বর্তমানে বিচ্ছেদ এক সামাজিক ব্যাধি||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে চলেছি,সেটা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।বর্তমান সময়ে বিচ্ছেদ একটি মহামারী আকার ধারণ করছে আমাদের সমাজে।কয়েকদিন যাবৎ সোশ্যাল মিডিয়া তে এক নামকরা ব্লগার জুটির বিচ্ছেদ নিয়ে বেশ তোলপাড় চলছে।এই কদিন খুব একটা সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ ছিলাম না ।তাই কোনো নিউজ জানতে পারিনি ।
গতকাল নিউজটি দেখে বেশ খারাপ লাগলো।আমাদের সমাজে এখন যে পরিস্থিতি এর পরে কেউ কাউকে আর বিশ্বাস করতে পারবেনা।এই জনপ্রিয় দুই ব্লগারদের বিচ্ছেদের কারণ থার্ড পার্টি ।অর্থাৎ মেয়েটির বেস্ট ফ্রেন্ড।ভুক্তভুগী মেয়েটি তার ফ্রেন্ডকে বিশ্বাস করে বাসায় নিয়ে রেখেছিল তারপর তার হাজবেন্ডের সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক করেছে মেয়েটি।এর পর প্ল্যান করে তারা দুজন মিলে মেয়েটির নামে দুর্নাম দিয়েছে এবং একপর্যায়ে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে।
কাপল ব্লগার হিসেবে বেশ পরিচিত ছিল এই জুটি।অনেক ভিউজ ছিল তাদের পেইজে।হঠাৎ থার্ড পার্টির আগমণে তাদের সংসার টা ভেঙে যায়।মেয়েটি অসহায় হয়ে কাদঁছে যেহেতু তার সংসারের বয়স ছিল দুই বছরের বেশি।মেয়েটি তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে নিয়েও অনেক ভিডিও পেইজে পাবলিশড করেছিল।মেয়েটিকে বাসায় নিয়ে এসে রেখেছিল বলে অনেকেই কমেন্ট করেছিল যে ,এভাবে বাসায় নিয়ে রাখা ঠিক নয় বাইরের মানুষকে।কিন্তু মেয়েটি তখন কারো কথাই কানে নেয় নি।অগাধ বিশ্বাস ছিল তার ফ্রেন্ড এবং হাজবেন্ড এর উপর। যার জন্য মেয়েটির এখন এই অবস্থা।
এই বিষয়টা যে হতে পারে আমি অনেকদিন আগেই আন্দাজ করেছিলাম ।এজন্য যে,ছেলেটি অনেকটা গাঁজাখোর টাইপের আর মেয়েটি সহজ সরল।আর আমি যেহেতু এই কদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা একটিভ ছিলামনা।এদের বিচ্ছেদের নিউজটি আমার বোন বললেই আমার মনে হয় যে এই দুজনের হবে।আর আমার ধারণা সত্যিই হয়ে গেল ।এটা ঠিক যে,মানুষ চিনতে পারা অসম্ভব। তবে অনেক সময় কিছু মানুষকে দেখলে একটা আইডিয়া চলে আসে।
এই ঘটনা দেখে অনেকটাই খারাপ লাগলো তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম। কারো সংসার ভাঙা এটা একধরনের পাপ, অত্যন্ত গুনাহের কাজ ।এছাড়া নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল। তারপরেও আবার বিবাহিত লোকের সাথে অবৈধ সম্পর্ক যাওয়া কোনো রুচিশীল ব্যক্তির কাজ নয়।যেই মেয়েটি কাজটি করেছে প্রকৃতির দ্বারা খুব শীঘ্রই শাস্তি পেয়ে যাবে।ঠিক যেমনটি ঘটেছে বাংলাদেশের নামকরা এক সেলিব্রিটির।কিন্তু ভুক্তভোগীর মেয়েটির এখন যে অবস্থা সেটাই খারাপ লাগছে যে, আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটিয়ে ফেলে।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

