নাটক রিভিউ || দুষ্ট মেয়ের মিষ্টি বাবা
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে দুষ্ট মেয়ের মিষ্টি বাবা। এই নাটকের মধ্যে যে নায়ক ও নায়িকা রয়েছে তাদের নাটক আমার সবসময় ভালো লাগে। তাদের জুটি অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি ও বাংলা ডাবিং করা মুভি অনেক দেখা হতো, অনেক খেলাধুলাও করা হতো তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না৷ তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
নাটক | দুষ্ট মেয়ের মিষ্টি বাবা |
---|---|
পরিচালক | মীতুল খান |
অভিনয় | নিলয় আলমগীর, সামিরা খান মাহি সহ আরো অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
দৈর্ঘ্য | ৫০ মিনিট ২৭ সেকেন্ড |
মুক্তির তারিখ | ১০ এপ্রিল ২০২৪ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম৷ আশা করি আজকের যে পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সেটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে৷ এই পোস্ট এর মধ্যে আমি যা কিছু শেয়ার করব সবকিছুই আপনাদের অনেক পছন্দ হবে৷ আজকের যে নাটকটির নাম আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি দেখেই হয়তো আপনারা কিছুটা বুঝে গিয়েছেন যে আজকে আমি কিরকম পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি৷ যখন নাটকটি শুরু হয়ে যাবে তখন সেখানে অনেক কিছুই দেখানো হয়৷ খুব সুন্দরভাবেই নাটকটি প্রথমে শুরু হয়৷ প্রথমে নায়ক এবং নায়িকাকে দেখানো হয়৷ তারা তাদের যৌবনকালে যেভাবে বিয়ে হয়েছিল সেই কথা চিন্তা করতে থাকে৷ তারা ভাবে যে তাদের যেহেতু এত কষ্ট করে বিয়ে হয়েছে তাই এখন তাদের মেয়ে যেন এত কষ্ট করে বিয়ে না করে তাই তারা তাদের মেয়েকে সকল ধরনের স্বাধীনতা দিয়ে দিবে৷ তাদের মেয়ে যদি কাউকে পছন্দ করে তাহলে তার সাথেই তারা বিয়ে দিয়ে দিবে৷ তার জন্য যেসকল সুবিধার প্রয়োজন সবকিছুই তারা দিবে৷ নায়ক এবং নায়িকার তাদের বাসার পাশের একজন ছেলেকে পছন্দ ছিল এবং তারা ভেবেছিল যে তাকে তারা তাদের বাড়ির জামাই বানাবে এবং এজন্যই তারা তার সাথে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
এরপর একদিন নায়িকা তাদের বাসায় যায়। বাসায় অনেক মিষ্টি নিয়ে যায় এবং বলে তার যেহেতু এখন পড়াশোনা শেষ হয়ে গিয়েছে সে যেন এখন তাদের মেয়েকে প্রাইভেট পড়ায়৷ যেন তাকে ভালো একটি রেজাল্ট এনে দেয়।সে কোন ধরনের পড়াশোনা করে না এবং সে পড়াশোনা করতেও চায় না৷ তাই যদি সে এখন প্রাইভেট পড়ায় তাহলে সে ভালো একটি রেজাল্ট করতে পারবে৷ এই রেজাল্ট এর মাধ্যমে সে ভালো কিছু করতে পারবে৷ তাই যখন নায়ক এবং নায়িকা তাদের বাসায় ওই ছেলেটি আসে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য তখন তারা দুজনেই অনেক সেজেগুজে ছিল৷ যখন তাদের মেয়ে সেখানে প্রাইভেট পড়ার জন্য আসে তখনই তারা দেখতে পায় যে সে তার যে রেগুলার ড্রেস রয়েছে সেটি পড়েই চলে এসেছে৷ তখন তারা দুজনে তাকে রুমে নিয়ে যায়৷ তখন তারা বলে যে সে এরকম ড্রেস পড়েছে কেন৷ সে যেন এখন খুবই সুন্দর একটি ড্রেস পরে৷ তখন নায়িকা তার মেয়েকে খুবই সুন্দর একটি ড্রেস পরিয়ে দেয়৷ সেই ড্রেস পড়ে সে প্রাইভেট পড়ার জন্য আসে৷ এরপর যখন ওই ছেলেটি তাদেরকে দেখে তখন সে অনেকটাই অবাক হয়ে যায় এবং মনে মনে ভাবতে থাকে যে কার পাল্লায় সে পড়ে গেল৷ এরপর তারা দুজনে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে থাকে এবং নায়িকার মেয়েও তার সাথে লাইন মারার চেষ্টা করে৷ তাকে তার ভালোবাসার কথা বোঝানোর চেষ্টা করে৷ তারা দুজনে একসাথে অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করে এবং অনেক ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
