দারাজ থেকে দোলনা কেনার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
দারাজ থেকে দোলনা কেনার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা অনুভূতি মূলক পোস্ট নিয়ে। সত্যি বলতে বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়া জন্য আমরা অনেক কিছু ঘরে সব পেতে পারি।যদিও সব কিছু ভালো হবে কিনা তা আগে ঠিক করে রাখা মুশকিল। তবে বর্তমান দারাজের জিনিস গুলো বেশ ভালো হয়।আসলে আমি তেমন না কিনলে ও অনেকে কিনে ব্যবহার করছে সবাই ভালো বলেছে।যদিও আমি অনলাইন থেকে অনেক কম কিনি।তবে মেয়ে অনেক দিন ধরে বলছে দোলনা কেনার জন্য। কিছু দিন আগে মার্কেটে ও যে দোলনা কিনবে সেটা পাওয়া যায়নি।আর আমার মেয়ে আগেই দারাজ থেকে অর্ডার করবে তারপর যেহেতু মার্কেটে পাওয়া যায়নি তাই আমি বললাম অর্ডার করার জন্য। আর বলা দেরি তো অর্ডার করা দেরি হয়নি।যাইহোক তারা বলেছে এক সপ্তাহের ভিতরে দোলনা আসবে।কিন্তু প্রায় তিন দিনের মধ্যে চলে এসেছে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
যেহেতু এক সপ্তাহ সময় ছিল। তবে আমার ফোন নম্বর দিয়েছে কিন্তু অর্ডার করেছে তার বাবার ফোন দিয়ে। যাইহোক দুই দিন পরেই দারাজ থেকে আমার ফোনে একটা ফোন আসলো।তারপর আমি ফোন রিসিভ করতে বলতেছে মিমি নামে একটা পার্সেল আছে আপনাদের ঠিকানা বলুন। আসলে আমাদের স্কুল ঠিকানা দেওয়া। তারপর আমি জিজ্ঞাসা করলাম আপনাদের আসতে কত সময় লাগবে। তারা বললো প্রায় আধাঘন্টার মতো। আমি তখন ছোট মেয়েকে আনতে আর বড় মেয়ে দিতে গিয়েছিলাম স্কুলে। যেহেতু আমি স্কুলে কোন টাকা নিয়ে যায়নি। তাই স্কুলের এক টিচারের কাছ থেকে পাঁচশত টাকা নিলাম। যদিও দোলনার নাম ছিল ৩০৫ টাকা। কিন্তু ম্যাডামের কাছে ভাংটি না থাকার পাঁচশত টাকা নিলাম।তারপর বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে রইলাম কিন্তু দারাজের লোক এলো না।তারপর বাড়িতে চলে এসেছি। যেই এসেছি সেই ফোন দিয়েছে দারাজ থেকে। এদিকে দারাজের গাড়ি দেখে আমার মেয়ে তারাতাড়ি দৌড়ে আমাকে ডাকার জন্য বাড়িতে আসতেছে।তারপর আমি গিয়ে দেখি দারাজের গাড়ি আমাদের বাড়ির দিকে আসতেছে।তারপর আমি পার্সেল বুঝে দিয়েছে আর আমি পেমেন্ট করে দিয়েছি।তবে আমার মেয়ে পার্সেল খুলার জন্য অস্হির আমি ওকে স্কুলে দিয়ে আপার্সেল নিয়ে চলে আসলাম।
আসলে বাচ্চা বলে কথা তারা লক্ষ টাকার জিনিস পেয়ে যতটা খুশি না হয়েছে তারা চেয়ে বেশি খুশি হয়েছে তিনশত টাকার দোলনা পেয়ে। যাইহোক দারাজের গাড়ি চলে গেলেই মেয়ে আমার প্যাকেট খুলে আগে তার শখের দোলনার কালার দেখে নিয়েছে।যাইহোক বাড়িতে এনে সম্পূর্ণ খুলে সবাই দেখলাম। তারপর তার শখের দোলনা টানিয়ে দিয়েছি।সত্যি দোলনা মেয়ে আমার মেয়ে অনেক খুশি হয়েছে। আসলে মাঝে মাঝে বাচ্চাদের পছন্দের জিনিস দিলে তাদের মন ভালো হয়ে যায়। যাইহোক তারা দুই বোন দোলনা পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1882784759811809325?t=NwMHXA6NNnkEJE6xyq3A2A&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাচ্চাদের শখের জিনিস পাওয়া হলে খুশী তো হবেই আপু।আপনার মেয়ে দারাজে অর্ডার করে দোলনা আনলো।দোলনা আমার কাছে ও খুব ভালো লাগে। যাক মেয়ে খুশী শুনে ভালো লাগলো। দাম যেমন ই হোক না কেন শখের জিনিস বলে কথা।