আপনি খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তবে আপনি সম্পূর্ণটুকু না জেনেই মন্তব্যটা করে ফেললেন ছেলেটা গাঁজা। মেয়েটার অনেক সমস্যা আছে আপনি হয়তো বা সেটা জানেন না, ভালোভাবে নিউজ দেখবেন ছেলেটার পাশাপাশি দুটো মেয়ের অনেক বেশি সমস্যা আছে বিশেষ করে তার বউয়ের। হয়তোবা মেয়েটা এখানে এসে চোখের পানি ফেলে কান্নাকাটি করছে এটা দেখে অনেকের খারাপ লাগবে কিন্তু বাস্তবিকভাবে চোখের পানি দিয়ে অনেক কিছুই জয় করা যায়। যাই হোক বর্তমান সময়ে বিশ্বের একটা সামাজিক ব্যাধি বলা চলে আর এটা খুব কাছের মানুষদের দ্বারাই আক্রান্ত হয়। যেটা কেউ কখনো মেনে নিতে পারে না।
আমি ছেলেটির লুক বুঝাতে চেয়েছি।না জেনে কোনো বিষয় নিয়ে লিখার প্রশ্নই আসেনা।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
যদিও এই ঘটনাটার কথা শোনা হয়নি, তবে আপনার পোস্টটা পড়েই জানতে পারলাম। আসলে মানুষ কে বিশ্বাস করা এখন অনেক বড় দায়। মানুষকে চেনা যায় না এখন, কারণ সবার উপরে থাকে মুখোশ। মুখোশের আড়ালে কে কি রকম এটা কেউই বলতে পারেনা। হয়তো দুই একজন আছে যাদেরকে দেখলে বুঝা যায় তারা কি রকম। আমার কাছেও খুব খারাপ লেগেছে মেয়েটার কথা শুনে। তার বেস্ট ফ্রেন্ড এর এরকম কাজ করা একেবারে উচিত হয়নি।
জি আপু এখনকার দিনে মানুষ বিশ্বাস করা দায়,ধন্যবাদ আপু।
আপনি আজকে সুন্দর একটা কথা বলেছেন বর্তমানে বিচ্ছেদ হচ্ছে এক সামাজিক ব্যাধি এবং এটা সত্যি বাস্তবে ঘটতেছে। বিচ্ছেদ হয় খুব সেলিব্রেটিদের। যারা নায়ক নায়িকারা তাদের মধ্যে কিন্তু এর প্রবণতা অনেক বেশি। অনেক ভালো ভালো অভিনেতাদের সংসার ভেঙে যেতে দেখেছি এবং বিশ্বের ধনী বিল গেটস এর ও স্ত্রীও থাকেনাই।আসলে সুখটা কোথায়? টাকাতেই কি সুখ দেয়? টাকা তে সুখ দিলে তো ওদের কাছে তো কোন টাকার অভাব ছিল না ।সম্পর্ক তখনই টিকিট থাকে যখন একটা মানুষের প্রতি আরেকটা মানুষের সম্মানবোধ ও দায়িত্ববোধ ভালোবাসা সবকিছু থাকবে। জ্বী আপু সংসার ভাঙ্গা এক ধরনের পাপ। অত্যন্ত গুনাহ হওয়ার কাজ। সংসারে যত ঝামেলায় হোক না কেন আমাদের ধৈর্যশীল হতে হবে। একটা সময় কিন্তু ঠিকই খারাপ সময় চলে যাবে।তাই আমাদের প্রিয় মানুষটির প্রতি অনেক দায়িত্বশীল হতে হবে ভালোবাসা দেখাতে হবে তাহলেই বা সংসার টিকবে। টাকা-পয়সা এইগুলোতে সংখ্যা টিকে না। কিন্তু টাকা পয়সা ছাড়া জীবনেও চলে না। সব দিকে থাকতে হবে
