"কাগজ দিয়ে বাবুর স্কুলের প্রজেক্ট একটি কার্ড তৈরি করা"

in আমার বাংলা ব্লগlast year

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।অনেক দিন পর আবার আপনাদের মাঝে চলে আসছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কাগজ দিয়ে কার্ড তৈরি। বাবুর স্কুল থেকে মেসেজ করেছে কাগজ দিয়ে কার্ড তৈরি করে নিয়ে যেতে হবে। যদিও গতবছর বাচ্চাদের কার্ড তৈরি করা শিখিয়েছে। বাচ্চাদের তৈরি করা মানেই তো মায়েদের খাটনি। এই টুকু বয়সে বাচ্চারা কি তৈরি করতে পারে। তারমানেই মায়েদের তৈরি করতে হবে। আজকাল শরীরটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। তার উপর আবার প্রচন্ড গরম পড়েছে। এই গরমে কোন কিছু করতে মন চায় না। এদিকে শরীরটা ও খুব একটা ভালো না। ঘরের কোন কাজ করতে পারছি না। তারপর ও ছেলের স্কুলের প্রজেক্ট করতে তো হবে। বাবুর বাবাকে বললাম তুমি করে দেও। আমার শরীরটা ভালো লাগছে না। সে বলে আমি কখনো কার্ড তৈরি করতে পারি। আর কোনদিন তৈরি করিনি। তুমি যেটুকু পারো বাবুকে নিয়ে কর। তবে হ্যা বাবুকে দেখিয়ে দিলে ও সেই ভাবে করতে পারবে।আর টিনটিন বাবু খুব ভালো আর্ট করতে পারে। তাই আমার খুব বেশি কষ্ট হয়নি। বাবু কে শুধু বলে দিলাম সেই ভাবে করলো। শুধু কাগজ আমি কেটে দিলাম। মা ছেলে মিলে খুব সুন্দর একটা কার্ড তৈরি ফেললাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

IMG_20240429_215715.jpg
উপকরণঃ
১.সাদা কাগজ
২.রঙিন কাগজ
৩. রং পেনসিল
৪. রবার
৫.পেনসিল
৬. গাম

IMG_20240429_210251.jpg
প্রস্তুত প্রণালী:
১.প্রথমে লাল রঙের কাগজ দিয়ে ছোট একটি ফুল কেটে নিলাম।বাবু এখন ও ছোট তাই ওকে কাগজ কাটতে দেয় নি।

IMG_20240429_210420.jpg

IMG_20240429_210536.jpg

IMG_20240429_210701.jpg

IMG_20240429_210724.jpg

IMG_20240429_210740.jpg

IMG_20240429_210923.jpg
২.এরপর সাদা কাগজে দুই কোনা বরাবর পেনসিল দিয়ে দাগ দিতে বললাম। যদিও আমি আগে বাবুকে দেখিয়ে দিয়েছিলাম।এবং সেই দাগের ওপর ফুল কেটে দিলাম। আর বাবুকে বললাম তুমি ওর উপর দিয়ে সুন্দর করে দাগ কেটে দেও। যদিও প্রথমে একটু এলোমেলো হয়ে ছিলো পরে সেটা সুন্দর হয়েছিলো।

IMG_20240429_211302.jpg

IMG_20240429_211456.jpg

IMG_20240429_211621.jpg

IMG_20240429_212049.jpg
৩.এবার নিজের পছন্দ অনুযায়ী কালার করে দিলো। আমি আগে ওকে দেখিয়ে দিয়েছিলাম কোথায় কোথায় রং করতে হবে। তবে কালার সিলেক্ট নিজেই করেছে।

IMG_20240429_212622.jpg

IMG_20240429_212740.jpg

IMG_20240429_213348.jpg
৪. কিছুক্ষণ পর সারা কাগজে নিজে নিজে দুষ্টুমি করে রং করে দিলো। কি আর করতে পারি কাজ তো করা শেষ।বাধ্য হয়ে ছবি তুলে নিতে হলো।

