নাটক রিভিউ-ভিলেন||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।আমার আজকের ব্লগটি একটি নাটক রিভিউ।পোস্টে ভিন্নতা আনতে সপ্তাহে একদিন আমি রিভিউ পোস্ট রেখেছি। সেদিন হঠাৎ করেই ইউটিউব স্ক্রল করতেই সামনে চলে আসলো নাটকটি,তাই দেখে নিলাম।বর্তমান সময়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের নাটকটি বেশ শিক্ষণীয় তরুণ প্রজন্মের জন্য।তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করে ফেলি।তো চলুন শুরু করা যাক আমার আজকের রিভিউ পোস্ট।
স্ক্রিনশর্ট- ইউটিউব
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নাটকের নাম | ভিলেন |
---|---|
পরিচালক | রুবেল আনুশ |
সম্পাদনা ও রং বিন্যাস | প্রিন্স সজল |
মুখ্য চরিত্র | ইয়াশ রোহান,সাদিয়া আইমান |
অভিনয়ে | ইয়াশ রোহান,সাদিয়া আইমান, সাইদুল রহমান পাভেল, মাইমুনা ফেরদৌস মমো, বাশার বাপ্পী |
গল্প | সাবিহা রিংকু |
চিত্রনাট্য ও সংলাপ | রাকায়েত রাব্বি |
প্রযোজনা | ইফতেখার মাহমুদ সজল |
মুক্তির তারিখ | ০৪-২৯-২০২৩ |
দৈর্ঘ্য | ৩৬ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
স্ক্রিনশর্ট- ইউটিউব
প্রথমেই দেখা যাচ্ছে ছেলেটি মেয়েটির দিকে একটি চাইনিজ কুড়াল নিয়ে ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে কিছু বলছে।নাটকের গল্পে ছেলেটির নাম পলাশ এবং মেয়েটির নাম সাওদা।তাদের দুজনের মধ্যে একসময় প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে মেয়েটি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যায় পরিবারের চাপে। কিছুদিন পর মেয়েটি ভার্সিটি তে আসলে ছেলেটি বিয়ের জন্য নিয়ে যেতে চায়।তখন মেয়েটি যেতে অস্বীকার করায় ছেলেটি চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আঘাত করেন ।সেখানেই মেয়েটি মারা যায়।তারপর ছেলেটি নিজে গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
স্ক্রিনশর্ট- ইউটিউব
ছেলেটি আত্মসমর্পণ করার পর পুলিশ অফিসার তাকে তাদের ভালোবাসার পুরো গল্পটি জানতে চান।তখন ছেলেটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন তাদের প্রেমের গল্প।মেয়েটি ভার্সিটিতে ভর্তি হয়,আর ছেলেটি ভার্সিটির সিনিয়র।মেয়েটিকে সাহায্য করে ছেলেটি ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সময় বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে।কারণ ছেলেটির গ্রামের বাড়ি মেয়েটির গ্রামের পাশের গ্রাম।এভাবেই তাদের একে অন্যের সাথে পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
স্ক্রিনশর্ট- ইউটিউব
এভাবে তাদের প্রেম চলতে চলতে একদিন ছেলেটি মেয়েটির সাথে রিক্সায় করে কোথাও যাওয়ার সময় হাত ধরতে চাইলে মেয়েটি ছেলেটিকে বলে তাকে খারাপ মেয়ে ভাববে,আর আপনি করে কথা বলে হঠাৎ।তখন ছেলেটি রেগে চলে যায়।সেদিন রাতেই ছেলেটির রাগ কমলে মেয়েটিকে ফোন করে।মেয়েটি ফোন কয়েকবার কেটে দেওয়ার পর রিসিভ করলে ছেলেটি মেয়েটিকে হোস্টেলের নিচে যেতে বলে।মেয়েটি কথা মতো যায়,ছেলেটি সরি বললে মেয়েটি বলে রাগলে তোমাকে ভালো লাগে।তখন ছেলেটি চায়ের অফার করলে মেয়েটি না করে। পরের দিন তাদের হোস্টেল ছুটি হলে দুজনে একসাথে গ্রামের বাড়িতে যায়।আর গ্রামের বাড়িতে গিয়েই শুরু হয় সকল সমস্যা।
স্ক্রিনশর্ট- ইউটিউব
সাওদাকে পলাশের সাথে গ্রামে আসতে দেখে গ্রামের এক লোক সাওদার ভাইকে তাদের কথা বলে।তখন সাওদার ভাই এগুলো শুনে সাওদার থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে নেন এবং বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেন। যার ফলে সাওদা এবং পলাশ একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনা। সাওদাকে ফোনে না পেয়ে পলাশ সাওদার বাড়ি লুকিয়ে দেখতে আসে কিন্তু সাওদার ভাইয়ের সাথে দেখা হয়ে যায়।তখন পলাশ পরিচয় দিলে তাকে বাড়ির ভিতরে আসতে
বলে কিন্তু পলাশ সেদিন না এসে চলে যায়।।সেদিন রাতেই পলাশ আবার সাওদার বাড়িতে লুকিয়ে দেখা করতে এলে সাওদা পলাশের সাথে কোনো কথা বলেনা এড়িয়ে যায়। কারণ সাওদা তার ভাইকে খুব সম্মান করে।ভাই এর কথা অনুযায়ী চলে।