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমিও কিছু একটা এমন শুনেছি।আপনার পোস্টের মাধ্যমে সবটা জানতে পারলাম। আসলে এই সময়ে এসেও এতো বিশ্বাস করা কাউকে ঠিক নয়।এতো বিশ্বাস কিভাবে করে তাই আমি ভাবছি।বেস্ট ফ্রেন্ড হোক কিংবা কাছের মানুষ এরাই আজকাল ক্ষতি করে বেশি।মেয়েটির জন্য খারাপ লাগছে।এ অবস্থায় ধৈর্য ধারন করা ছাড়া আর কি ই বা করবে।ধৈর্যধারন করার শক্তি দিক আল্লাহ এটাই কামনা করি।বিশ্বাসের দাম আজকাল কেউ আর দেয় না।সত্যি ই আজ এটা সামাজিক ব্যধিতে পরিনত হয়েছে।
জি আপু ঠিকই বলেছেন,এছাড়া আর কিছুই করার নেই।
আমরা এখন মানুষ হয়ে মানুষকে বিশ্বাস করতে পারছি না যা মানুষ হয়ে জন্মানোই এক চরম ব্যর্থ্যতা। মানুষ এখন পশুর মত আচরন করে। আর বিশ্বাস ভংগ করা কিছু মানুষের স্বভাব হয়ে দাড়িয়েছে। তাইতো প্রিয় বন্ধুও তার বান্ধবীর সংসার ভাঙতে দুবার ভাবেনি। যে যার কর্মের জন্য শাস্তি পাবেই । এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একদম আপু! এইতো কিছুদিন আগে রাফসান সাবাবের বিচ্ছেদের ঘটনা দেখতে পেলাম! আসলে এখনকার বিচ্ছেদের পিছনের ঘটনা একদম সিম্পল! এখন যে অবস্থা কাউকে বিশ্বাস করা যায় না। মেয়েটির ফ্রেন্ডকে সরল মনে বিশ্বাস করে তাদের সংসারেই বিচ্ছেদ হয়ে গেল
জি ভাইয়া,ধন্যবাদ আপনাকে।
এই বিষয়টা এখন এভেলেবেল দেখা যাচ্ছে প্রত্যেকটা জায়গায়। তৃতীয় ব্যক্তি একটা সম্পর্কের মধ্যে আসার কারণে অনেক সম্পর্কই ভেঙে যাচ্ছে। এর কারণে অনেক মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তেমনি ওই মহিলার জীবনটা একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড এর কারণে। হয়তো অনেক বিশ্বাস করে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড কে নিজের বাসায় রেখেছিল। তবে সে যে এরকম জঘন্যতম কাজ করবে তার কখনো কল্পনা করেনি।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
এগুলা আসলে যারা মিডিয়াতে আছে তাদের জন্য কোন ব্যাপার না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মিডিয়া জগতের যারা আছেন তারা আসলে শো করার জন্য বিয়ে একটা করেন। তারপরে কিছুদিন সংসার করেন। এরপরে বাচ্চা একটা নিয়ে আবার বিচ্ছেদ ঘটায়। বেশির ভাগ অভিনয় শিল্পী বলেন কণ্ঠশিল্পী বলেন সবার ক্ষেত্রে একই অবস্থা দেখা যায়। এটা আসলে ওদের জন্য একটা রেওয়াজে পরিণত হয়ে গেছে। তো আপনি বেশ ভালই লিখলেন বর্তমান সময়ের শুধু মিডিয়ার পর্যায়ে নয় সমাজেও এটার প্রভাব অনেক বেশি পড়ে গেছে। যেহেতু বর্তমান সময়ে এখন সবাই স্বাবলম্বী তাই কেউ কাউকে এত বেশি পাত্তা দিতে চাই না। আসলে বিষয়টি খারাপ লাগার বিষয়। যেহেতু আর্থিকভাবে সফলতার কথা চলে আসে। তাই কেউ কাউকে পরোয়া করতে চাইনা। যে যার মত জীবন যাপন করতে তারা আগ্রহী হয়। মধ্যস্থানে যেয়ে আসলে বাচ্চা গুলো কষ্ট পায় সবচেয়ে এটা হচ্ছে কষ্টের ব্যাপার।
জি আপু একদম,ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।