বন্ধুরা মিলে ধানমন্ডিতে একদিন ||

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago (edited)

হ্যালো, স্টিমিট পরিবারের সদস্যগণ সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি আপনাদের ভালোবাসা এবং দোয়ায়। আজকে আমি আপনাদের সাথে শোয়ার করবো ভার্সিটির বন্ধুদের সাথে কাটানোর কিছু সময়।

IMG_5473.JPG

দিনটি ছিল গত বুধবার অর্থাৎ ২৬/০৬/২০২৪ইং।আমার এক বন্ধু ফাহিম আমাদের ট্রিট দিল তারঁ বাবার রেস্টুরেন্ট এ।সেদিন আমার ক্লাস ছিল ১২:৩১ থেকে ১টা ৫১ পর্যন্ত। ক্লাস শেষে আমার ভার্সিটির প্রোগ্রাম ছিল,এই ঘটনা অন্য একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করব। প্রোগ্রামটার কারণে আমি ভার্সিটিতে পাঁচটা পর্যন্ত থাকি। এরই মাঝে বন্ধু ফাহিম আমাদের ট্রিট টা দেওয়ার জন্য ধানমন্ডি, বারবিকিউ টুনাইট ধানমন্ডি রেস্টুরেন্টে আসতে বলে। সে উদ্দেশ্যে আমি ভার্সিটি থেকে ধানমন্ডি উদ্দেশ্যে রওনা দি। মাঝপথে আমার কিছু বন্ধু, তারা বনানী তে আমার জন্য অপেক্ষা করে। আমি পৌঁছানোর পর আমরা সবাই মিলে বিকাশ বাসে করে ধানমন্ডি ২৭ এর উদ্দেশ্যে রওনা দি।বনানী থেকে ধানমন্ডি ২৭ পর্যন্ত স্টুডেন্ট ভাড়া হিসাবে ১০ টাকা করে রাখা হয়। ধানমন্ডি ২৭ নেমে আমরা রিক্সায় করে ধানমন্ডি লেক অর্থাৎ রবীন্দ্র সরোবর উদ্দেশ্যে রওনা দি। আমরা রিক্সায় ছিলাম চারজন এবং রিক্সা ভাড়া ছিল ষাট টাকা। রবীন্দ্র সরোবারে নেমে আমাদের খুবই গরম লাগছিল।আশেপাশে দোকান না পেয়ে। আমরা চিন্তা করলাম আইসক্রিম খাওয়া যায়। বন্ধু শাহাত আমাদের আইসক্রিম ট্রিটটা দিল। আইসক্রিম নিয়ে আপনাদের সাথে একটা ছবি শেয়ার করলাম।

কিছু সময় পর আরেক বন্ধু শৌণক এসে উপস্থিত হয়। তখন আমরা কিছু ফটোশুট করি। আপনাদের মাঝে আমরা বন্ধুরা মিলে কিছু ছবি তুলেছিলাম তা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

IMG_5470.JPG

রবীন্দ্র সরোবরের কিছু সময় গান এবং আড্ডার পর। আমরা সকলে জিগাতলা দিকে আসলাম। এখানের জুস নাকি অনেক বিখ্যাত তাই আমরা ট্রাই করার জন্য আসলাম। জুস খেয়ে বন্ধুর বাবার রেস্টুরেন্টের দিকে আগালাম। রেস্টুরেন্টে এসে আমরা বন্ধু বাবার সাথে সাক্ষাৎ করলাম এবং উনি আমাদের খুবই আপ্যায়ন করলেন। আমরা সকলে ফ্রেশ হয়ে বসে কিছুক্ষণের মধ্যে খাবার আইটেম নিয়ে আসলেন। আইটেম হিসেবে ছিল মাটন, চিকেন রোস্ট, এবং রুমালি রুটি। কার সাথে একটা আনকমন জিনিস খেলাম তা হলে মাসরুম। যা আমার খুবই ভালো লেগেছিল।আপনাদের সাথে কিছু ছবি শেয়ার করলাম।

খাওয়া শেষে আমরা সবাই সফট ড্রিংক হিসেবে কোক খেলাম।এবং সবাই মিলে চা খেলাম।আপনাদের সাথে একটি ছবি শেয়ার করলাম।
IMG_5453.JPG

খাওয়ার পর কিছুক্ষণ আড্ডা পর আমরা ধানমন্ডি রাতে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য হাঁটা শুরু করলাম। আমরা কিছুক্ষণ রাস্তায় পাশে এবং রাস্তায় কিছু ছবি তুললাম। তখন প্রায় দশটা হয়ে গেছিল। তাই আমরা বাসার দিকে রওনা হবো চিন্তা করলাম। বন্ধু ফাহিম আমাদের থেকে বিদায় নিয়ে রিক্সা করে বাসার দিকে রওনা দিলো। আর তিনজন তাদের বাসা নতুন বাজার হওয়ায় তারা উভার কল দিল।এবং আমি আর আমার আরেক বন্ধু মিলে খামার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম রিক্সা করে। ওইখান থেকে বাসে করে আমরা চলে আসলাম বাসয়।

Posted using SteemPro Mobile

-------------ধন্যবাদ সকলকে

Sort:  
 10 months ago 

বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। বন্ধুদের সাথে ঘুরতে আসলে বেশ ভালো লাগে। আপনি সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 10 months ago 

আসলে বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝে সময় কাটালে মন ভালো থাকে।বিষন্নতা কাটানোর জন্য এটা খুবই জরুরি। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 10 months ago 

এই তো কিছুদিন আগে আমিও ধানমন্ডি ২৭ ও ৩২ ঘুরে আসলাম। বেশ ভালো লাগলো আপনারা অনেকজন একসাথে ধানমন্ডি ২৭ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে। আসলে বন্ধুরা সব পাশে থাকলে খুবই ভালো লাগে। যখন তখন যেকোনো জায়গায় হুট করে চলে যাওয়া যায়।

 10 months ago 

আসলে জায়গা টা খুবি সুন্দর। ধানমন্ডি ২৭ এবং ৩২ জায়গা টা বিকালে দিকে আরো সুন্দর লাগে।শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশে বন্ধু দের সাথে সুন্দর একটা সময় কাটানোর মতো জায়গা।

 10 months ago 

মাঝে মাঝে বন্ধুরা এভাবে ট্রিট দিলে মন্দ লাগেনা। তোমাদের ভার্সিটি বন্ধুদের বন্ধন চির অটুট থাক এটাই প্রত্যাশা করি। অতিরিক্ত গরমের জন্য তোমরা আইসক্রিম খেয়েছ জেনে ভালো লাগলো। কারণ আইসক্রিম আমার খুব প্রিয় খাবার। তোমাদের বন্ধুদের সবার ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। অনেক অনেক শুভকামনা দোয়া ও ভালোবাসা তোমাদের জন্য। 🌹

 10 months ago 

সকালে বৃষ্টি হওয়ার কারনে বিকাল থেকে অনেক গরম লাগছিল তাই আইসক্রিম খাওয়া হলো।আন্টি দোয়া করবেন যেন এই বন্ধুত যেন চির অটুট থাকুক।