ধানমন্ডি লেক।
হ্যালো বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। তবে সকাল থেকে গলার মধ্যে কেমন একটা ফিল হচ্ছে। ঠান্ডা লাগার পূর্ব লক্ষণ এটা। আসলে সমস্যা হচ্ছে গরমের সময় সবারই মন চায় ঠান্ডা পানি খেতে। দোকান থেকে ফ্রিজের পানি কেনার পর ওইভাবেই খেয়ে ফেলতে মন চায়। খুবই ভালো লাগে ঠান্ডা পানি খেলে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত ঠান্ডা খাওয়ার কারণে ঠান্ডা লেগে যায়। যাইহোক, এটা সাধারণ একটা সমস্যা। সবাই স্বস্তি খোঁজে। সেটা যেখানেই হোক, যেভাবেই হোক। একটু স্বস্তির খোঁজে সবাই মুখিয়ে থাকে।
আজ আমি ধানমন্ডি লেক নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। ঢাকা শহরের একখণ্ড বিনোদনের জায়গা। শত ব্যস্ততার মাঝে একটু ফ্রি সময় পেলে অনেকেই আসে এখানে দু'দণ্ড বসতে। আমি এর আগেও ধানমন্ডি লেকে বেশ কয়েকবার এসেছিলাম। তবে এবার ঢাকায় এসে গত পরশুদিন বিকেলে গিয়েছিলাম একটু সময় কাটাতে। যদিও আমাদের গ্রামের নদীর পাড়ে গিয়ে দাঁড়ালে যেই অনুভূতিটা পাওয়া যায় তার ধারেকাছেও এটা আসবে না। তবে ঢাকা শহরের ব্যাপারটি এমন যে "নাই মামা থেকে কানা মামা ভাল"। সবাই এইজন্যই যায়। যাহোক সেদিন বিকেলে আমরা যখন গিয়েছিলাম, রিক্সা থেকে নামার পর দেখি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। জায়গাটা অল্প সময়ের মধ্যেই ফাঁকা হয়ে গেল। কিন্তু আমরা পাশের একটা ছোট্ট ছাউনির নিচে দাড়াইলাম। দু'চার মিনিট পর বৃষ্টি আবার থেমে গেল। তখন আমরা লেকের পাশে গিয়ে বসলাম।
লেক এর আশেপাশে বিক্রি করা কিছু জিনিস আমরা খেয়েছিলাম। তার মধ্যে আম মাখা, আইসক্রিম, ঝাল মুড়ি, আর চা। লেকের পাশে চা বিক্রি করে কেতলি নিয়ে ঘুরে বেড়ানো চা বিক্রেতারা। চা টা খেতে ছিল জঘন্য। তবে আম মাখা আর ঝাল মুড়ি খেতে খুবই মজার লাগছিল।
আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে এখানে ঝাল মুড়ি হয়তো খেতে তেমন একটা ভাল লাগবে না। কিন্তু খাওয়ার পর দেখি খুবই সুস্বাদু করে বানানো। কিছু জিনিস আছে একবার খেলে পরবর্তীতে আর খাওয়ার রুচি আসে না। তবে এই ঝাল মুড়ি টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমি আবার নেক্সটে অন্য কোনদিন আসলে এখান থেকেই ঝাল মুড়ি খাবো চিন্তা করেছি। আর এটার লোকেশন ছিল ধানমণ্ডি লেকের পাশের মসজিদের পূর্ব সাইডে ।
এরপর আমরা অনেক সময় ওখানে বসে ছিলাম। একটু আগেই বৃষ্টি হয়েছে এজন্য লেকে মানুষের আনাগোনা তেমন একটা ছিল না। আমি বসে বসে আশেপাশের কিছু দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করলাম।
অনেক সময় ছিলাম লেকে। রাত প্রায় আটটার দিকে বাসার দিকে এসেছিলাম। তবে ওখানে গিয়ে আমার একটা বিষয় খারাপ লেগেছে সেটা হচ্ছে পাশেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ি এবং মসজিদ রয়েছে। এখানে সুস্থ বিনোদনের জন্য ব্যস্ততা শেষে অনেক ভদ্র পরিবার সময় কাটাতে আসে। কিন্তু এখানে হরহামেশাই ধূমপান এবং অশ্লীলতা চলছেই।
একটা ভদ্র সুশীল ফ্যামিলির সাথে যখন তাদের ছোট্ট বাচ্চারা এখানে আসে, ধূমপানের ধোঁয়া আর অশ্লীলতার বাজে দৃশ্যগুলো তাদের চোখে পরলে কি ইফেক্ট পড়বে তাদের মস্তিষ্কে? এত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গার পরিবেশ এমন!! এটা কর্তৃপক্ষের দেখা উচিৎ। যাইহোক আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার নতুন কোন জায়গার গল্প নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

