আজ- ১৮ জৈষ্ঠ্য /১ জুন | ১৪২৮, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| বুধবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব পটলের দোলমা তৈরির রেসিপি। পটল আমার খুবই অপছন্দের একটি সবজি। পটলের কোন আইটেমই আমার কাছে ভালো লাগে না। তবে পটল ভাজা আর এই দোলমা মোটামুটি খেতে পারি। যারা পটল খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আজকের এই রেসিপি দারুণ সুস্বাদু লাগবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। মাঝে মাঝে খাবারের সাদে বৈচিত্র আনতে এ ধরনের রেসিপি বাসায় ট্রাই করে দেখতে পারেন। আমার পছন্দের সবজি না হলেও সবজি হিসেবে পটলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই এই পটল সুলভে পাওয়া যায়। যাই হোক বারতি কথা না বলে আসুন রেসিপি তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু করা যাক।


প্রয়োজনীয় উপকরণ
- পটল
- টক দই
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- হলুদের গুঁড়া
- মরিচের গুঁড়া
- আদা বাটা
- রসুন বাটা
- জিরার গুড়া
- চিনি
- লবণ
- সয়াবিন তেল

প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ ১ঃ
প্রথমেই পটল গুলোকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নেই।


ধাপ ২ঃ
সামান্য হলুদের গুঁড়া মরিচের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে পটল গুলোকে ভালোভাবে মাখিয়ে নেই।

ধাপ ৩ঃ
একটি কড়াইতে সামান্য পরিমাণ সয়াবিন তেল গরম করে তার মধ্যে মাখানো পটলগুলো হালকা করে ভেজে ফেলি।

ধাপ ৪ঃ
এবার একটি কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে তার মধ্যে কিছু পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই।

ধাপ ৫ঃ
পেঁয়াজকুচির মধ্যে পরিমান মত হলুদের গুড়া, মরিচের গুঁড়া, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরার গুড়া সহ সব মসলাগুলো দিয়ে একটি চামচের সাহায্যে আস্তে আস্তে নাড়তে থাকি।

ধাপ ৬ঃ
মসলাগুলো ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে তার মধ্যে পরিমান মত পানি দেই এবং আস্তে আস্তে নাড়তে থাকি এরপর আগে ভেজে রাখা পটল গুলো কড়াইতে দিয়ে দেই।

ধাপ ৭
সবশেষে পরিমাণমতো টক দই এবং চিনি দেই। এবার অল্প আঁচে দশ পনের মিনিট রান্না করি। পানি শুকিয়ে ঘন হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলি। তাহলে তৈরি হয়ে গেল আমাদের মজাদার পটলের দোলমা। গরম ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে এই খাবারের তুলনা হয়না।

আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পটল সবজি টি আমারো তেমন একটা ভালো লাগে না। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। কালারটা খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। ইচ্ছে করছে এখনই একটু খেয়ে টেস্ট করে দেখি কেমন হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন আমাদের সাথে। এত সুন্দর এবং সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো না লাগলেও মাঝে মাঝে কিছু জিনিস খেতে হয়। আপনার মত আমারও তেমন একটা ভালো লাগে না কিন্তু বাসার অন্য সবার কাছে অনেক প্রিয় এই পটল। একবার বাসায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ আপু
আপনার এই রেসিপি টা আমার কাছে খুবই ইউনিক লেগেছে ভাই। পটল দিয়ে এত সুন্দরভাবে এ ধরনের রেসিপি আমি আর কখনো দেখিনি। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন আপনি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
কমন খাবারের মধ্যে একটু বৈচিত্র আনার চেষ্টা। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনি অত্যন্ত চমৎকার করে পটলের দোলমা রেসিপি আমদের শেয়ার করেছেন। মাঝে মাঝে খাবারে বৈচিত্র্য আনার জন্য আমরা এ ধরনের রেসিপি করতে পারি। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। যাইহোক এই রেসিপিটি আমার একদমই খাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর করে রেসিপির সবগুলো ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের বাড়িতেও এই রেসিপিটি খুব একটা তৈরি হয় না। বলতে পারেন খুবই আনকমন। আশা করি রান্না করলে আপনার কাছেও ভাল লাগবে। ধন্যবাদ
আমার কাছে শুধু পটল ভাজি ভালো লাগে। আমি কালকেও খেয়েছি।তবে এভাবে পটলের দোলমা খাওয়া হয়নি।তবে মনে ভালোই হবে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও আপনার মত শুধু পটল ভাজি পছন্দ করি। তবে মাঝে মাঝে দু একবার এমন আনকমন খাবার খেতে খারাপ লাগে না। ধন্যবাদ আপু
পটলের দোলমা রেসিপি দারুন হয়েছে ভাইয়া। কয়েকদিন থেকেই ভাবছিলাম এই রেসিপি তৈরি করব। আজকে আপনি এই মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার রন্ধনপ্রণালী উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আশা করি খুব শীঘ্রই আপনার তৈরি রেসিপিও দেখতে পাবো। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
পটলের দোমরা রেসিপিটি একদম নতুন এবং ইউনিক মনে হচ্ছে এ ধরনের রেসিপি কখনোই খাওয়া হয়নি তবে আপনার প্রস্তুত প্রণালি পড়ে বুঝলাম রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হবে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন ধাপগুলো শুভকামনা রইল আপনার জন্য
সাধারণত এ ধরনের খাবার পোলাও বা গরম ভাতের সঙ্গে খেতে খুব ভালো লাগে। আশা করি আপনিও বাসায় চেষ্টা করে দেখবেন। ধন্যবাদ
আপনি পটলের দোলমা রেসিপিটা অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর করে এটা উপস্থাপন করেছেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার কমেন্টগুলো পড়তে খুবই ভালো লাগে। গতানুগতিক এবং একই রকম কমেন্ট আমাকে দারুন অনুপ্রাণিত করে।
পটল ভাজি অনেক ভাল লাগে। সেই সাথে আপনি দেখছি পটল দিয়ে আনকমন একটি রান্না রেধেছেন। পটলের দোলমা রেসিপিটি শিখে নিলাম। বাসায় রান্না করা খাব একদিন। আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আশা করি এই ভিন্ন ধরনের খাবার খারাপ লাগবে না। ধন্যবাদ ভাই
ভাইয়া আমার কাছেও পটলের সবজি খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার কাছে এই সবজি ভেজে বা অন্য কোন কিছুর সাথে খেতে ভালো লাগে। আপনি অনেক মজাদার পটলের দোলমা রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া
আমি শুধু পটল ভাজা খেতে পারি। অন্য কোন ভাবেই আমার কাছে ভালো লাগে না। তাই একটু ব্যতিক্রমভাবে এই দোলমা তৈরি করেছিলাম। ধন্যবাদ আপু
পটলের ভাজি আমার কাছে খুব ভালো লাগে খেতে। তবে পটলের দোলমা খাওয়া হয়নি কখনো। রেসিপিটিও ইউনিক মনে হচ্ছে। খেতেও মজা হয়েছে নিশ্চয়। ধন্যবাদ
চেনা খাবারের অচেনা স্বাদ। সাধারণ পটলের চাইতে বেশ ভালই লেগেছিল খেতে। আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