আজ - সোমবার
২০ আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
০৪ জুলাই, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম |

হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। সুমন মানেই নতুন কিছু, সুমন মানেই ইউনিট পোস্ট।
আজকের পোস্ট আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি 'বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু'দের উপর ভিত্তি করে। যে সমস্ত শিশুরা সমাজে অবহেলিত ও সকল সুবিধা বঞ্চিত। ঠিক তাদের মত একজন শিক্ষার্থীর মুন্নি,তার লেখাপড়া নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। যে শিক্ষার্থীকে একদিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিশ্চিত করে দিয়েছিল লেখাপড়া করানো মোটেই সম্ভব নয়। তার চোখে সে ভালো দেখতে পারে না। সেই মেয়েটা আজ সবকিছুতেই অংশগ্রহণ করছে। লেখাপড়া সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ও তার অবদান রয়েছে। আর এরই মধ্য দিয়ে আমি আপনাদের মেসেজ দিতে চাই এমন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। যেন তারা নিজের পথ বেছে নিতে পারে। নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই গড়তে পারে। পরো নির্ভরশীলতার গ্লানি থেকে যেন মুক্তি পায় লেখাপড়ার মধ্য দিয়ে। |
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
📸🦊📸
প্রতিবন্ধীরাও মানুষ তাদের সকল মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করা আমাদের উচিত।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু লেখাপড়া শিখে মানুষ হবে ইনশাল্লাহ |
এক নজরে সাবজেক্ট ভিত্তিক দক্ষতা |
মেয়েটি চোখে ভালো দেখতে পারে না। তাকে অনেক বড় বড় করে লিখে দেখাতে হয়, চেনাতে হয় এবং বর্ণ লিখে তার উপর হাত ঘুরিয়ে শেখাতে হয। আমি জয়েন্ট করার পূর্বে একটি ম্যাডাম তাদের ক্লাস নিত। পরবর্তীতে তিনি চলে যাওয়াই তাদের দায়িত্ব নেওয়ার মতো কেউ ছিল না। মনে বড় মায়া লেগেছিল এদের অবস্থা দেখে এবং তাদের গার্জেন পক্ষের দুঃখভরা মনের কথাগুলো শুনে। পরে আমাকেই নিতে হয়েছে মানবতার খাতিরে। যেন তাদের মানুষ করতে পারি এমন একটা সুন্দর অনুভূতি মনের ভেতরে জেগে উঠেছিল। তাই নিজের মন থেকেই দায়িত্ব নিয়েছিলাম আমি অন্যান্য ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি ঈদের ক্লাস নেব এবং তাদের লেখাপড়া শিখাব ইনশাল্লাহ। দীর্ঘদিন ধরে তারা মনোযোগী ভাবে কথা শোনায় এবং লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়াতে আজ স্বরবর্ণগুলো চিনতে পেরেছে বলতে পারে লিখতে পারে। স্বর বর্ণের সংক্ষিপ্ত দশটি রূপ লিখে দেখাতে পারে। হয়তো এমন জেনারেল ছাত্র রয়েছে বা এস এস সি পাস করা মানুষ রয়েছে যারা স্বর বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ কয়টি সেটাও জানে না। আবার অনেকে রয়েছে কিছু কিছু স্বর বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ কোনটা হবে সঠিক করে বলতে পারেনা। কখনো এদের প্রতি অবহেলা জাগে না। অন্যান্য ক্লাসের জেনারেল ছাত্র-ছাত্রীদের যেভাবে লেখাপড়া শিখায়, ঠিক তেমনিভাবে এদের লেখাপড়া শিখায় আমি। আমার বেশি ভালো লাগে এরা চোখে ভালো না দেখতে পেরেও সংগ্রামী ভাবে লেখাপড়া শেখে নিজের প্রচেষ্টায়। কখনো বেয়াদপি করে না, বকায় না। তাদের ভেতরে একটা অনুভূতি কাজ করে যে আমাদের লেখাপড়া শিখতে হবে। |





