আমাদের ঈদের দিনটি
বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
ঈদ মোবারক।আপনাদের একদিন আগেই আমাদের ঈদটি শেষ হয়ে গেল।ঈদ আসলেই যেন ছোটবেলার কথা মনে পড়ে।ছোটবেলার মতো এত আনন্দ আর কোনদিনও পাওয়া যাবেনা। ছিল না কোন দায়িত্ব, ছিল না কোন কাজের চাপ, সারাদিন শুধু ঘুরা-ফেরা আর আনন্দ।আর এখন ঈদ এলেই কাজ যেন শেষই হয় না, ২-৩ দিন আগে থেকেই শুরু হয় ঈদের প্রস্তুতি।তবে আমাদের এখানে ঈদের দিন কোন কাজের চাপ থাকে না। কারণ সকলেই ঈদের আগের দিন যত রকম রান্নাবান্না আছে সব শেষ করে রাখে।ঈদের দিন শুধু খাওয়া দাওয়া আর ঘোরাফেরা।আর এদেশে তো কোরবানি দেওয়ার কোন ঝামেলা থাকে না, কারণ সকলেই বাংলাদেশে কোরবানির টাকা পাঠিয়ে দিয়ে থাকে। আর বাংলাদেশের মা-বোনদের অবস্থা তো বেশি খারাপ। কোরবানির ঈদের দিন তারা ব্যস্ত থাকে গরু আর খাসির মাংস নিয়ে।তাদের সারাদিন কেটে যায় মাংসের ভাগাভাগি আর তার প্রসেস নিয়ে।যাইহোক মাংসের কোন ঝামেলা আমাদের এখানে নেই।
যদিও এবারে ঈদটি আমার কাছে একটু ভিন্নতর ছিল। কারণ আপনারা অনেকেই জানেন আগামীকাল শনিবার ভোর ৭:০০ টায় আমার অপারেশন হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেই আগামীকাল ইনশাল্লাহ অপারেশন হয়ে যাবে। আর সেই অপারেশনের টেনশনে ঈদ তেমন ভালো কাটেনি।প্রতি ঈদে আমরা লন্ডনে বড় ভাসুরের বাসায় গিয়ে ঈদ করি। এছাড়া সেখান থেকে খালা শাশুড়ির বাসা সহ আরো অনেক আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাই। কিন্তু এবার অপারেশন থাকার কারণে কোথাও যাইনি, শুধু ছোট ভাসুরের বাসায় গিয়েছিলাম দুপুরে।আর অপারেশনের কারণে আমি নিজের বাসায় তেমন রান্না করিনি, মাত্র চারটি আইটেম করেছিলাম রোস্ট, বোয়াল মাছ, চিকেন আর গরুর মাংস।আর ভাসুরের বাসায় গিয়ে দেখি ভাবি প্রায় আট থেকে নয় টি আইটেম করেছে।এতো আইটেম কি খাওয়া যায় বলুন? তারপরও একটু একটু করে ট্রাই করেছি সবগুলো টেস্ট করতে।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
ভাবীর তৈরি আইটেমগুলো।
যেহেতু প্রতি ঈদে অনেক ঘোরাফেরা হয়, কিন্তু এবার কোথাও যাচ্ছি না দেখে মেয়েদের মন খারাপ।তাই তাদেরকে নিয়ে গেলাম ভাসুরের বাসার পাশে একটি সুন্দর পার্ক রয়েছে সেখানে। এবার ঈদের দিনটি পরেছে শুক্রবার তাই তাদের স্কুল খোলা ছিল। আর আমাদের এখানে ঈদের দিন স্কুল বন্ধ থাকে না কারণ বেশিরভাগ স্কুলেই মুসলমান স্টুডেন্টের সংখ্যা খুবই কম, এ কারণে স্কুলগুলো খোলা থাকে।তবে লন্ডনে বেশিরভাগ স্কুল বন্ধ থাকে কারণ সেখানে মুসলিম স্টুডেন্টের সংখ্যা একটু বেশি থাকে।ঈদের দিন তো আর বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো যায় না।তবে বড় মেয়ের ফ্রেন্ড স্কুলে যায়নি, ঈদ করতে আমাদের বাসায় এসেছিল।অনেক সকালে সে চলে এসেছিল বাসায়। এরপর এসে হাতে মেহেদি পরা, ভাসুরের বাসায়, পার্কে যাওয়া বেশ ভালোই ইনজয় করেছে সে।ঈদের সালামি পেয়েও সে খুব ইনজয় করেছে কারণ এর আগে কখনো সে এভাবে সালামি পাইনি। হাজব্যান্ড সালামী দিয়েছে এবং ভাসুরও তাকে সালামী দিয়েছে।এমনকি সে আমাদের সাথে সাথে পোলাও রোস্টও খেয়েছে, যদিও তারা স্পাইসি খাবার খেতে পারেনা তবুও সে খেয়ে ইনজয় করেছে।
বাচ্চাদের পার্কে কাটানো কিছু মুহূর্ত।
এরপর পার্কে কিছু সময় কাটিয়ে চলে এলাম বাসায়। এভাবেই কেটে গেল আমাদের ঈদের দিনটি। যাইহোক বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।সকলে আমার জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন যেন আগামীকাল ভালোভাবে অপারেশনটি হয়ে যায়।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

Congratulations @tangera, your post was upvoted by @supportive.
ইতোমধ্যেই হয়তো আপনার অপারেশন হয়ে গেছে। আপনার অপারেশনের কথা শুনে খারাপ লাগছে। আপু আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এই দোয়াই করি। যাই হোক ঈদের দিন কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি আপনার অপারেশন যেন অনেক ভালোভাবে হয় এবং আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। অসুস্থতার কথা শুনলেই খুব খারাপ লাগে।
দোয়া করি অপারেশন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন এই দোয়া করি। টেনশনে থাকলে আসলে কোন আনন্দই ঠিক ভাবে এনজয় করা যায় না। যদিও মেয়েদের কথা ভেবে কিছুটা হলে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ঈদে দিনে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আশা করি আপনার অপারেশন ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে আপু।তাছাড়া ঈদের সময় বাচ্চারা বেশি আনন্দ করে, আপনারা সবমিলিয়ে ভালো সময় পার করেছেন।যাইহোক আপনার জন্য শুভকামনা রইলো আপু।