লাইফস্টাইলঃ-পরিবারের সবার সাথে পছন্দের খাবার খাওয়া।

in আমার বাংলা ব্লগ8 months ago

আসসালামু আলাইকুম,


WhatsApp Image 2024-08-29 at 15.38.03_aa30879a.jpg

প্রিয় পরিবারের ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন? তবে বন্ধুরা দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমি বেশ কিছুদিন ভালো থাকতে পারিনা। বেশ কয়েকদিন ধরেই উচ্চ রক্তচাপ এত বেড়ে গেছে কিছুতেই কমাতে পারছি না। যদি অতিরিক্ত বাড়েনি স্বাভাবিক থেকে একটু বাড়তি রয়েছে। কিন্তু সে বাড়তি থাকার কারণে একদম শান্তি পাচ্ছিনা ঠিকমতো ঘুম হয় না মানসিক অস্থিরতা সবকিছু মিলিয়ে বেশ বাজে অবস্থা। তো আজকে চিন্তা করলাম যে একটু ডায়াবেটিস টেস্ট করে দেখি যেহেতু দিন দিন রোগের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। আসলে এখন বয়স বলতে কোন কথা নেই যে কোন বয়সে এসে যে কারো অসুখ হয়ে যেতে পারে। যেহেতু আমার উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাই ডায়াবেটিস হওয়াটা বেশ ঝুঁকি। সেজন্য বেশ কয়েকদিন পরপর ডায়াবেটিস টেস্ট করায় দেখি।

r5.jpg

আজকে একদম সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে টেস্ট দেওয়ার জন্য চলে গেছিলাম ডায়াবেটিস হাসপাতালে। আবার বাসায় ফিরে এসে খাওয়া দাওয়া করে ২ ঘন্টা পরে আবারো ভরা পেটে টেস্ট দিতে গেলাম। আলহামদুলিল্লা সবকিছু নরমাল আসলো সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজারো শুকরিয়া। তবে অনেক ভয় কাজ করছিল কি জানি হয় যেহেতু আমার আম্মুর ডায়াবেটিস ছিল। সেখান থেকে পৌঁছাতে দুপুর হয়ে গেল। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে পোস্ট লিখতে বসে পড়লাম যেহেতু আগে রান্না করে গেছিলাম তাই এসে খেয়ে নিতে পারলাম।

r6.jpg

ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করি ভালো মন্দ বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব পরিবারের সবাই মিলে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটানো। কেন জানি মনে হয় মাঝে মাঝে রান্না করতে অনেক বেশি বিরক্ত লাগে। তবে ইদানিং এতই বিরক্ত লাগে বলার মত না যেহেতু শরীর ভালো না। শরীর ভালো না থাকলে রান্না করতে যেতে একদম ভালো লাগে না। মন চাই বসে বসে কয়েকদিন খাওয়া দাওয়া করি। সেই দুঃখের কথা কে আর বুঝবে যেহেতু মা জননী নেই। এখন আর তেমন একটা মানসিক শান্তি খুঁজে পাই না। সব সময়ই বাসায় থাকি মন চাইলে একটু বের হয়ে ঘুরে আসি। কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে মন চাইলো নান রুটি দিয়ে ছোলার ডাল খাওয়ার। ছোলার ডাল খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।

r3.jpg

বিশেষ করে নান রুটি সাথে ছোলার ডাল খেতে আমার খুব ভালো লাগে। যখন আমরা ছোট ছিলাম আমাদের গ্রামের বাড়ির পাশে একটু দূরে দোকান ছিল। বলতে গেলে ছোটখাটো একটি বাজার সকাল বেলার বাজার। তেমন মানুষজন থাকত না তবে ইদানিং বেশ মানুষ হয়েছে সেখানে। সেই দোকানের নান রুটি এবং ছোলার ডালগুলো খুবই মজার ছিল। সেই ছোটবেলা থেকে অভ্যাস আমার এখনো খেতে মন চাই কিছুদিন পর পর। হঠাৎ করে বৃষ্টি দিয়ে মন চাইলো ছোলার ডাল দিয়ে নান রুটি খাওয়ার বিকেল বেলায়। তখন বাচ্চাদেরকে বললাম রেডি হওয়ার জন্য। আমিও রেডি হয়ে গেলাম। বাচ্চাদের বাবা বাইরে ছিল তাকে ফোন করলাম আমরা বাইরে যাচ্ছি। উনি জানালেন উনিও যাবে সেজন্য বেরিয়ে পড়লাম।