তারা অংকগুলো বিভিন্ন জনার মুখ থেকে কানে শুনেছে। মোটামুটি একেকজনের থেকে শুনে কিছুটা বলতে পারতো তাও সীমিত কিন্তু কখনো চিনত না। যেহেতু তাদের নিকটে কেউ বড় করে লেখে দেখায়নি তাই তারা অংক গুলো চেনার জন্য এবং একশো পর্যন্ত শেখার জন্য ব্যাকুল ছিল। যে কথাগুলো আমাকে বলেছিল, আমি বলেছিলাম বেশি সময় লাগবে না; আমি চেষ্টা করব তোমাদের সেভাবে শেখানোর জন্য এবং তোমরা সেভাবে রেডি থাকবে। ইনশাল্লাহ খুব শীঘ্রই শিখে যাবে। আমার ভালো লাগে এই জন্য যে ক্লাস ওয়ান টু থ্রির জেনারেল ছাত্র-ছাত্রীদের চেয়ে এটার মেধা ভালো। এদের পিছে বেশি সময় ব্যয় করা লাগে না, একটু মনোযোগ সহকারে শিখিয়ে দিলে কয়েকবার দেখিয়ে দিলে এরা বেশ চিনে যায় এবং লিখতে পারে। অবশ্য মাঝে মধ্যে তাদের প্র্যাকটিস করাতে হয় যেন ভুলে না যায়। |





এরা লেটারগুলো চিনেছে এবং বড় হাতের গুলো লিখে দেখাতে পারে। তার পাশাপাশি ছোট হাতের গুলো চেনা শিখছে। শুধু এই নয় এরা অসংখ্য সাধারণ জ্ঞান শিখে ফেলেছে, অসংখ্য ইংরেজি ওয়ার্ড এর বাংলা অর্থ শিখে ফেলেছে। এমনকি সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জেনারেল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে পুরস্কার অর্জন করেছে। |



আমাদের সকলের বিবেক করা উচিত এই জাতীয় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সহায়তা প্রদান করার জন্য। কারণ একটু ভেবে দেখুন তো এদের পিতা-মাতা মারা গেলে এদের কে মানুষ করবে বা কে দেখাশোনা করবে। ভবিষ্যৎ কি এদের? তাই যে যেভাবেই পারি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই। যেন তারা একটু সহযোগিতার ফলে নিজের ভবিষ্যৎ নিজে গড়তে পারে অথবা অন্যের মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজের নির্ভরশীলতার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে পারে। কারণ এ জাতীয় বাচ্চাগুলো আজ খুবই অসহায়। |



আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন, সেই সাথে নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন, অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো। |
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

@sumon09
💖💞💞💖


আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
লোকেশন | https://w3w.co/fielded.acquisition.careers |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকবেন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |

|
---|
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের ছোট থেকে যদি ভালোভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় তাহলে তারা ভবিষ্যতে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে ।আপনার পোস্টটি শিক্ষামূলক একটি পোস্ট ছিল ।যা আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো।।
একদম সত্যি কথা বলেছেন ভাই।
আপনার আজকের ষষ্ঠী দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা কিন্তু আমাদের দেশের অনেক গর্ভের একটা বিষয়। আমরা তাদেরকে দূরে না ঠেলে দিয়ে যদি কাছে টেনে সঠিকভাবে সবকিছু শেখানোর চেষ্টা করে তাহলে ঠিক তারা তা করতে পারে। মুন্নি যদিও চোখে কিছুটা কম দেখতে পারে কিন্তু আস্তে আস্তে ও অনেক কিছুই শিখতে পেরেছে। এমনকি ওর লেখাগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
আমার এই পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো আমার।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য শিক্ষার বিষয়টা শুনে খুবই ভালো লাগলো। এ জাতীয় শিশুদের মেধা শক্তি প্রখর হয়। প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মানবতার নামেই ধর্ম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এরা অবশ্য খুবই মেধাবী।
অনেক ভালো একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পোস্ট টি সম্পূর্ণ ইউনিক একটা বিষয় এর উপর করা। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা করা কথা শুনলে খুব ভালো লাগলো। আমাদের সবারই উচিত এমন উন্নয়ন মূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। আরো এগিয়ে যান সামনের দিকে।
আশা করি দোয়া করবেন আমার এই কাজের জন্য।