বোনকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৫ শে এপ্রিল,শুক্রবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আপনাদের সাথে নানান ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে আমার খুব ভালো লাগে। আজ হাজির হয়েছিল নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সেদিন বাবা বোনকে আমার কাছে দিয়ে যাওয়ার পর। স্টেশন থেকেই বোনকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
সেদিন স্টেশন থেকে বোনকে নিয়ে গিয়েছিলাম বোনের জন্য একটি জামা কিনে দেবো তাই। আমার কাছে নিজের জিনিস কেনার থেকে বোন কিংবা মায়ের জিনিস কিনতে বেশি ভালো লাগে। আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার বোন এবং মায়ের জিনিস কিনার। এগুলো আমার জমানো টাকা থেকেই কিনি। আমার কাছে ব্যাপারটা খুব ভালো লাগে। তো সে যাই হোক। জামা কিনতে যাওয়ার সময় প্রথমে গিয়েছিলাম মোবাইলের ব্যাক কভার কিনতে।জেলখানা মোড়ের প্রত্যেকটি দোকান খুঁজে খুঁজে দেখেও আমার মোবাইলের ব্যাক কভার পেলাম না। তারপরে সেখানেই সামনে একটি রেস্টুরেন্ট দেখতে পেলাম। এটা ঠিক রেস্টুরেন্ট না ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট। মেইনলি ক্যাফে বলে সবাই চেনে। আমি বোনকে সেখানে যাওয়ার জন্য বললাম।
বোন যেতে রাজি হয়ে গেল। এ রেস্টুরেন্টে আমার কখনো আসা হয়নি। এটা বেশ ভালো। গল্প কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য বেস্ট একটা রেস্টুরেন্ট। আমরা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে প্রথমেই জিজ্ঞেস করলাম এখানে কি কি পাওয়া যাবে। তো এখানে খুব বেশি আইটেম ছিল না। যেহেতু এটা ক্যাফে টাইপের। তাই এখানে বিভিন্ন পানি ও খাবার ছিল। তার মধ্যে থেকে আমি আমার বোনকে জিজ্ঞেস করে একটা স্ট্রবেরি জুস,একটি চকলেট মিল্ক শেক, নাগেটস,ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অর্ডার করে নিলাম।
বোন আমার স্ট্রবেরি খেতে চেয়েছিল তাই তার জন্য স্ট্রবেরি জুস। আর মিল্কশেক অনেক পছন্দ। তো দুজনের জন্য দুটি নিয়ে নিলাম। তারপর আমরা দুজন গিয়ে সিটে বসে অপেক্ষা করলাম। বোন আমার প্রচুর গল্প করতে পারে। অনেকদিন পর আমার সাথে দেখা হয়েছে। তার গল্পের শেষ নেই। গল্পের ঝুড়ি খুলে বসেছে। আমিও তার কথা মন দিয়ে শুনছিলাম। শুনতে শুনতে বনের কয়েকটি পিকচার তুলে দিলাম। সে আবার পিকচার তুলতেও খুব ভালোবাসে। সে যেটা ভালোবাসে আমি সব সময় সেটা করার চেষ্টা করি। আমি আমার বোনকে খুব ভালোবাসি।
এভাবেই ছবি তুলতে তুলতে এবং গল্প করতে করতে আমাদের অর্ডার করা খাবার গুলো চলে আসলো। তারপর আমরা দুজনে খাওয়া শুরু করলাম। বোন তো আমার একটু খেয়ে আর খেতে পারে না। সে আবার জুসের গ্লাস নিয়ে কয়েকটি পোজ দিয়ে ছবি তুললেন। তারপর একটু খেয়ে আর সে খেতে পারছে না। আমিও বললাম আর জোর করে খেতে হবে না। আমি আমার মিল্কশেক শেষ করেছিলাম বোনতো কিছুই শেষ করতে পারল না।
তারপরে খেয়াল করে দেখলাম বেশ অনেকটা রাত হয়েছে। রেস্টুরেন্টে লোকজন বিশেষ ছিল না। একটা আন্টি ছিল আর কয়েকটা আঙ্কেল ছিলেন। তারা তাদের অফিসের বিষয়ে আলোচনা করছিল। এরকম বিষয় আলোচনা করার জন্য রেস্টুরেন্টে একদম পারফেক্ট। নিরিবিলি একটি জায়গা। যাইহোক আমরা আর দেরি করলাম না। বোন বলল আমি আর খেতে পারছি না চলো উঠে যাই। তারপরে আমরা বিলটা দিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসলাম। বোনকে নিয়ে ভালো একটা রেস্টুরেন্টে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল এবার। কিন্তু কিছু কারণ বসত তো হয়ে উঠলো না। তবে বোন আমার এতেই খুশি।
ওকে আমি বলেছি পরেরবার আসলে ওর পছন্দ মত রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাব। ও বলেছে আচ্ছা ঠিক আছে। আমার বোনের সাথে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে। দুজন মিলে গল্প করতে করতে একটা রিক্সা নিয়ে মার্কেটে চলে গেলাম। বেশ ভালো কেটেছিল সময়টা।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১২ ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


সব সময় অল্পের সন্তুষ্ট থাকা ভালো তবেই জীবনের বড় বড় খুশি গুলো পাওয়া যায়। আপনি অবশ্যই বোনকে নিয়ে বড় কোন রেস্টুরেন্টে যাবেন কিন্তু বোন যে এখানে এসেও আনন্দিত হয়েছে সেটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমরা প্রত্যেকেই এমন যে আমাদের ভাই বোন বা মা-বাবা এদের সবার জন্য জিনিসপত্র কিনতে আমাদের ভালো লাগে। আমি তো নিজের কতদিন নিজের জন্য কিছু কিনি না সবসময় এর ও তার করে কিন্তু আমার চলে যায়।
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1915821404458737952?t=CCIxS4vVskp97mY1gyxVFQ&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1915822099253629251?t=w5dyjYX2LgqLLRLl-BqjNw&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1915822663517585687?t=fx3QGFaQhVSIWsrxw5t_SQ&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1915823157241581988?t=7fCzICN_5M15RmIISV_TSQ&s=19
বোনের সাথে রেস্টুরেন্ট অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছো জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। বোনকে অনেকটা ভালোবাসো এটা খুবই ভালো। অবশ্যই পরেরবার বোনের ইচ্ছামত রেস্টুরেন্টে নিয়ে যেতে হবে কিন্তু। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।