ধানমন্ডি লেকে আমার প্রতি সপ্তাহে যাওয়া হয়। শুক্রবার গান বাজনা করি আড্ডা দেই বন্ধুরা মিলে। প্রিয় এই জায়গাটিতে আপনিও বেশ ভাল সময় কাটিয়েছেন ভাই। লোকজন কম থাকলে লেকে হেটে বেশ মজা পাওয়া যায়। আর আপনি যে লোকেশনের ঝাল মুড়ির কথা বলেছেন অইখান থেকে আমিও খেয়েছি। অনেক মজাই লাগে মুড়ি মাখানিটি। তবে লেকের মটকা চা ও মালাই চা খেতেও ভাল লাগে। খেয়েছেন নিশ্চয়ই। আপনার লেখা নিয়মিত দেখার চেষ্টা করি। ভালবাসা রইল আপনার জন্য ভাই। ভাল থাকবেন।
কথাটা আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই। আমিও মাঝে মাঝেই গেছি আগে যখন ধানমন্ডি ছিলাম। পরিবার নিয়ে বিশেষ করে রাতের বেলা যাওয়া একদম ঠিক না এই নোংরামি রাতের বেলা বেশি দেখা যায়। তবে আমিও মনে করি কর্তপক্ষের এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করা উচিত। ধন্যবাদ ভাই আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের নদীর পাড়ের কাছে এই শহরের লেকের পাড় হয়তো কিছুই না। তবে সবাই একটুখানি প্রশান্তি খোঁজার জন্য এবং নিরিবিলি সময় কাটাতে সেখানে যায়। অনেকে পরিবার নিয়ে সেখানে ঘুরতে যায়। সেখানে ছোট বড় সবাই থাকে। আর যারা সেখানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যায় তারা যদি কোন অশ্লীলতার সম্মুখীন হয় তাহলে এই বিষয়টি খুবই খারাপ লাগে। আসলে বাচ্চারা যদি অশ্লীলতা দেখে তাদের মস্তিষ্কের উপর বাজে একটি ইফেক্ট পরতে পারে। কারণ তারা বিনোদনের জন্য সেখানে ঘুরতে গিয়েছে ও নিজের বাবা-মায়ের সাথে সুন্দর সময় কাটাতে গিয়েছে। আসলে আমার মনে হয় এসকল জায়গাগুলোতে অনেক বেশী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিত। এই জন্য কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তবে যাই হোক আপনি আপনার কাটানো মুহূর্ত এবং অনুভূতি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন। গ্রামের নদীর পাড়ের যে পরিবেশ তার কাছে এইসব কিছুই না।
বেশ কয়েক বছর আগে ধানমন্ডি লেকে গিয়েছিলাম।আজকে আপনার পোস্ট দেখে মনে পরে গেলো।ভাইয়া তো দেখছি অনেক কিছু খেয়েছেন।আমার ও এই রকম সম্যাসা হয়, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খেলে,তারপর ও খাই।ব্যাথা হলে হবে,তাও ফ্রিজের পানি ছাড়া সম্ভব না।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আসলে যেটা নিয়ে সমস্যা ওটা একটু এড়িয়ে চলাই ভালো।
আসলে ভাইয়া লেকের পাড়ে এই সৌন্দর্য পরিবেশের মধ্যে আপনি রাত আটটা পর্যন্ত ছিলেন। তবে একটা বিষয় আমার খুবই খারাপ লাগলো, এখানে সুন্দর পরিবেশ ভদ্র সমাজে এবং ছোট ছোট বাচ্চারা এখানে আসে। কিন্তু এই সুন্দর পরিবেশের মধ্যে পরিবেশটা নষ্ট করতে ধূমপান এবং অশ্লীলতার দেখা যায়। যা আমাদের পরিবেশকে অনেক খারাপ দিকে নিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে বাচ্চারা এখানে এসে এই দৃশ্যগুলো দেখে তাদের মন মানসিকতা অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাবে। যাইহোক খারাপ দিকগুলো যদি এখান থেকে দূর করা যায়, তাহলে অনেক ভালো হবে।
