ইগো থাকতে নেই!
07-05-2025
২৪ বৈশাখ , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো দিনশেষে সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ কয়েকটা দিন ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই গেল। আসলে সময়ের সাথে সাথে জীবনের অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়। নিজের ভালো লাগা, নিজের কাজ, নিজের প্রতিদিনকার রুটিন সবই! আর সেটা পরিবর্তন হওয়ায় ভালো। বরং অতীতকে ভুলে থেকে নতুনকে নিয়ে বাচঁতে শেখা যায়। তো আমিও চেষ্টা করছি সেটা করার জন্য। তবে পেরে উঠতে অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে অনেক বছর পরে পোস্ট লিখতে বসলাম। মনের অনুভূতি শেয়ার করতে না পারলেও ভালো লাগে না।
আমাদের মধ্যে একটা কমন রোগ দেখতে পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে ইগো প্রবলেম! অধিকারংশ মানুষেরই এ সমস্যাটা রয়েছে। তবে যাদের নেই তারা অবশ্যই সেদিক থেকে ভালো। ধরুন, আপনার একজন বন্ধু খুব ভালো কাজ পারে। আপনিও ভালো কাজ পারেন। তবে একদিন দেখা গেল এমন একটা সমস্যা দেয়া হয়েছে যে,আপনি সেটা পারলেন না। কিন্তু আপনার বন্ধু ঠিকই সেটা পেরে গেল। আপনার বন্ধু কাছ থেকে সবাই সে সমস্যাটার সলিউশন বের করে ফেললো। কিন্তু আপনি আপনার বন্ধুর কাছে যাচ্ছেন না। কারণ আপনিও তো সব প্রবলেম পারলেন, আপনি কেন তার কাছে যাবেন! হয়তো ভাবছেন আপনার বন্ধু সব পারে। আপনি তার কাছে গিয়ে সমস্যাটা শিখলে আপনি ছোট হয়ে যাবেন। এই যে আপনার মাঝে যে ইগোর সমস্যাটা দেখা দিল সেটা না হলে কিন্তু আপনার বন্ধুর সহায়তায় আপনি সমস্যাটা সমাধান করে ফেলতে পারতেন।
আমাদের বাস্তব জীবনে এমন ঘটনা এমন অনেক দেখা যায়। বিশেষ করে এই কয়েকদিনে আমি তাই অনুভব করলাম। ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার স্বপ্ন অনেকেরই থাকে। তবে চান্স পাওয়ার পর অনেকের ইগো বেড়ে যায়। অনেকেই নিজেকে অনেক বড় মনে করে। সে ভাবে হয়তো জীবনে অনেক বড় কিছু করে ফেলছি। যাদেরকে শ্রদ্ধা করার দরকার তাদেরকে শ্রদ্ধা করেনা। সে ভাবে এখন তো ভার্সিটিতে পরে সে তার শ্রদ্ধা করার দরকার নেই কাউকে। ভার্সিটির ভিতরের কথা যদি তাহলে বলতে হয় যে একটু ভালো পারে তার একটু বেশি ইগো। যে পারে বেশি সে কখনো যে পারে না তার কাছে যেতে চাই না। এই যে ইগোর প্রবলেমের কারণে একজনের সাথে আরেকজনের একটা গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। সেটা কখনোই হতো না যদি ইগোর প্রবলেম টা না আসতো।
কি এমন সমস্যা হয়ে যায় যদি আমরা একজনের সাথে আরেকজন একটা বিষয় শেয়ার করি! কারো কোনো ক্ষতিই হয় না আসলে। এই যে ইগোর সমস্যা এটা আমি মনে করি না থাকাই ভালো। আপনি ভালো জায়গায় যেতেই পারেন। তাই বলে নিজেকে সবসময় বড় মনে করা ঠিক না। আপনার থেকেও ভালো কেউ বুঝতে পারে এটা স্বাভাবিক। আর সেটা মেনে নিতে শিখেন। যত তাড়াতাড়ি মেনে নেয়া যায় তত তাড়াতাড়ি ভালো।
ব্যক্তিজীবনে একজনের সাথে আরেকজনের ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি করতে হলে আমি মনে করি ইগো থাকা যাবে না। আপনি যদি ইচ্ছা করেই কথা না বলেন তাহলে তো প্রবলেম। কথা বলুন, তাদের সাথে চলুন। অনেক কিছুই শেখা যায়। আসলে ভার্সিটি লেভেলে এসে যা বুঝলাম! ভার্সিটিতে ইন্ট্রোভার্ট থেকে এক্সট্রোভার্ট এদের দাম বেশি। সবার সাথে না মিশলে আসলে কোনো কিছুই শেখা যায় না। গ্রুপওয়ার্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেখানে। এখন আপনি যদি ইন্ট্রোভার্ট হয়ে থাকেন তাহলে এসব গ্রুপওয়ার্ক আপনার কাছে ভালো লাগবে না। আর ভার্সিটিতে একা একা পড়ে পাস করে ফেলবেন! এটা মেবি কঠিন। কারণ এখানে গ্রুপওয়ার্কটা অনেক বেশি কার্যকরী। দিনশেষে ইগোকে দূরে ঠেলে সবার সাথে মিশুন, কথা বলুন। আপনার ভালো কথা অথবা আপনার ভালো ব্যবহারের জন্য মানুষ আপনাকে মনে রাখবে।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.