মনুষ্যত্বহীন শিক্ষিত ব্যাক্তি সমাজের জন্য একপ্রকার বোঝা
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের মাঝে কোন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।আজকে তিনদিন যাবৎ সোশাল মিডিয়ায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন একজন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ঢাকা ভার্সিটির কিছু ছাত্র।সবচেয়ে দুঃখের বিষয় তাকে মারা হয়েছে ভাত খাইয়ে ।অর্থাৎ একবার ভাত খাওয়ানো হয়েছে আবার খানিকক্ষণ মারা হয়েছে আবার ভাত খাওয়ানো হয়েছে মারা হয়েছে এভাবেই আরকি।অথচ তারা বাংলাদেশের সেরা বিদ্যাপীঠের ছাত্র।আমরা শিক্ষিত হচ্ছি কিন্তু মনুষ্যত্ব টা এখনো অর্জন করতে আর পারলাম কই।একজন মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায় আসলেই?তারপর একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে।আমাদের ইসলাম ধর্মে পাগলের জন্য শরীয়াহ ও নিষিদ্ধ রয়েছে।কারণ একজন যিনি কিনা মানসিক ভারসাম্যহীন তার কাছে দুনিয়াটা অনেক কঠিন।
আমার একটা বিষয় আশ্চর্যের লাগে সবসময় বিভিন্ন নিউজে দেখা যায়।ঢাকা ভার্সিটি,বুয়েট এছাড়া নামি দামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এধরনের কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত থাকে।আসলে তারা কি ভালো বিদ্যাপীঠে পড়ে এজন্যই কি তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে অন্যায় করলে তার সুযোগের সদ্ব্যবহার করে থাকে।আপনারা এর আগে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা শুনেছিলেন আবরার ফাহাদ নামের এক মেধাবী ছাত্র কে।তিনি বুয়েটের শিক্ষার্থী ছিলেন আর তাকেও এভাবে করে মেরে ফেলেছিলেন আরও কিছু বুয়েট শিক্ষার্থী।অথচ সবাই শিক্ষিত ছিল।কিন্তু দেখুন একজন দিনমজুর অশিক্ষিত ব্যক্তি যে কখনোই এভাবে কাউকে মেরে ফেলার সাহস করেনা।তাছাড়া তার সারাদিন কেটে যায় কাজের মধ্যে দিয়ে।তাহলে কি আমরা ধরে নিব শিক্ষিত মানুষের থেকে অশিক্ষিত মানুষের কাছে আমরা বেশি নিরাপদ। যত ধরনের খুন,রাহাজানি,ধর্ষণ ,হত্যা মামলা,দুর্নীতি সবকিছুর পিছনেই দেখি শিক্ষিত মানুষ।আর এই সদ্য পাওয়া দ্বিতীয়বার স্বাধীন দেশে আমরা একজন পাগলকে নিরাপত্তা দিতে পারিনা।ওই শিক্ষিত মানুষগুলোর কারণে।আপনারা ইমাজিন করলে হয়তো বুঝবেন খাওয়ানোর পর তাকে মারা হয়েছে।কি পরিমাণ কষ্ট পেয়ে লোকটি দুনিয়া ছেড়েছে ভাবতে গেলেই যেন গা শিউরে উঠছে।
যেই লোকটিকে বাংলার মেধাবী শিক্ষার্থীরা মেরে ফেললেন।লোকটির জীবনী পড়ে বুঝলাম মানুষের ভাগ্য কতটা অসহায় হয়।ওই মানসিক ভারসাম্যহীন লোকটির নাম তোফাজ্জেল।বাংলাদেশের বরগুনার বাসিন্দা তিনি।একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন।তারপর প্রেম করেন এলাকার চেয়ারম্যানের মেয়ের সাথে।কিন্তু মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায় অন্যত্র।এরপর চার পাঁচ বছরের ব্যবধানে তার বাবা মা দুনিয়া থেকে বিদায় নেন।পরপর প্রিয়জনের ছেড়ে যাওয়ার শোক বেচারা মেমে নিতে পারেন না।প্রতিশ্রুতি ভেঙে যাওয়ার কষ্টটা সবাই মেনে নিতে পারেনা এজন্যই মূলত পাগল হয়ে গিয়েছিলেন।তার এক ভাই ছিলেন দুনিয়ায় আর তিনিই একমাত্র তার চিকিৎসা করাতেন ।অথচ কিছুদিনের ব্যবধানে হঠাৎ করে তিনিও পরলোক গমণ করেন।এইভাবে দুনিয়ায় তিনি একা হয়ে যান।তারপর লোকটি এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ান আরকি।একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের জীবন এভাবেই শেষ হয়ে গেল।মানুষের ভাগ্য কখন কোথায় নিয়ে যায় আমরা কেউ জানিনা ।কিন্তু অন্যায় ভাবে একজনকে মেরে ফেলার এখতিয়ার আমাদের কারো দেওয়া হয়নি।একটা লোক যদিও সে অন্যায় করে থাকে তার শাস্তি দেওয়ার বিচার ব্যাবস্থা রয়েছে ।আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই।তারা মানসিক ভারসাম্যহীন লোকটিকে চোর বলে দাবি করেছেন ।একটা মানসিক ভারসাম্যহীন লোককে চোর বলাটা মনুষ্যত্বহীন ব্যাক্তির পরিচয় ।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date - 21st September,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

আসলে ঘটনাটা জানার পর আমার খুবই কষ্ট লেগেছিল। আমিও এই বিষয়ে একটা পোস্ট শেয়ার করব। কারণ দিন দিন মানুষের চিন্তাধারা কার্যকলাপ এতটা নিচে নেমে পড়ছে এদের চেয়ে কুত্তা অনেক ভালো।
জি ভাইয়া খুবই খারাপ লেগেছে লোকটাকে অনেক শাস্তি দিয়েছে ওরা।
মনুষ্যত্ব ছাড়া শিক্ষার কি দাম আছে। বর্তমানের আলোচিত এই ঘটনাটি জেনেছি। জেনে ভীষণ খারাপ লেগেছে আমার।এ ধরনের মানুষ গুলো শুধু বোঝাই নয়।পশুর ও সমান।মনুষ্যত্ব ছাড়া মানুষ হওয়া যায় না।
একদম এর চেয়ে অশিক্ষিত থাকা ভালো,ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি আহমেদ ছফা একটা দারুণ কথা বলেছেন এটা নিয়ে। নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শিক্ষার চেয়ে অহংকার টাই বেশি শেখে। এখন তার কথাটা বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। এরা মেধাবী শিক্ষিত কিন্তু এরা বিবেকবান মানুষ না। হলে এমন কাজ করতে পারত না।
জি আহমদ ছফা ওনার উক্তিটি যেন মিলে গিয়েছে,ধন্যবাদ।