তারা দুজন যেখানে যেন তখন নায়িকা এবং নায়ক তাদের প্রতি খেয়াল রাখত এবং দেখত যে তাদের মধ্যে আসলে সম্পর্কটা কিরকম৷ তাদের এই সম্পর্ক গভীর করার জন্য তারা আরো অনেক ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে থাকে৷ নায়িকার মেয়ে সব সময় তার সাথে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে৷ তারা দুজনে যেভাবে সব সময় সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে থাকে তা একেবারে অন্যরকম৷ একই সাথে তারা সবাই যখন সেখানে অনেক জায়গায় ঘুরাঘুরি করে এবং অনেক কিছুই করে তখন তা একেবারে অসাধারণ ছিল৷ একই সাথে শেষ পর্যন্ত যখন নায়ক ভেবেছিল যে তাদের মেয়ে যেহেতু ওই ছেলেটিকে পটিয়ে ফেলেছে এখন যেন সে তাকে বিয়ে করে নিয়ে আসে৷ তখন তারা ভাবে যে নায়িকার মেয়ে যেহেতু এখন সবকিছুই তার হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে এখন সে তাকে বিয়ে করে নিতে পারবে৷ তবে কোনোভাবেই সে তাকে বিয়ে করতে পারেনা৷ তার অন্য একজনকে পছন্দ ছিল এবং সে ছিল তাদের বাড়ির কাজের লোকের মতো৷ সে তাদের বাসার যে কোন ধরনের কিছু প্রয়োজন হলে সেগুলো দিয়ে যেত৷ যে কোন কিছুই নায়িকা তার কাছ থেকে নিয়ে আসতো৷ যখন তারা দেখে যে তাদের মেয়ে এরকম একটা ছেলেকে বিয়ে করে ফেলেছে৷ তখন তারা একেবারেই অবাক হয়ে যায় এবং নায়ক সেখানেই মাথা ঘুরে পড়ে যায় এবং এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
খুবই সুন্দর একটি নাটক ছিল এটি এবং একেবারে মজার কিছু ঘটনাকে নাটকের মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ প্রথমে যখন নাটকটি এখানে শুরু হয়ে যায় তখন এখানে খুব সুন্দরভাবে সবকিছু দেখানো হয়৷ নাটকের মধ্যে এত অসাধারণ কিছু ঘটনা দেখানোর মধ্য দিয়ে অনেক কিছু এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ প্রথমে যখন নাটকটি শুরু হয়ে যায় তখন নায়ক এবং নায়িকা তাদের যে ছোটবেলার কাহিনী রয়েছে সেটি ভাবতে থাকে এবং তারা ভাবে যে তারা কষ্ট করেছে তাদের মেয়েকে তারা কোনভাবে কষ্ট দিবেনা৷ তাদের মেয়ের যাকে পছন্দ তার সাথেই তারা বিয়ে দিয়ে দিবে৷ তাদের মেয়ের যার সাথে ইচ্ছা তার সাথেই তারা তার সম্পর্ক তৈরি করার জন্য সাহায্য করবে৷ তাই নায়িকা তার মেয়েকে সাহায্য করতে থাকে এবং তাদের মেয়েও ভালোভাবেই সবকিছু বোঝাতে থাকে৷ সে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে প্রকৃতপক্ষে তার যাকে পছন্দ ছিল তাকেই বিয়ে করে ফেলে৷ এটি দেখে নায়ক ও নায়িকা হতবাক হয়ে যায় এবং তারা সেখানেই ভেঙে পড়ে৷ আসলে আমাদের বাস্তবিক জীবনেও আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখতে পাই৷ ছেলেমেয়েদেরকে তাদের মা-বাবারা যেভাবে স্বাধীনতা দিতে থাকে এই স্বাধীনতা তারা কোনভাবেই সদ্ব্যবহার করতে পারে না৷ এই স্বাধীনতা পেয়ে তারা এত খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে যায় যা একেবারে বলার বাইরে৷ কারণ আমাদের বাস্তবিক জীবন আমরা এমন অনেক মানুষকে দেখেছি যারা তাদের সন্তানদেরকে এমন স্বাধীনতা দিয়েছে যে সে খারাপ পথে চলে গিয়েছে এবং এতটাই খারাপ পথে চলে গিয়েছে যে সে আর কখনো সেখান থেকে ফিরে আসবে বলেও মনে হয় না।
