নাটক রিভিউ :- ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। ( পর্ব ১৬ )

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ১৬ পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
অভিনয়ে	আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে।
রচনা ও চিত্রনাট্য	সোলায়মান
চিত্রগ্রহণ	জহির রায়হান
সম্পাদনা	এসে এ সুমন
আবহ সংগীত	অংকুর মাহমুদ

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, লিমন বসে বসে রাইসার কথা চিন্তা করছিল। আর তখনই ওখানে মিনা বই খাতা নিয়ে পড়তে আসে। তারপর লিমন তাকে নাম লিখতে দেয়। নাম লেখা শেষ করে তারা কিছুক্ষণ কথা বলে মিনা ওখান থেকে চলে যায়। সকাল বেলায় মিনা আর নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে চাঁদে দেখা যায়। সকাল সকাল তারা হাঁটার জন্য ছাদে গিয়েছিল। আর তারা কিছুক্ষণ পরে ওখান থেকে চলে আসে। এরপর মনির ননদ আর দুলাভাইকে দেখা যায় তারাও হাঁটতে যাবে।

কিন্তু দুলাভাই যেতে চাচ্ছিল না। তাই উনার ওয়াইফ জোর করে নিয়ে চলে যায়, ওখানে ডাক্তার ও পরবর্তীতে আসে। ওইদিকে জেনি রাশেদকে বলে সে তার সেলারির কাজে যেতে চায়। কারণ রাশেদ এখনো পর্যন্ত অনেক অসুস্থ। কিন্তু রাশেদ এই কথায় রাজি হয় না। এক পর্যায়ে জেনি রাশেদকে রাজি করায়। আর তার বসকে কল দিয়ে সব জানায়। রাশেদ পরবর্তীতে রাজি হলেও অনেক কষ্ট পায়। তারপর আমরা সোহেলকে দেখতে পাই মনিকে কল দেয়।

সোহেল মনিকে দেখা করার জন্য বলে, কিন্তু মনি দেখা করতে এখন চায় না। কারণ কেউ জানলে অনেক সমস্যা হয়ে যাবে। তারপর আমরা জেনিকে দেখি রাশেদের বসের সাথে দেখা করতে এসেছে। আর জেনি তাকে সবকিছু জানায়, রাশেদের পরিবর্তে সে এই কাজে জয়েন করবে। তিনিও রাজি হয়ে যান আর তাকে এই কাজটা দেন। সে তখনই কাজে লেগে পরে। এরপর নীলাঞ্জনা চৌধুরী আর মিনাকে দেখা যায় কথা বলছিল।

তখনই নীলাঞ্জনা চৌধুরীর ছোট ভাই আসে আর তারা কিছুক্ষণ কথা বলে। ওইদিকে আবার জেনি সেল্সের কাজ শুরু করে দিয়েছে। আর দোকানে দোকানে গিয়ে জিনিস বিক্রি করছে। আর ওর সাথে থাকা ড্রাইভার তার সাথে কথা বলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত এই বিষয়গুলো নিয়ে। তারপরে নীলাঞ্জনা চৌধুরী ভাইকে দেখা যায় বসে বসে খাবার খাচ্ছিল আর লিমনের সাথে কথা বলছিল। তারা কথা বলা শেষ করে ভাত খাওয়ার জন্য যাবে বলে।

তারপর জেনিকে দেখা যায় মাল বিক্রি করার সব টাকা মালিককে এসে বুঝিয়ে দেয়। তার কিছুক্ষণ পরে জেনি মালিকের সাথে কথা বলে ওখান থেকে চলে যায়। ওদিকে রাশেদ অনেক অপেক্ষা করতে থাকে জেনির জন্য। সে তার মাকে ডেকে জিজ্ঞেস করে, তার কিছুক্ষণ পরেই জেনি চলে আসে। জেনি বাসায় আসার পর রাইসার কাছে যায়। আর রাশেদ এবং তার মা এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে। তারপরে একেবারে শেষ পর্যায়ে দেখা যায় জেনি যখন প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য দোকানে দোকানে যাচ্ছিল, তখন তার মা দেখে ফেলে। আর তার মা গাড়ি থেকে বের হয়ে তার মুখোমুখি হয়। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

আজকের এই পর্ব টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল দেখতে। এই পর্বে আমরা দেখতে পাই নীলাঞ্জনা চৌধুরীর বাড়িতে তার ছোট ভাই এসেছে। লোকটা ভালো নাকি খারাপ এগুলো পরবর্তীতে আস্তে আস্তে আমরা দেখতে পাবো। অন্যদিকে রাশেদ যেহেতু অনেক বেশি অসুস্থ সে কাজ করতে পারছে না, এজন্য জেনি রাশেদকে রাজি করিয়েছে তার কাজটা সে করার জন্য। এখন জেনি সেলস এর কাজ শুরু করে দিয়েছে। আর শেষ পর্যায়ে দেখা গিয়েছে নীলাঞ্জনা চৌধুরী জেনিকে দেখে ফেলে দোকানে সেল্সের জিনিস বিক্রি করার সময়। এখন দেখা যাক তার মায়ের রিঅ্যাকশন কেমন হয় আর তিনি কি করেন। আমি চেষ্টা করবো খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বের রিভিউ সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনারা সবাই সে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক