ইকো পার্কে হস্তশিল্প মেলা ।পর্ব -৪
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।গত পর্বে আমি হস্তশিল্প মেলার কয়েকটি শিল্প কাজ ভাগ করে নিয়েছিলাম ।আজকে আপনাদের সঙ্গে বেতের তৈরি আসবাবপত্র ,এবং কিছু সৌখিন শোপিসের ছবি ভাগ করে নিলাম ।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
নিউটাউনের হস্তশিল্প মেলায় একদিন গেলে ঘুরে শেষ করা যাবে না । হাতে দুদিন নিয়ে গেলে পুরো মেলাটা ঘোরা যাবে কারণ এই মেলাটি দুটো মাঠ জুড়ে বসে ।একটা মাঠ কমপ্লিট করতে দু-তিন ঘন্টা অনায়াসে কেটে যাবে। তারপর আছে আরেকটি মাঠ ।তাহলে বুঝতে পারছেন কতটা সময় নিয়ে যেতে হয় ।আমিও এই মেলাটিতে তিনবার গেছি ,তবেই পুরো মেলাটি কমপ্লিট করতে পেরেছিলাম।
হস্তশিল্প মেলার অনেক কিছু দেখার আছে অনেক কিছু শেখারও আছে ।প্রত্যেকটি মানুষ সময়ের সাথে সাথে এই মেলাটিকে অনেকখানি গুরুত্ব দিয়েছে এবং অনেক জিনিসপত্র কিনছে ও। তার জন্যই এই মেলাটি এত প্রাধান্য পেয়েছে। আর দিন যত যাচ্ছে প্রত্যেকই নিজের ঘরকে সাজানোর জন্য এই হস্তশিল্প মেলা বা অন্যান্য জায়গায় থেকে সৌখিন জিনিসপত্র কিনে ঘর সাজায় এতে করে ঘরও সুন্দর লাগে আর শিল্পের ও মানুষ দাম দিতে পারছে।
এখানে বেতের তৈরি এত জিনিসপত্র ছিল চেয়ার, টেবিল তার সাথে কাঠের আসবাবপত্র, তা ছাড়াও গাছের গুড়ি দিয়ে টেবিল বা টুল সবকিছু।
এছাড়াও ঘর সাজানোর জন্য যে সৌখিন শোপিস ছিল অর্থাৎ তার মধ্যে ঝর্ণা স্টাইলের শোপিস গুলোতে অনেক নতুনত্ব ছিল ।
তাছাড়াও বড় বড় ফুলদানি এবং গাছের গুড়ি দিয়ে বানানো মুখোশ ,তারপর কাঠের উপর ডিজাইন করে চেয়ার এবং বেতের তৈরি টেবিল চেয়ারের সেট সবকিছুই দেখার মতন ছিল।
এই মেলাটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এবং প্রত্যেক বছর আমি এই মেলাতে আসি যত দিন যাচ্ছে এই মেলার জনপ্রিয়তা অনেক বাড়ছে ।আগামী দিনগুলোতেও আশা করি লোকে এই শিল্পের মূল্য বুঝবে। সব মিলিয়ে আজকে হস্তশিল্প মেলার পর্বটি এখানে শেষ করলাম ।আশা করি আপনারা সকলেই খুব উপভোগ করেছেন প্রত্যেকটি পর্ব দেখে।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

নিউটাউন হস্তশিল্প মেলায় গেলেন দিদি।একদিনে সম্পূর্ণ মেলা দেখে শেষ করা যাবে না।আপনি তিনদিন গিয়েছিলেন।তবে তো অনেকটাই বড়।আর তাছাড়া আপনি যে ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করলেন তা দেখেতো আমি একবারেই মুগ্ধ। এসব সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র দেখতেও সময় নিয়ে আসলে যেতে হয়।বেতের জিনিসপত্র গুলো দারুন ছিল।বড় বড় ফুলদানী ও খুব সুন্দর লাগছে। এখানে সবকিছুই ঘর সাজানোর জন্য পারফেক্ট জিনিসপত্র। আমার কাছে সত্যিই খুব ভালো লাগলো।আশাকরি সকলের এই হস্তশিল্পগুলো ভালো লাগবে।শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
সত্যিই আপু, নিউটাউনের হস্তশিল্প মেলায় আপনি তিনবার যাওয়ার ফলে মেলাটি সুন্দরভাবে ঘুরে ঘুরে দেখতে পেরেছেন এবং মেলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছেন। মেলার বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন ডিজাইনের হস্তশিল্পের জিনিসপত্র গুলোর ফটোগ্রাফি দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেছি। বিশেষ করে কাঠের আসবাবপত্র গুলোর ফটোগ্রাফি এবং ঝর্ণা স্টাইলের শোপিস গুলোর ফটোগ্রাফি আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে। নিউটনের মেলা ভ্রমন করে হস্তশিল্পের অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্রের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মেলাটি যখন দুটি মাঠ জুড়ে বসে তাহলে নিশ্চয়ই অনেক বড় করে একটা মেলা বসে। এক একটি মেলা দেখতে দু থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগে ,তার মানে অনেক বড় মেলা এটা বোঝাই যাচ্ছে আপনার পোস্টটি পড়ে দিদি। খুব সুন্দর সুন্দর আর অনেক নতুনত্ব ডিজাইন এর কিছু সোপিস আর মূর্তির ছবি তুলে ধরেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো।
অনেকটা চোখ ধাঁধানো কারুকাজ, বোঝাই যাচ্ছে বেশ দক্ষতার সঙ্গে কারিগররা এই জিনিসপত্রগুলো বানিয়েছে। এককভাবে কোনটাকে আমি বেশি সুন্দর বলবো না , কারণ সবগুলো জিনিসপত্রই সুন্দর। বিগত পর্বে যে আপনি কথা দিয়েছিলেন, তা যেন আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমেই সেই কথা রক্ষা পেল। বেশ উপভোগ করলাম হস্তশিল্পের মেলার ছবিগুলো।
শুভেচ্ছা রইল দিদি ভাই 🙏
দিদি আপনার ফটোগ্রাফি দেখে আর পোস্ট পড়েই বুঝা যাচেছ যে মেলাটি বেশ বড় সড়ই হয়েছে। তবে মেলার জিনিসি গুলো দেখে কিন্তু বেশ কিনতে মনে চাইছে। এধরনের হস্তশিল্প দিয়ে ঘর সাজালে মন্দ হয় না্।
ওরে বাপরে বাপ ,,কি নিখুঁত হাতের কাজ সবগুলো!! 😳😳 আচ্ছা দিদি একদম শুরুতে যে ছবিটা আছে প্যাঁচার, ওটা কি কাঠের তৈরি নাকি মাটি দিয়ে তৈরি? অপূর্ব একটা কারুকার্য আছে ওতে। আপনি তবু কয়েকটা দিনে মেলা ঘুরে শেষ করেছেন, আমি হলে তো একটা স্টলেই গিয়েই পুরো দিন কেটে যেত, এতোটাই মনমুগ্ধকর প্রতিটা শিল্প।