আমার রেটিং
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের নাটক রিভিউ। আসলে কতটুকু ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি জানিনা। তবে আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ দিয়ে। আর আপনাদের উৎসাহ উদ্দীপনা পেলে হয়তো আরো ভালো কিছু করতে পারব,সেজন্য আপনাদের সাপোর্টের অনেক অনেক প্রয়োজন।যাইহোক বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি ধন্যবাদ।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1897194521458573422?t=feo8_Fequn8ZoIthtsBVDA&s=19
05.03.2025
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার প্রতি সবসময় অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আমাকে এভাবে সাপোর্ট করে পাশে থাকার জন্য।
চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যদিও নাটকটি দেখা হয়নি তবে আপনার পোস্টটি পড়ে নাটকটি দেখার ইচ্ছা জাগলো। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
নাটকটি অনেক সুন্দর হয়েছে৷ যদি দেখে নিন তাহলে আরো অনেক ভালো লাগবে।
ভাইয়া আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আমার কাছে নিলয় আলমগীরের নাটক ভীষণ ভালো লাগে।যদিও নাটকটি দেখা হয়নি তবে নাটকের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
সবসময় এভাবে আমার পোস্টগুলোতে মন্তব্য শেয়ার করেন দেখে আমি অনেক খুশি হয়ে থাকি।
এতটা স্বাধীনতা দেওয়া আসলে ঠিক না। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর একটা নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নাটকের গল্পটা বেশ দারুন। আর শিক্ষণীয় কিছু ব্যাপার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সময় করে নাটকটা দেখার চেষ্টা করব। এত সুন্দর একটা নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করেছি নাটকের রিভিউ আপনাদের মাঝে খুব ভালোভাবে শেয়ার করার। এই মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার নাটক রিভিউ দেখে। অতি চমৎকার ছিল আপনার রিভিউ তার ধরন। নাটকের বিস্তারিত বিষয় গুলো খুব সহজেই জানতে পারলাম এই রিভিউ করতে গিয়ে। এত সুন্দর ভাবে নাটক রিভিউ করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করেছেন আপনি৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এত মিনিটের একটা নাটক মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই পড়ে নেওয়া যায়। আমি তো মনে করি দেখার থেকে রিভিউ পড়ে নেওয়াই ভালো। তাহলে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনীটা মাত্র ২ মিনিটেই জেনে নেওয়া যায়। বেশি সময় আর অপচয় করা লাগে না দেখে। আমি তো এখন সব সময় চেষ্টা করি নাটকের রিভিউর মাধ্যমেই কাহিনীটা জেনে নেওয়ার জন্য। ভালো লাগলো এই নাটকের রিভিউ টা।
একদম ঠিক বলেছেন।
আপনি তো দেখছি অনেক বুদ্ধিমান।