r.jpg

যেতে চাইছিলাম নবান্ন রেস্তুরাতে। বেশ কিছুদিন আগে নবান্ন রেস্তুরাতে বিকেল বেলায় নান রুটি আর ছোলার ডাল খেয়েছিলাম সাথে ছিল চিকেন কাবাব। তাদের খাবার গুলো এতই ভালো লাগছিল আমার বারবার মন চায় সেখানে যেতে। যদিও এ রেস্টুরেন্ট গুলো বিকেল বেলায় বেশ জ্যাম হয়ে যায় তার জন্য যাওয়া হয়না। কি আর করার যেহেতু খেতে মন চাইলো তখন বাচ্চাদেরকে নিয়ে রিক্সা নিয়ে চলে গেলাম। ভাগ্য খারাপ দেখলাম যে রেস্টুরেন্ট বন্ধ। কেন বন্ধ সেটা জানিনা। রিক্সাওয়ালা জানালো যেহেতু দেশের পরিস্থিতি খারাপ সে জন্য বন্ধ রাখছে মনে হয়। তবে বিস্তারিত আমি জানিনা। মেয়েদের বাবাকে জানালাম বিষয়টি উনি বলল রান্না ঘর রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য। সেখানকার খাবার নাকি বেশ ভালো।

r1.jpg

তো উনার কথা অনুযায়ী রান্নাঘর রেস্টুরেন্টে গেলাম। একই রিক্স নিয়ে আবারো ব্যাক করলাম সেখানে। আমরা যখন পৌঁছে যাই তখন আমাদের সাথে মেয়ের বাবা ও চলে আসে। সেখানে প্রবেশ করি প্রবেশ করার পরে দেখলাম প্রচুর মানুষের ভিড়। আসলে প্রবেশ করতে ইচ্ছে করছিল না। একটু নিরিবিলি পরিবেশ হলে ভালোভাবে বসে সময় কাটানো যায় আড্ডা দেওয়া যায়। এই ধরনের পরিবেশ বেশ ভালো লাগে। তো সেখানে যেয়ে দেখলাম নান রুটি আছে ছোলার ডাল আছে। সেগুলো অর্ডার দিলাম সেই সাথে বাচ্চাদের জন্য চিকেন চাপ অর্ডার দিলাম। আমি সিম্পল কিছু খাওয়ার জন্য গেছিলাম নান রুটি আর ছোলার ডাল।

r2.jpg

ছোলার ডাল এতই সুস্বাদু ছিল সত্যি বেশ ভালো লাগলো আমার খেতে। বিশেষ করে নান রুটি গুলো সাইজে অনেক বড় হয়। তো আমি একটি বড় নান রুটি খেয়ে ফেলেছি ছোলার ডাল দিয়ে ভীষণ ভালো লাগছিল। বাচ্চারা চিকেন চাপ দিয়ে পরোটা খেয়েছিল। এত বেশি কিছু খাইনি যেহেতু যেটার জন্য গেছিলাম সেটা পেয়ে গেছি বেশ ভালো লাগলো খেতে। সেই সাথে আপনাদের ভাই চা অর্ডার করে দিল আমাদের দুইজনের জন্য ২টি। যদিও চায়ের কালার গুলো বেশ লোভনীয় ছিল কিন্তু মুখে দিয়ে অবাক কান্ড। এত মিষ্টি কিভাবে খায় মানুষেরা আমি বুঝিনা। ইদানিং আমি চাতে খুব কম মিষ্টি খাওয়ার চেষ্টা করি। আমার তো মুখে দিতে পারছিলাম না এত মিষ্টি। তাদের একজন ছেলেকে বললাম সেখানে কিছু রং দেওয়ার জন্য।

r4.jpg

সেই ছেলেটি চায়ের কাপ নিয়ে সেখানে আবার কিছু চায়ের রঙ দিল। দেওয়ার পরে মিষ্টি একটু কমে গেল যার কারণে খেতে একটু ভালো লাগছিল। খাওয়া দাওয়া করে সেখান থেকে আমরা চলে আসি। যেহেতু আমাদের বাসার একদম পাশাপাশি হেঁটে আসা যায়। হেঁটে আসলে দুই চার মিনিট লাগে। সেই দিনের মুহূর্তটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি বন্ধুরা। আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে আমার আজকের মুহূর্তটি। ধন্যবাদ সবাইকে সব সময় পাশে থাকার জন্য সহযোগিতা করে।

r7.jpg

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationকক্সবাজার
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিলাইফ স্টাইল


