সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হলো।বছর জুড়ে দিনটির অপেক্ষায় থাকে দরিদ্র ,নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো।এই ঈদে যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তারা পশু কুরবানির মধ্যে দিয়ে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করেন।তাছাড়া দরিদ্রদের মাঝে গোশত বিতরণের মাধ্যমে তাদের এক বছরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করেন।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের জন্য গরু কিংবা খাসির গোশত কিনে খাওয়াটা অনেকটা টাফ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।কয়েক বছর আগেও অনেকের সাধ্যের মধ্যে উক্ত পশুগুলোর গোশত কেনা থাকলেও বর্তমান আর নেই।আর যার কারণ গুলো আমাদের কারো অজানা নয়।দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিম্নবিত্তদের জন্য অনেকটাই সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই ঈদ কে কেন্দ্র করে ধনী,গরীব সকলের মাঝে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রেখে একে অপরের পাশে থাকার একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা বলা যায় ।
যাইহোক আজকের ঈদের দিনটি কেমন কাটছে বন্ধুরা আপনাদের?আমার কিন্তু বেশ ভালো কেটেছে দিনটি।সকলের দিকে ঘুম থেকে উঠে যাওয়া এরপর আব্বু আর ভাই নামাজে যাবে এজন্য টুকিটাকি জিনিসপত্র এগিয়ে দেওয়া।তারপর খানিকক্ষণ ফোন চালানো হলো।তারপর ভাই কুরবানির গোশত দিয়ে যাওয়ার পর আম্মুর কাজে সাহায্য করা।যদিও খুব বেশি কাজ করতে হয়নি আম্মুই সব কাজ করেছিলেন। তারপর গোসল খাওয়া দাওয়া মিষ্টান্ন আইটেম থেকে শুরু করে সবকিছু ঈদের স্পেশাল মেনুগুলো।
ভরদুপুরে দুই ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেওয়াও হলো।ঘুম থেকে উঠে আবারও হালকা খাওয়া দাওয়া।আর এখন ভাবলাম পোস্ট টা সেরে নিয়ে একটু হাঁটতে যাব।যদিও এবার গরমের মধ্যে আর সাজুগুজু করা হয়নি ।শুধু আমারই এই অবস্থা না বাড়ির বাচ্চা যারা রয়েছে কেউ গরমে নতুন জামা পরে আর ঘুরে বেড়াতে পারছেনা।
সব মিলিয়ে অতিরিক্ত গরম হলেও দিনটি বেশ ভালো ছিল। সকালের দিকে ঠাণ্ডা বাতাস ছিল এজন্য কুরবানির সময় খুব একটা সমস্যা হয়নি কারো।সৃষ্টিকর্তার রহমত ছিল সেই সময়টায়।দুপুরের পর থেকে ব্যাপক ভ্যাপসা গরম পড়েছে। আশা করছি দুই তিনদিনের মধ্যেই বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাবে।তবে ঈদের দিন বৃষ্টি হলে কর্দমাক্ত রাস্তাঘাট ,উঠান ভালো লাগেনা।তাই গরম পড়লেও আমার বেশ ভালো লাগছে দিনটি।
আপনারা যারা কুরবানি দিয়েছেন তারা আবর্জনা গুলো নিদ্দিষ্ট স্থানে ফেলতে চেষ্টা করবেন তা না হলে পরিবেশ দূষণ হবে। যার ফলে আমাদেরই পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আমাদের নিজেদেরই পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।পরিবেশের সবকিছু আমাদের হাতে না থাকলেও যেগুলো রয়েছে সেগুলোতে বিশেষ নজর দিতে হবে কেননা অনাবৃষ্টির কারণগুলোর জন্য আমরা নিজেরাই অনেকটা দায়ী।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 17thJune,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

ঈদুল আজহার অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু। আসলেই আপু ঈদেই মনে হয় গরীবদের মুখে মাংস জুটে।আর আমার মনে হয় আজকে এমন একটা দিন। যে দিনে ধনী গরীব সবার বাসায় মাংস রয়েছে। আসলে আপু কোরবানির পরে আর একটু ফ্রি হতে পারি নাই । কাজ করতে করতে অবস্থা খারাপ। তবুও আলহামদুলিল্লাহ ভালো লেগেছে অনেক।
আপু আপনাকেও ধন্যবাদ উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপনাকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। এই কোরবানি ঈদের জন্য অনেক দরিদ্র পরিবারই অপেক্ষা করে থাকে। আজ এমন একটা দিন যে দিনে অনেক দরিদ্র পরিবার মন ভরে মাংস খেতে পারছে। বর্তমানে মাংস কেনা টা তো একদমই টাফ হয়ে দাঁড়িয়েছে দরিদ্র কিংবা মধ্যবিত্তদের জন্য।সব মিলিয়ে দারুন ছিল পোস্টটি। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি আপু এই ঈদের অপেক্ষায় থাকে অনেক মানুষ,ধন্যবাদ ।
ঈদের শুভেচ্ছা জানাই আপু আপনাকেও। ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে সবাই মিলে একসাথে একত্রিত হওয়া আর সকল হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে সবাই একই সারিতে নামাজ আদায় করা। সেই সাথে পশু কোরবানি দিয়ে নিজের আত্নশুদ্ধি করা। দিনটি বেশ ভালো গেলো আপু আমার।
জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।