বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় আমাদের চাহিদা গুলো

in আমার বাংলা ব্লগ4 years ago

1633378169002.jpeg

বাস্তব জীবনে আমরা বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের কর্ম করে থাকি। কর্মজীবনে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতনের বিনিময়ে আমরা কর্মক্ষেত্রে যোগদান করি। আমরা আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বেতন পেলেই কেবল কাজে যোগদান করি। চাহিদার চেয়ে কম পরিমাণ বেতন দিতে চাইলে সেই কাজ আমরা করতে চাই না।

আমাদের ছোট থেকে বড় হওয়ার বিষয়টি একবার চিন্তা করা যাক। আমার ক্ষেত্রে যখন আমি ছোট ছিলাম তখন আমার পরিবার থেকে প্রতিদিন দুই টাকা করে দিত স্কুলের টিফিন খাওয়ার জন্য। তখন ওই দুই টাকা পেলে যে রকম খুশি হতাম, এখন ১০০ টাকা দিলেও তেমন একটা খুশি হই না। ছোটবেলায় আমার মামা একবার আমাকে ১০ টাকা দিয়েছিল। ওই টাকা পেয়ে এতটাই খুশি হয়েছিলাম যে, টাকাটা কোথায় রাখবো না রাখবো তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছিলাম না। আসলে আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় আমাদের চাহিদাগুলোও। আমাদের চাওয়া পাওয়া গুলোতে অল্পতে তুষ্ট হওয়ার বিষয়টি আর থাকেনা। জীবনের একটা সময় মনে হতো যদি আমি মাসে ৩০০০ টাকা ইনকাম করতে পারতাম তাহলে আমার জীবনের সকল চাওয়া পাওয়া গুলো পূরণ হতো। আর এখন স্বপ্নের পরিধি আরো বেড়ে গেছে। এখন মনে হয় সুন্দর একটা বাড়ি থাকবে এবং সেই সাথে থাকবে একটা সুন্দর গাড়ি। আর এখন বুঝতে পারছি,এগুলো পেয়ে গেলে চাহিদা আরো বেড়ে যাবে।অর্থাৎ আমাদের চাহিদাগুলো নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।

চাহিদা বৃদ্ধির পাওয়ার কারণে আমরা জীবনে সুখী হতে পারছি না। জীবনে সুখী হওয়ার জন্য চাহিদার পরিমাণ সীমাবদ্ধ রাখা খুবই জরুরি। অর্থাৎ জীবনে যা পেয়েছি তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার মনোভাব গড়ে দিতে হবে এবং জীবনে নিচের শ্রেণীর মানুষগুলোকে দেখে চিন্তা করতে হবে যে আমরা কত ভাল অবস্থানে আছি।

Sort:  
 4 years ago 

খুব সুন্দর হয়েছে আপনার পোস্টটি।আমার ছোটোবেলার কথা মনে পড়ে গেল। তখন আমার বাবা-মা ৫ টাকা দিত।টিফিন এর সময় ২ টাকার মাখা খেতাম।ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 years ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে সব কিছুরি পরিবর্তন ঘটে। একেক একেক বয়সে একেক ধরনের চাহিদা আসে। পোষ্ট টা ভালো ছিলো।শুভেচ্ছা রইল

 4 years ago 

আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।