IMG_20240429_214120.jpg

IMG_20240429_214316.jpg
৫. এরপর সাদা অংশ টুকুতে কেটে নেওয়া ফুল লাগিয়ে দিলাম। আর তার নিচে thank you লিখে দিলাম। আর হার্ট চিহ্ন এঁকে দিয়ে দিয়ে বাবুকে বললাম রং করে দিতে। বাবু আমার কথা অনুযায়ী রং করে দিলো।

IMG_20240429_214436.jpg

IMG_20240429_214447.jpg

IMG_20240429_214640.jpg

IMG_20240429_215004.jpg

IMG_20240429_215206.jpg

IMG_20240429_215715.jpg
তৈরি হয়ে গেল আমাদের কার্ড। জানি না আপনাদের কাছে কেমন লাগবে। তবে আমাদের কাছে কিন্তু বেশ লেগেছে। আর টিনটিন বাবু ও খুব খুশি প্রথম কার্ড তৈরি করতে পেরে। কেমন হয়েছে জানাতে কিন্তু ভুলবেন না।

Sort:  
 last year 

বৌদি প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি। এই অসুস্থতার মাঝেও বাবুর জন্য স্কুলের এই প্রজেক্টটি তৈরি করেছেন এটি আসলে বিশাল ব্যাপার। আসলে এটি ঠিক বলেছেন যে এতোটুকু বাচ্চা আর কিইবা বানাতে পারবে। তবে তাদেরকে যদি বানানোর জন্য দেয়া হয় তখন মায়েরা বানিয়ে দিতে হয়। যাইহোক বৌদি খুব সুন্দর ভাবে কার্ডটি তৈরি করেছেন এবং ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর সর্বোপরি আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

 last year 

আপনার জন্য দোয়া রইলো আপনি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন দিদি। অনেক আগে থেকেই জানি আপনি অসুস্থ দাদার কাছ থেকে জানছিলাম। তবে এখনো আপনি অসুস্থ সেটা জানতাম না শুনে খারাপ লাগলো। আর বাচ্চাদেরকে স্কুল থেকে জিনিস তৈরি করে নিতে যাওয়া মানে হচ্ছে মায়েদের উপরে চাপ। কি আর করার বাচ্চাদের জিনিস তৈরি করে দিতে হবে শত কষ্ট হলেও। মা ছেলে দুজনে বসে পড়লেন অবশেষে। সত্যি দিদি কার্ড এত সুন্দর হয়েছে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। যদি আপনি কেটে দিলেন সব টিনটিন বাবু করলো। মা ছেলে দুইজনের জন্য অনেক অনেক আশীর্বাদ রইলো।

 last year 

বৌদি প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি অনেকদিন পর আপনাকে দেখতে পেরে খুব ভালো লাগলো। এই অসুস্থ শরীর আমাদের টিনটিন ন বাবুর স্কুলের প্রজেক্ট তৈরি করলেন যদিও টিনটিন বাবু আপনাকে সাহায্য করেছে, তারপরও আপনারও তো কিছু করতে হয়েছে। দেখতে দেখতে তাহলে টিনটিন বাবু খুব বড় হয়ে যাচ্ছে এত সুন্দর একটি প্রজেক্ট তৈরি করল আপনার কাছ থেকে শুনে শুনে, মা ছেলে মিলে সত্যিই খুব সুন্দর একটি কার্ড তৈরি করেছেন বৌদি। কার্ডটি সত্যি খুব চমৎকার হয়েছে। এত চমৎকার একটি কার্ড তৈরি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।

 last year 

বৌদি এই অসুস্থতার মধ্যে যে কার্ড তৈরি করেছেন,এটা দেখে আসলেই খুব ভালো লাগলো। মা ছেলে মিলে দারুণ একটি কার্ড তৈরি করেছেন। আশা করি টিনটিন বাবুর স্কুলে এই কার্ডটি খুব পছন্দ করেছে। কার্ডের উপরে ফুল বসিয়ে দিয়েছেন বলে, কার্ডটি দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি কার্ড আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

