মেয়ের কান ফোঁড়ানো ও কানে দুল পাড়ানোর অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।

মেয়ের কান ফোঁড়ানো ও কানে দুল পাড়ানোর অনুভূতি

1000014834.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে বাচ্চাদের কানে দুল পড়লে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আমাদের সময় ছোট বেলা থেকে কান ফোঁড়ানো হতো কিন্তু এখনকার বেশির ভাগ বাচ্চাদের কান ফোঁড়ানো হয় বিয়ের সময় পার্লার থেকে। আসলে বর্তমান যুগের সাথে সব চেঞ্জ হচ্ছে। যেহেতু ডিজিটাল প্রযুক্তি এসেছে তাই শুধু কান ফোঁড়ানো কেন আমাদের সব কিছু প্রযুক্তির মাধ্যমে হয়ে থাকে। তবে আমার বড় মেয়ের কান ফোঁড়ানোর কেন কোন কিছুতেই আগ্রহ নেই কিন্তু ছোট জনের সব কিছুতেই অনেক শখ।আর আমার শাশুড়ি ও ছোট বাচ্চারা কান ফোঁড়াবে তারপর চুল রাখার অনেক শখ।তাই বড় মেয়েকে কান ফোঁড়ানোর অনেক চেষ্টা করেছি সে পার্লার থেকে ফোঁড়াবে।কিন্তু তার দাদুর ইচ্ছে অন্য নাতনিদের নিজে কান ফোঁড়িয়ে দিয়েছে এখন ওদের ও দেবে।যদি ও এখন আগের মতো পারে না তারপরেও চেষ্টা করে নাতনিদের চুল বাঁধা ও কান, নাগ ফোঁড়ানোর জন্য।

1000014240.jpg

1000014239.jpg

তারপর আমার ছোট মেয়ে সাহস করে গিয়ে দাদুর কাছে বসলো।আসলে প্রথমে সে বোঝেনি যে তার কানের ব্যথা লাগবে। তারপর কানে বরফ দ দেওয়া হলো।যেহেতু আমার শাশুরি বয়স্ক তাই তার আরেক নাতনি কান যেখানে ফোঁড়ানো হবে সেখানে কলম দিয়ে দাগ দিয়ে দিল।প্রথমে মেয়ে অনেক আনন্দ সহকারে দাদুর কাছে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দেখলো কানে ব্যথা লাগবে তখন তার হাসি মুখ আর নেই। তবে যেহেতু কান ফোঁড়াবে তাই আমি ও বললাম ফোঁড়ানোর জন্য। তারপর তার দাদু এক কান ফোঁড়িয়ে দিল। সুচ দেবার সাথে সাথে কান্না শুরু করে দিল। কিন্তু আর এক কান্না আর ফোঁড়াতে দেবে না। তারপর সবাই বলে বসিয়ে রাখলাম। কষ্ট হলেও দুই কান এক সাথে ফোঁড়ানো অনেক ভালো। তারপর দুটি কান ফোঁড়ানো হলো।

1000014492.jpg

1000014491.jpg

এখন চলছে আমের মৌসুম। তাকে বলেছি আম টক গুলো খাবে না কিন্তু সে সব গুলো বেশি করে খায়। যাইহোক এভাবে কয়েক দিন চলে গেল কিন্তু সে কানের দুল পড়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারপর তার দাদুর কাছে গিয়ে বলেছে আম্মু কানের দুল দেই না।তখন দাদু বলেছি কানে স্বর্ণ পড়লে কান সেরে যায়। তবে বর্তমান স্বর্ণের যে দাম বলার মতো নয়। যদিও কানের দুল গুলো ওদের ছোট বেলার গিফট তারজন্য এখন আর কানের দুল বানানো লাগেনি।তারপর এক কানে দুল পড়েছে কিন্তু আর এক কানের দুল পড়তে পারিনি। এখন দুই কানে পড়েছে। সত্যি বাচ্চাদের কানে দুল পড়লে ও চুল রাখলে ভালো লাগে।

1000014834.jpg

এখন কানে দুল পড়ে অনেক আনন্দে আছে। সত্যি কান ফোঁড়ানোর সময় অনেক ব্যথা লেগেছিল কিন্তু এখন কানের দুল পড়ে অনেক আনন্দে আছে। সত্যি কষ্ট না করলে কেষ্ট মিলে না। আসলে কানের দুল পড়ে মেয়ে অনেক আনন্দে আছে। আমার কাছে ও অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি এই এক অন্য রকম অনুভূতি। আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

1000000176.gif

নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

ছোটবেলায় দেখতাম এলাকার মেয়েরা সুঁই সুতা দিয়ে কান ফুটো করত। আর অনেকদিন পর সেগুলো শুকাতো। কিন্তু এখন সবকিছুই বদলে গেছে। এখন সবাই পার্লারে যায় কান ফোঁড়ানোর জন্য। আপনার মেয়ের কান ফোঁড়ানোর মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 last year 

আসলে ভাইয়া এখন সব কিছু পরিবর্তন, ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

বাচ্চারা এমনই আপু আমার বড় মেয়ে তো অনেক আনন্দ করে কান ফোঁড়ানো করেছিল। তাকে পার্লারে নিয়ে গিয়ে কান ফোঁড়ানো হয়েছে। ছোট মেয়ে সে ছোট সে জানালো এখন ফোঁড়াবেনা। আরো পরেফোঁড়াবে এটা বলল। আপনার মেয়ের কান ফোঁড়ানোর অনুভূতি শেয়ার করলেন। আর কানের দুল গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে আপু। দেখে বেশ ভালো লেগেছে কানের দুল গুলো।

 last year 

জি আপু বাচ্চারা এমনি, পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

আপনার মেয়ের কান ফোটানোর মুহূর্ত পড়ে আমার সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় আমার এক বড় মা আমার কান ফুটো করে দিয়েছিলেন। অনেক সুন্দর হয়েছে আপু কানের দুল গুলো। মেয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।

 last year 

সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আপনার মেয়ের কান ফোঁড়ানো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। আমি একদম ছোট থাকতে ফোড়িয়েছি তাই মনে নেই। তবে নাক ফোঁড়ানোর কথা ভালো মনে আছে। আমাদের দিকে আগে লেবু গাছের কাঁটা দিয়ে কান নাক ফোঁড়ানো হতো। সেজন্য একদিন সকাল বেলা লেবুর কাঁটা নিয়ে আমার চাচির কাছে গেলাম নাক ফোঁড়াতে। প্রথমে ভয় পাইনি, কিন্তু যখন কাঁটা অল্প দিলো তখন তো চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেলো। তবে ফোঁড়ানোর সাথে সাথে স্বর্ণের জিনিস পড়ে নিলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। বাচ্চাদের কানে এমন ছোট ছোট দুল পড়লে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। আপনার মেয়ের জন্য দোয়া রইল।

 last year 

আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আমরা অনেক ছোটবেলাতে কান ফোঁড়ালেও এখন অনেককেই দেখি বিয়ের সময় পার্লারে গিয়ে কান ফুটো করে। তবে আপু আপনার মেয়ের কান ফোঁড়ানো হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। দুল গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে আপু।

 last year 

ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।