েছিল। কয়েকজন আপু ভাইয়েরাও ছিলেন। প্রত্যেকের ভীষণ মজা করছিলাম।
আস্তে আস্তে নৌকা চলতে শুরু করে। পৌঁছে যায় নদীর মাঝে। দুই পাশে নদীর তীর মাঝখানে আমরা। দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। শান্ত নদী তারপরে নৌকা। রোদের আলো তখন অনেকটাই কমে এসেছে। চারিদিকে হালকা হালকা হয়েছে। অসম্ভব সুন্দর মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল। চারিপাশের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আমরা যেতে থাকলাম।
কিসে দূর যেতে দেখতে পেলাম দুই ধার দিয়ে বয়ে গেছে কাশবন। এইতো আর কিছুদিন পরে শরৎ। তখন শুধু আকাশে সাদা মেলা আর বনে থাকবে কাশের দোলা। ভাবতেই যেন ভালো লাগছে না। নদীর ধার দিয়ে যখন সাদা সাদা কাশফুল ফুটে থাকে তখন যেন অন্যরকম সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। বিশেষ করে যখন আকাশে মেঘের খেলা দেখা যায়। শরৎকালটাই অদ্ভুত রকমের সুন্দর। যাইহোক এসব ভাবতে ভাবতেই চলে যাচ্ছিলাম মোহনার দিকে।
কুষ্টিয়া পদ্মা গড়াই মোহনার কথা কুষ্টিয়া বাসীরা বেশ ভালো করেই জানে। সেখানে আমি অনেকদিন আগে একবার গিয়েছিলাম। আর এবারে গেলাম। যেতে যেতে সুন্দর একটি নৌকার দেখা পেলাম। যেটা দেখতে ভীষণই সুন্দর লাগছিল। সেখানেও আমাদের মত কিছু মানুষ মোহনা থেকে ফিরছিল। এরকম ভাবে যেতে যেতে সূর্যটা আস্তে আস্তে অস্তে চলে গেল। নৌকায় থাকা প্রত্যেকটি মানুষ বেশ মজা করছে না। প্রত্যেকে নিজেদের মতো গল্প করছিল। আমারাও দুই ভাই বোন মিলে কয়েকটা আপু ভাইয়ের সাথে গল্পের মধ্যে উঠলাম।
এভাবে করতে করতে আমরা যাচ্ছিলাম। সামনে দেখি একজন জেলে মাছ ধরছেন। যেটা ছিল একটি সুন্দর মুহূর্ত। তাই আমি তোতা ক্যামেরা বন্দি করি। সেখানে হাটু জল ছিল। দেখতে সেই ছোটবেলার কবিতার কথা মনে পড়ে গেল। কত সাধারন জীবন যাপন তাদের। উনি একা একাই মাছ ধরছিলেন। জাল দিয়ে এভাবে মাছ ধরা অনেক দিন পর দেখলাম। শুধু আমি না সেখানে একটি ভাইয়া ছিল যিনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তিনিও সুন্দর সুন্দর কিছু ভিডিও ধারণ করছিল।
আমাদের জার্নি ছিল প্রায় দেড় ঘন্টার মত। যাওয়ার সময় এক ঘন্টা মত লেগে গিয়েছিল। এভাবে মজা করতে করতে আমার পৌঁছে যায় পদ্মা গড়াই মোহনায়। নৌকায় আমাদের সাথে ওই ভাইয়া আপুগুলো থাকায় আমাদের বেশি মজা হয়েছিল। যাওয়ার সময় আমরা অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম। নিজেদেরও বেশ কিছু ছবি ক্যাপচার করেছিলাম।আজ এই পর্যন্তই। বাকি অংশ পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14