স্ক্রিনশর্ট- ইউটিউব
যেহেতু পলাশ উগ্র মেজাজের ছিল,তাই এই বিষয়টি কোনোভাবে মেনে নিতে পারছিল না।তাই পরের দিন
আবার সাওদার সাথে দেখা করতে আসে এবং তার ভাবীকে বলে দেখা করতে দিতে।সাওদার ভাবী নিষেধ করায় তার সাথেও খারাপ আচরণ করে।সেই মুহূর্তে সাওদার ভাই বাড়িতে চলে আসেন।তখন পলাশকে ভয় দেখিয়ে সেদিনের মতো বিদায় করে দেন।রাতে সাওদাকে খালার বাড়িতে রেখে আসেন সাওদার ভাই।সেখানেও গিয়ে পলাশ ঝামেলা করে এবং পিটুনি খায়।তারপর বেশ কিছুদিন পর সাওদা বাড়িতে চলে যায়। পলাশ আর বিরক্ত না করায় সাওদা তার ভাবীকে বলে ভাইকে রাজি করিয়ে ভার্সিটিতে যেতে চায়।তার ভাই হোস্টেলে না গিয়ে মামির বাসায় থেকে ভার্সিটিতে যাওয়ার অনুমতি দেন। সেই অনুযায়ী সাওদা ভার্সিটিতে যায়।আর ভার্সিটির প্রথম দিনেই সাওদার সাথে পলাশের ঘটনাটি ঘটে এবং নাটকটি শেষ হয়।
আমার কাছে নাটকটি ভালো লেগেছে।নাটকটি থেকে কয়েকটি শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে আমার মতে।করো সাথে সম্পর্কে যাওয়ার আগে তার ব্যপারে জেনে শুনে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।এখানে ছেলেটি উগ্র মেজাজের ছিল,তাই এর শেষ কখনোই ভালো হতে পারতোনা।অন্যদিকে পরিবারের কথা, সম্পর্কে জড়ানোর আগে থেকে স্মরণ রাখা উচিত ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই।কারণ মানুষ সবাই ভিন্ন ভিন্ন মানসিকতার হয়।অনেকে বিচ্ছেদ মেনে নিতে না পেরে আত্মহত্যা করে আবার অনেকে নায়ক থেকে ভিলেন হয়।এই গল্পে ভিলেন হয়েছিল নায়ক।এছাড়াও এই ঘটনাটি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কয়েক বছর আগের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেটা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন।সিলেট জেলার বদরুল,খাদিজার ঘটনার সাথে অনেকটাই সামঞ্জস্য ছিল।নাটকটির পুরো কাহিনী উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই নাটকটি দেখে নিবেন।
এই নাটকটিতে আমি ৯/১০ রেটিং দিলাম। |
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

খুব সুন্দর নাটক রিভিউ করা আছেন আপু। ভিলেন নাটকটি আমি দেখেছি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। নাটকের সংলাপ এবং দৃশ্যপট সত্যি বেশ অসাধারণ। ইয়াশ রোহান এর নাটক গুলো আমি প্রায় দেখে থাকি। আপনি ঠিক বলেছেন কারো সাথে সম্পর্ক যাওয়ার আগে তার সম্পর্কে ভালো করে জানা উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে এতো চমৎকার নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করার জন্য।
জি ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য।
নাটক রিভিউ আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এই ধরনের নাটক গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে দেখতে। বিশেষ করে আমি যখন সময় পাই তখনই এই নাটকগুলো দেখে থাকি। এই নাটকটাতে কিন্তু বেশ শিক্ষনীয় বিষয় ছিল। এই নাটকটা এখনো পর্যন্ত আমার দেখা হয়নি, তাই ভাবছি সময় পেলে নাটকটি দেখব।
জি দেখবেন ভাইয়া সময় করে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভিলেন নাটকটা আমার দেখা হয়েছিল। আর আজকে আপনার এই রিভিউ পোষ্টের মাধ্যমে দেখে খুব ভালো লেগেছে। আসলে এমনিতে যারা উগ্ৰ মেজাজের, তাদের সাথে শেষে কিছুই ভালো হয় না। নতুন করে আবারো আপনার রিভিউ পোস্টের মাধ্যমে দেখেছি বলে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এত সুন্দর করে নাটকটা রিভিউ ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
জি একদম ঠিক বলেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য।
দারুন একটি নাটক আজ আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখিয়েছেন। আপনার এই নাটক রিভিউ করা দেখে আমি অনেক খুশি হলাম। আপনি যে এত সুন্দর ভাবে নাটক রিভিউ করা শিখে গেছেন এটা কিন্তু আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো।
জি। ধন্যবাদ ভাইয়া।