ধানমন্ডির লেক টি আসলে খুব সুন্দর। খুবই নিরিবিলি পরিবেশে। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আপনার খাবার-দাবার আম মাখা, ঝাল মুড়ি,আইসক্রিমের ,চা ছবি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। মামা দের হাতের এমন ঝাল মুড়ি খেতে আসলে কি ভালো লাগে। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া অনেক সময় অনেক ভদ্র পরিবারের মানুষের সাথে ঘুরতে বেড়াতে এসে। তখন তারা যদি এমন ধূমপানের ধোয়া এবং অশ্লীলতা কোন পরিবেশ দেখে নিশ্চয়ই খুব খারাপ লাগে। এটা কর্তৃপক্ষের নজরে নেওয়া উচিত এবং খুব শীঘ্রই এটার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ধানমন্ডি লেক প্রায় ২০১৫ সাথে গিয়েছিলাম তবে সেই সময়ের সব আজো পরিবর্তন হয়নি। আমার দেশ তো তাই এরকম। এখন শুধু ধানমন্ডি নয় আর সব বিনেদন পার্ক গুলোতে দেখা যায় সব এই কর্মকান্ড। যাই হোক এটি মনে করি কর্তৃপক্ষদের কিছু দোষ আছে যার কারনে এই আবস্থা। সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
আমি এই ভয়ে শত গরমেও ঠান্ডা পানি খাই না। ঠান্ডা পানি খেলেই কাশি শুরু।
ধানমন্ডি লেকে যত মানুষ থাকে গিয়ে আরাম পাওয়া যায় না। বৃষ্টি হওয়াতে আপনাদের লাভ হয়েছে। ফাঁকা পেয়েছেন।
রাস্তার সাইডের এই সব খাবার আমার খুব ভালো লাগে । কিন্তু আমার হাসবেন্ড এগুলো একদম পছন্দ করেনা। এইজন্য খুব একটা খাওয়া হয়না। আপনার আম মাখানো দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই মজাদার ছিল।
শেষের ছবিটা অসাধারণ ছিল।
এইসব পার্ক লেক এ আসলে পরিবার, বাচ্চাদের নিয়ে পরিবেশের কারণে যেতে ইচ্ছা করে না।
একদম ঠিক বলেছেন আপু। আমরা যখন ওখানে গিয়ে পৌঁছলাম তখন অনেক ভিড় ছিল। কিন্তু বৃষ্টির পর প্রায় ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। বৃষ্টি হয়ে আমাদের জন্য ভালোই হইছিল।
ভাইয়া দেখি ঢাকা শহরের এসে ভালই ঘোরাঘুরি করছেন রাত বিরাতে ।আবার ধানমন্ডি লেকে বেশ মজা করছেন। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন নাই মামার থেকে কানা মামা ভাল। ঢাকার বুকে একটুখানি বিনোদনের জায়গা একটুখানি নির্মল বাতাস পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধানমন্ডি লেকে যেতে হবে। কিন্তু আপনার বাড়ির পাশের নদীর যে অনুভূতি সেই অনুভূতি কখনো এখানে পাবেন না আর সেই অনুভূতির সাথে তুলনা করাও যাবেনা। কিন্তু যাদের সেই অনুভূতি উপভোগ করার মতো সময় সুযোগ ও জায়গা নেই তারা তো এইটা কেই তাদের স্বর্গ মনে করবে এটাই স্বাভাবিক। যাইহোক আপনি ঢাকায় এসে খুব দারুণ সময় উপভোগ করছেন এবং আমাদের মাঝে দারুন সব ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন ।সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছে আছে ঢাকাতে প্রচুর ঘুরবো। ৪-৫ বছরের মধ্যে ঢাকার সব জায়গায় ঘোরা শেষ করবো। দেখা যাক কি হয়।
ঢাকার সব জায়গা ঘুরতে ৪/৫ বছরে লাগাবেন🙄🙄🙄।ঢাকা কি এত বড়!!! আর এত জিনিস আছে??
ভাই শহরের মধ্যে এক টুকরো সবুজ হচ্ছে এ ধানমন্ডি লেক। এখানে আমিও বহু বার গিয়েছি। তবে কখনো ঝালমুড়ি বা আম মাখা খাইনি। আপনার মত এই অশ্লীলতা আর যেখানে সেখানে ধূমপান আমারও চোখে পড়েছে। যা সার্বিকভাবে লেকের পরিবেশ নষ্ট করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ ব্যাপারে নজর দেয়ার মত কেউ নেই। আর আপনার তোলা সব শেষের ছবিটা চমৎকার এসেছে। ধন্যবাদ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য
পরে আবার কখনো যদি যান তাহলে ঝাল মুড়ি খাওয়ার ট্রাই করবেন। কারণ উনি ওখানে নিয়মিতই বসে যতদূর জানি।