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

আমার পরিচয়


hira.jpeg

আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7DiLvzq9baKkST8T1mkhiizFXSFVv2PXDydTeMWpnYK2gToiY733FT9uwSdBSXWz7RnGmzsa8Pr9pGoyYaQFsuS3p.png

New_Benner_ABB1.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 8 months ago 

আপনারা বেশ ভালো খাবার খেয়েছেন।আসলে আপু পরিবারের সবাই মিলে খাওয়ার মজাই আলাদা। সত্যি মাঝে মাঝে এমন পছন্দের খাবার হলো অনেক ভালো লাগে। বাচ্চারা অনেক মজা করে খেয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 7 months ago 

একদম আপু সবার সাথে মিলেমিশে খেলে বেশ ভালো লাগে খেতে।

 8 months ago 

রান্নাঘর রেস্টুরেন্টে পরিবারের সবার সাথে বেশ সুন্দর খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তগুলো সত্যি বেশ দারুন ছিলো। আসলে এমন মুহূর্ত উপভোগ করার আনন্দটাই অন্যরকম। পরিবারের সকলকে নিয়ে সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটাতে পেরেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 7 months ago 

মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে গিয়ে এভাবে খাওয়া দাওয়া করলে খুব ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 8 months ago 

পরিবারের সবার সাথে বসে স্বাচ্ছন্দে খাওয়াটা অন্যরকম একটা তৃপ্তিদায়ক সিয়াম সিপু বাসায় থাকলে,আমরাও সবাই একসাথে বসে খেলে, দারুন মজা এবং আড্ডা হয়।

 7 months ago 

একদম ঠিক বলছেন আপু খাবার গুলো যেমন হবে হোক খেয়ে তৃপ্তি পাওয়া যায়।

 8 months ago 

মাঝেমধ্যে বাহিরে খাওয়া-দাওয়া করলে মন অনেক ভালো থাকে। আজকে আপনি দেখতেছি রান্নাঘর রেস্টুরেন্টে গিয়ে পরিবারের সাথে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। তবে রুটি খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আর রুটি ডাল এবং যেকোনো কাবাব দিয়ে খেতে বেশ মজা লাগে। আর আপু ডায়াবেটিস টেস্ট করে ভালো করেছেন। কখন কার শরিলে কোন রোগ এসে জমা হয় কেউ জানে না। যাইহোক পোস্টটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 7 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া খুব ভয়ে ছিলাম ডায়াবেটিস হবে সেই চিন্তায়। আলহামদুলিল্লাহ রিপোর্ট ভালো আসছে।

 7 months ago 

মাঝে মাঝে বাসায় সকালের নাস্তা না হলে রেস্টুরেন্টে থেকে নান আর ডাল ভুনা খায়। এটা খুবই ভালো লাগে। আপনি রান্নাঘর রেস্টুরেন্টে গিয়ে পরিবারের সবার সাথে পছন্দের খাবার খেয়ে দারুন অনুভূতি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ।

 7 months ago 

আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 7 months ago 

পরিবারের সকলের সাথে বসে কোন কিছু খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা৷ যখন সবাই মিলে একসাথে একটু সময় অতিবাহিত করা হয় তখন তা বেশ অসাধারণ হয়ে থাকে এবং পছন্দের খাবারগুলো খেলে তো আর কোন কথাই নেই৷ আর আজকে আপনি সেরকমই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷

 7 months ago 

পরিবারের সাথে সুন্দর সময় কাটাতে এবং খাওয়া-দাওয়া করতে খুবই ভালো লাগে। আপনি আপনার পরিবারের সাথে রেস্টুরেন্টে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন। মুহূর্তটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু। আমাদের দাওয়াত করলেই পারতেন একসাথে বসে আড্ডা দেওয়া যেত। যাইহোক শুভকামনা রইল আপনার পরিবারের জন্য।