ঈদের আগের দিনের আনন্দ ও মেহেদি দেওয়ার আমেজ।।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে দীর্ঘ কয়েক মাস আগে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে ।আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো " ঈদের আগের দিনের আনন্দ ও মেহেদির দেওয়ার আমেজ " । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

সোর্স

ঈদের আগের দিন মানেই এক আলাদা উত্তেজনা, প্রস্তুতির ব্যস্ততা আর আনন্দের জোয়ার। এই দিনটি যেন এক বিশেষ রঙে রাঙিয়ে তোলে আমাদের জীবনকে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য এটি এক অন্যরকম আনন্দের দিন। নতুন জামা-কাপড় পরার আনন্দের পাশাপাশি, হাতে মেহেদি দেওয়ার উচ্ছ্বাস তাদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে ।ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা সারাদিন অপেক্ষায় থাকে কখন হাতে মেহেদির নকশা ফুটবে। কেউ নিজের হাতে দেয়, কেউ বা অন্যদের হাতে লাগিয়ে দেয়। নানা রকম ডিজাইন, ফুল, পাতা আর জটিল নকশায় হাত রাঙানোর এই সময়টা যেন এক অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে আসে। ঈদের আগের দিন দুপুর থেকেই মেয়েরা মেহেদির প্রস্তুতি শুরু করে, বিকেল হতে না হতেই সবার হাত রঙিন হয়ে ওঠে।

এবার ঈদের আগের দিনটিকে আমরা অনেকেই ভালোবেসে 'চাঁদ রাত' বলি। এই রাত মানেই আনন্দ, উত্তেজনা আর প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। ঈদ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ হলো মেহেদি পরানো, আর আমি তো ছোটবেলা থেকেই মেহেদি দিতে ভালোবাসি।চাঁদ রাত এলেই ছোট ভাই-বোনরা আমার কাছে এসে মেহেদি দেওয়ার জন্য আবদার করতে শুরু করে। দুপুর থেকেই তাদের আবদার শুরু হলেও আমি সবসময় বলি, 'বিকেল থেকে শুরু করবো।' কিন্তু একবার শুরু করলে আর শেষ নেই! বিকেল থেকে শুরু হয়ে তা গড়িয়ে চলে রাত ১২টা পর্যন্ত।

সোর্স
চাচাতো ভাই-বোনদের সঙ্গে সঙ্গে আর ও অন্যান্য অনেকের হাতে মেহেদি দিতে দিতে কখন যে সময় কেটে যায়, টেরই পাই না। তাদের হাত রাঙানোর আনন্দের মাঝেই সময় কেটে যায়, কিন্তু শেষে যখন নিজের হাতের দিকে তাকাই, দেখি আমার নিজের জন্যই সময় হয়নি! প্রতিবারই ভাবি, এবার নিজের হাতেও ভালো করে মেহেদি দিব, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের জন্য সময় বের করতে পারি না।তবে সত্যি বলতে, এই ব্যস্ততা, এই আনন্দ আর ভালোবাসার মুহূর্তগুলোর জন্যই তো ঈদ এত স্পেশাল! ভাই-বোনদের হাসিমুখ আর খুশির ঝলকানি আমার ঈদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেয়। প্রতি বছর এভাবেই চাঁদ রাত কেটে যায়, আর আমি অপেক্ষায় থাকি পরের ঈদের জন্য, যখন আবারও সবাই মিলে মেহেদির রঙে রঙিন হবো।

ঈদের আগের এই দিনটি শুধু প্রস্তুতির দিন নয়, বরং এটি একসঙ্গে সময় কাটানোর, ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়ার দিনও। হাসি-ঠাট্টা, গল্প, আনন্দ আর রঙিন মেহেদির ছোঁয়ায় ঈদের আনন্দ যেন আরও গাঢ় হয়ে ওঠে।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।