অবশেষে সমাপ্তি!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

শেষ পর্যন্ত আমার থিউরির সাথে সাথে এই সেমিস্টার এর ল্যাব ফাইনাল গুলো ও শেষ হলো। অর্থাৎ আমি যেনো একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারলাম। কারণ এই কয়েকদিন আমার উপর যে কি ঝড় তুফান গিয়েছে। সেটা একমাত্র আমিই জানি। কারণ প্রতিদিন এই ল্যাপটপ অর্থাৎ আমার ল্যাপটপ আসলে গেমিং ল্যাপটপ হওয়াতে অসম্ভব ভারী। তো এভাবেই ল্যাপটপ নিয়ে প্রতিদিন ইউনিভার্সিটির যাওয়া আবার সাত তলা থেকে আট তালা সিঁড়ি বেয়ে ওঠা যে কি পরিমাণ কষ্টকর। সেটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতোন নয়।

তো সেই সব থেকে অল্প কয়েকদিন নিস্তার পাবো। এটা ভাবলেই যেনো ভালো লাগছে। কারণ এই কয়েকদিন এতো বেশি কষ্ট পেয়েছি। যেটা আসলে না বললেই নয়। কারণ সত্যি কথা বলতে প্রতিদিন এই ভারি ল্যাপটপ বহন করে নিয়ে যাওয়া আর সেই সাথে বিভিন্ন প্রজেক্ট, সফটওয়্যার ইত্যাদির কাজ তো রয়েছে। আর সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হলো। যখন টিচারেরা এটা চায় যে আমরা রাতারাতি একটি সফটওয়্যার তৈরি করে ফেলবো। আসলে কিছুই করার নেই। কারণ টিচারদের যা রিকোয়ারমেন্ট, তা পূরণ করতেই হয়। আর তা না হলে আবার মার্কস কাটা যাবে। সেই কারণে আসলে আমার কাছে এটা মনে হয় যে এক্সাম শেষ হওয়ার মতোন শান্তি পৃথিবীতে আর কিছু নেই।

তার চেয়েও বড় আনন্দের ব্যাপার হলো অল্প কয়েক দিন হলেও। এই কয়েকদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার জন্য অ্যালার্ম দিতে হবে না। যেটা সত্যিই অনেক স্বস্থির। তার কারণ হলো সকাল বেলা আসলে এলার্ম দেওয়ার কষ্ট। অর্থাৎ এলার্ম শুনে ঘুম থেকে উঠার মতোন কষ্ট আমার মনে হয় না পৃথিবীতে আর কিছু রয়েছে।কারণ আমার কাছে মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে মজার ঘুম আসে সকালবেলাতে। আর তখন যদি উঠে যেতে হয়। তাও আবার একেবারে ভোরবেলা। তখন আসলে খুব কষ্টই লাগে। তাও আবার আমার মতোন যদি অলস মানুষ হয়, তাহলে তো কথাই নেই। যাইহোক, কয়েকদিন একটু আরাম করতে হবে। কারণ এর পরে আবার আরেক সেমিস্টার শুরু হবে। আর আরেক সেমিস্টার মানে হলো আরেক প্যারা।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।