অসুস্থ শরীর নিয়েও বৌদি, মা ছেলে মিলে বেশ ভালোই কার্ড বানিয়েছেন। নিজের প্রতি যত্ন নিন বৌদি, টিনটিনের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইল।

 last year 

বৌদি আপনি এই অসুস্থ শরীর নিয়েও টিনটিন বাবুর স্কুলের প্রজেক্ট হিসেবে খুবই চমৎকার একটি কার্ড বানিয়েছেন। ঠিক বলেছেন বৌদি এই কাজ গুলো তো আর বাচ্চারা করতে পারে না তাই সব খাটনি মায়েদের। তবে এত সুন্দর কার্ড দেখেই বোঝা যাচ্ছে আমাদের টিনটিন বাবু বড় হয়ে গিয়েছে। সে এখন মায়ের কষ্ট বুঝতে শিখেছে তাইতো আপনি বলে দিয়েছেন আর সে খুব সুন্দর ভাবে কার্ড বানিয়ে নিলো। সত্যিই মা ছেলে মিলে স্কুলের জন্য খুবই চমৎকার একটি কার্ড বানিয়েছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আর টিনটিন বাবু একদম পারফেক্ট কালার করেছে। মা ও ছেলের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

 last year 

এটা ঠিক স্কুল থেকে যদি কোন কিছু তৈরি করার জন্য বলা হয় তাহলে সেই প্রভাবটা মায়েদের উপরেই বেশি পড়ে। স্কুলে প্রোজেক্টের কাগজ দিয়ে কার্ডবোর্ড তৈরি করেছেন এটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি তৈরি করার প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আজ অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম বৌদি,আসলে আপনার অসুস্থতার কথা শুনেছি দাদার কাছে।আপনার সুস্থতা কামনা করি,যেন আগের মত ভালোভাবে সবকিছুতে থাকতে পারেন।আর টিনটিন বাবুর জন্য মা ছেলে মিলে খুব সুন্দর কার্ড তৈরি করেছেন দেখছি। দাদা দেখলাম কত সুন্দর করে ডাই প্রজেক্ট করেছিল,আর এখন কিনা কার্ড বানাতে পারে না,এটা কোনো কথা হলো।তবে টিনটিন যে আপনার দেখানো মতে এটা করেছে সেটা দেখেই ভালো লাগছে।ধন্যবাদ বৌদি,অসুস্থতা শর্তেও আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটা ডাই প্রজেক্ট নিয়ে আসার জন্য।

 last year 

অনেক দিন পর আপনার পোস্ট দেখতে পেলাম দিদি।আপনি অসুস্থ জানি। তবে দোয়া করি সুস্থ হয়ে উঠেন।টিনটিন বাবুর স্কুলের প্রজেক্ট তৈরি করলেন দুজন মিলে।কার্ডটি খুবই সুন্দর হয়েছে।টিনটিন বাবু আর্ট করতে পারে।তাইতো দুজন মিলে সুন্দর একটি প্রজেক্ট তৈরি করে নিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।

 last year 

বেশ কিছুদিন যাবৎ ‍শুনছি আপনার অসুস্থতার কথা। দোয়া রইল যেন আপনি বেশ তাড়াতাড়ি আপনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। সত্যি বলতে বাবা মা যতই অসুস্থ হউক না কেন সন্তানের প্রয়োজনে তাদের অসুস্থতা কোন বিষয় নয়। তবে বুঝাই যাচেছ যে আমাদের টিনটিন বাবু বেশ বড় হয়ে গেছে। তানাহলে এমন সুন্দর আর্ট করতে পারে। বেশ সুন্দর একটি কার্ড তৈরি করেছেন মা আর ছেলে মেলে।