যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি।
১১মাঘ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৫ই জানুয়ারি ২০২৪ খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ বৃহস্পতিবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ,আমি আজকে একটি জেনারেল পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকে গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।
এই যৌতুক প্রথা বিশেষ করে গরীব সমাজে অনেক হয়, তবে বড়লোক রা যে যৌতুক দেয় কিংবা নেয় না তা কিন্তু না।এই সমাজের যৌতুকের বলী হয়েছে অনেক নারী।এখনও হচ্ছে অনেক নারী।মেয়েদের একটু আর্থিক অবস্থা কম হলে ছেলের পক্ষরা করে মেয়েদের উপর করে নানা নির্যাতন এতে মেয়েরা নানা পারে বাবা মা কে কিছু বলতে এতে হয় নির্যাতন সহ্য করতে করতে মারা যায় আর না হয় নিজেই আত্মহত্যা করে।তাছাড়া একটি মেয়ে একটু দেখতে অসুন্দর হলে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিয়ে দেয় অনেক পরিবার।
অনেক সময় চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিলেও পরে বিয়ের পর আবার টাকা দাবি করে এতে করে টাকা দিতে না পারলে শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন সমস্যা।
এই দিকে মেয়ের সুখের জন্য টাকা দিতে দিতে মেয়ের বাবার অবস্থা হয় শোচনীয়। যৌতুকের কারনে নারীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হয় তাছাড়া স্বামী স্ত্রী মাঝে সম্পর্ক নষ্ট হয়।
যার কারনে অনেক সময় বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।গরীব এবং ধনী সব জায়গাতেই এর প্রচলন রয়েছে।যদিও ধনীলোকদের উপর প্রভাব পরে না তবে গরীবলোকদের উপর অনেক প্রভাব পরে।যৌতুকের কারনে মেয়েদের উপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন হয়।এমন অনেক ঘটনা ঘটে আমাদের সমাজে।সেই দিন ও খবর দেখলাম যৌতুকের কারনে মেয়েকে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।আর না প্রতিদিন পেপারে দেখা যৌতুকের কারনে আত্নহত্যাও করেছে।এই যৌতুক প্রথা আমাদের সমাজ থেকে দূর করতে হবে।সমাজ থেকে দূর করতে হলে আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিত।
আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা শিক্ষিত হতে হবে।নারীদের প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।নারীদেরকে মানুষ মনে করতে হবে।পরিশ্রমের মাধ্যমে নারী পুরুষ উভয়কেই প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখতে হবে,একজন আরেকজনকে সম্মান দিতে হবে।
আমাদের দেশের ভয়াবহ একটি সামাজিক সমস্যা কিংবা ব্যাধি হচ্ছে যৌতুক প্রথা।বিয়ের সময় বর পক্ষ কন্যা পক্ষ থেকে নানা রকমের সামগ্রী কিংবা টাকা দাবি করে কিংবা গ্রহন করে তারেই নাম হচ্ছে যৌতুক। অশিক্ষা কিংবা নারীদের অবমূল্যায়নের জন্য এই সমস্যা।যৌতুক প্রথাটা ঠিক কবে থেকে চালু হয়েছে তা জানা যায়নি।
এই যৌতুক প্রথা বিশেষ করে গরীব সমাজে অনেক হয়, তবে বড়লোক রা যে যৌতুক দেয় কিংবা নেয় না তা কিন্তু না।এই সমাজের যৌতুকের বলী হয়েছে অনেক নারী।এখনও হচ্ছে অনেক নারী।মেয়েদের একটু আর্থিক অবস্থা কম হলে ছেলের পক্ষরা করে মেয়েদের উপর করে নানা নির্যাতন এতে মেয়েরা নানা পারে বাবা মা কে কিছু বলতে এতে হয় নির্যাতন সহ্য করতে করতে মারা যায় আর না হয় নিজেই আত্মহত্যা করে।তাছাড়া একটি মেয়ে একটু দেখতে অসুন্দর হলে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিয়ে দেয় অনেক পরিবার।
অনেক সময় চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিলেও পরে বিয়ের পর আবার টাকা দাবি করে এতে করে টাকা দিতে না পারলে শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন সমস্যা।
এই দিকে মেয়ের সুখের জন্য টাকা দিতে দিতে মেয়ের বাবার অবস্থা হয় শোচনীয়। যৌতুকের কারনে নারীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হয় তাছাড়া স্বামী স্ত্রী মাঝে সম্পর্ক নষ্ট হয়।
যার কারনে অনেক সময় বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।গরীব এবং ধনী সব জায়গাতেই এর প্রচলন রয়েছে।যদিও ধনীলোকদের উপর প্রভাব পরে না তবে গরীবলোকদের উপর অনেক প্রভাব পরে।যৌতুকের কারনে মেয়েদের উপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন হয়।এমন অনেক ঘটনা ঘটে আমাদের সমাজে।সেই দিন ও খবর দেখলাম যৌতুকের কারনে মেয়েকে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।আর না প্রতিদিন পেপারে দেখা যৌতুকের কারনে আত্নহত্যাও করেছে।এই যৌতুক প্রথা আমাদের সমাজ থেকে দূর করতে হবে।সমাজ থেকে দূর করতে হলে আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিত।
আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা শিক্ষিত হতে হবে।নারীদের প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।নারীদেরকে মানুষ মনে করতে হবে।পরিশ্রমের মাধ্যমে নারী পুরুষ উভয়কেই প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখতে হবে,একজন আরেকজনকে সম্মান দিতে হবে।
যাইহোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Dhaka |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এটা ঠিক আপু আমাদের সমাজে আজও এ যৌতুক প্রথা একটা বিশাল সামাজিক ব্যাধি ৷ সরকার এ যৌতুক প্রথা বন্ধ করার জন্য কত কিছু করছে কিন্তু সফলতা পাচ্ছে না ৷ কারন প্রতিটি মানুষ এই বিষয়টা উপেক্ষা করে রোজ ৷ যা হোক আমাদের সবার এগিয়ে আসা উচিত ৷ সবাইকে বোঝানো উচিত ৷
অনেক সুন্দর একটি ব্লগ তুলে ধরেছেন ৷ ভালো লাগলো আপু ৷অসংখ্য ধন্যবাদ
যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি আমি আপনার কথায় একমত। দেশে থেকে যদি এই নিয়মটা তুলে দেওয়া যেতো তাহলে সব চেয়ে বেশি ভালো হতো। ঠিক বলেছেন প্রতিনিয়ত অনেক ধরনের ঘটনা দেখা যায় এবং শোনা যায়। চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
দেশে তুলে দেওয়াই হয়েছে, কিন্তু সমাজের মানুষেই মানি না।ধন্যবাদ
অবশ্যই যৌতুক শুধু সামাজিক ব্যাধি নয় মরন ব্যাধিও বটে।যৌতুকের জন্য হাজারও মেয়ের মৃত্যু ঘটে নিরবে।যৌতুক দিয়ে মেয়ের বাবার শোচনীয় অবস্থ্যা হলেও অনেক সময় আবারও যৌতুক হিসেবে মোটা অংকের টাকা দাবি করে বসে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। যার কারনে অনেক মেয়েরা নির্যাতিত হয় এবং মেয়ের বাবা-মা ও অনেক অসহায় হয়ে পড়ে। আমি মনে করি এই সমস্যা নিয়ে নারী-পুরুষ সবাই এগিয়ে আসলে এই ব্যাধি থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে পারি। এই সামাজিক ব্যাধি নিয়ে অনেক নারীর জীবনে ধ্বংস হয়ে গেছে, তাই আমাদের এ বিষয়ের উপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
যৌতুক নিয়ে সুন্দর একটি জনসচেতনতা মূলক পোস্ট দিয়েছেন আপু। আপনি ঠিক বলেছেন,যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। আর্থিক ভাবে নারীরা যতদিন স্বাবলম্বি না হবে ততদিন এই ব্যাধি থেকে নিস্তার নেই। এই বিষয়ে সামাজিক সচেতনাও জরুরি।নারী-পুরুষ উভয়কেই এগিয়ে আসতে হবে। যৌতুককে না বলতে হবে। যৌতুকলোভিদের সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে। ধন্যবাদ আপু, পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য।
আসলে সমস্যা হচ্ছে আমাদের মনের,যতদিন অব্দি আমরা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে না পারি ততদিন অব্দি এননই হবে।
এখনো কিন্তু এই সামাজিক ব্যাধি আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত তবে আফসোস লাগে বর্তমান শিক্ষিত সমাজে কেন এই প্রথা অবিরাম চলছে। গরিব সমাজ বলে নয় আপু সর্বস্থানেই এই প্রথা বিদ্যমান। তবে চেষ্টা করতে হবে দিন দিন যেন এই সামাজিক ব্যাধি দূর করা যায়।
আমার কাছে মনে হয় যৌতুক এক প্রকারের অভিশাপ। আসলে যৌতুকের কারণে অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। আবার অনেকে মৃত্যুর পথ বেছে নেয়। আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন বর্তমান সমাজে যৌতুক মারাত্মক ব্যাধিতে রূপান্তর হয়েছে। দিন দিন যৌতুকের নেওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। নারীকে ভালোবাসার জন্য বিয়ে না করে টাকার জন্য বিয়ে করে। এ ধরনের মানসিকতা কোনভাবে কাম্য নয়। আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে যৌতুকের জন্য। তাই আমাদের সবাইকে যৌতুক বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। এত সুন্দর বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
যৌতুক দেওয়া বা নেওয়া যে শুধু গ্রামাঞ্চলেই বেশি হয় অথবা মিডিল ক্লাস শ্রেণীতেই বেশি হয় তা কিন্তু নয়। ধনী পরিবারের ক্ষেত্রেও এটা হয় কিন্তু আমরা সেটা বুঝতে পারি না। তবে যৌতুকের কারণে যে নারী নির্যাতনের কথা বললেন, এগুলো কিন্তু এখনো কিছু কিছু সমাজে দেখা যায় আপু। বেশ সুন্দর একটা সচেতনতামূলক পোস্ট শেয়ার করেছেন। যারা পোস্ট টি পড়বেন তারা প্রত্যেকেই এই বিষয়ে সচেতন হবেন। এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন আপু, নারীদের প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে এবং নারীদেরকেও মানুষ মনে করতে হবে তবেই সমাজে নারীর অবস্থান শক্ত হবে। নারীর অবস্থান শক্ত হলে, যৌতুক এর মত সামাজিক ব্যাধি একটু হলেও কম হবে সমাজে।