ঠিক বলেছেন আপু শখের জিনিস বলে কথা, ধন্যবাদ আপনাকে।
দারাজ থেকে ছোট বাচ্চার জন্য দোলনা কেনা সত্যিই একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা।অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার পর পর দ্রুত ডেলিভারি এবং পণ্যটি হাতে পাওয়ার অনুভূতি অন্যান্য হয় ।আপনি ঠিক বলেছেন বাচ্চাদের লক্ষ টাকার জিনিস পেয়ে যতটা খুশি হয় না ।তার থেকে ছোট খাঁটো জিনিস পেলে মহা খুশি হয়।বাচ্চার জন্য নিরাপদ ও আরামদায়ক দোলনা পেলে তারা খুবই খুশি। ধন্যবাদ আপনাকে দারাজ থেকে দোলনা কেনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দোলনা পেয়ে বাচ্চারা অনেক খুশি হয়েছে, ধন্যবাদ আপু।
দারাজ থেকে দোলনা কেনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।আপনি ঠিক বলেছেন বাচ্চাদের লক্ষ টাকার জিনিস পেয়ে যতটা খুশি হয় না । তাঁর থেকে বেশি খুশি হয় যখন সে তার পছন্দের জিনিস হাতে পায়। আসলে শখের জিনিস হাতে পেলে সবাই খুশি হবে এটাই স্বাভাবিক, কারণ শখের জিনিস বলে কথা। আপনার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
দোলনার দামটা তো বেশ কমই আপু। আমাদের এদিকে দোলনার অনেক দাম হয় যদিও আমি সেভাবে কখনো কিনে উঠিনি কারণ আমার তো ফ্ল্যাট বাড়ি তাই দোলনা রাখবার জায়গা নেই। দোলনার রংটা খুব সুন্দর হয়েছে। অনলাইন কেনাকাটায় একটা রিস্ক তো থাকেই জিনিসটা ভালো আসবে কি আসবে না কিন্তু আপনার অর্ডার করা দোলনাটি যে ভালোভাবে এসেছে এবং চাহিদা মতন হয়েছে সেটাই আনন্দের। সর্বপরি আপনার মেয়ে আনন্দিত হয়েছে এটা জেনে আরও বেশি ভালো লাগছে। বাচ্চাদের তো ছোট ছোট জিনিসই আনন্দ বেশি।
আপু দোলনাটি বেশ ভালো হয়েছে বাচ্চারা চড়ে অনেক মজা পেয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
বাচ্চা মানুষদের খুশি করতে বেশি কিছু লাগে না আপু অল্প কিছুতেই তারা অনেক সন্তুষ্ট হয় সেটা যদি তাদের ভালো লাগার জিনিস হয়। যার বাস্তবিক প্রমান পেয়েছেন আপনার মেয়ের মাধ্যমেই। আসলেই আপু অনলাইনের যুগ হওয়াতে এখন সবকিছুই যেন আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। দারাজের পণ্যগুলো এখন মোটামুটি ভালোই দিয়ে থাকে তারা। যাই হোক দেখা যাক এখন আপনার দোলনাটি কেমন দিয়েছে তারা তাহলে এই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। দারাজ থেকে দোলনা কেনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনলাইন থেকে কোন কিছু অর্ডার করা আসলে একটু অন্যরকম অনুভূতি। যদিও সবকিছু ভালো লাগে। কিন্তু অর্ডার করার পর ভাবি জিনিসটা কি ভালো হবে?তারপরও ভালো মন্দ না ভেবে পছন্দের জিনিসটা অর্ডার না দিয়ে থাকতে পারিনা। আসলে আপু বাচ্চারা বেশি দামের চেয়ে কম দামি জিনিস পেলে খুশি হয়। আপনার মেয়ে দোলনা পেয়ে খুশি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
দাম যায় হোক শখের জিনিস বলে কথা, ধন্যবাদ আপু।
দোলনাটা পুরোপুরি ভাবে দেখতে পারলে ভালো লাগতো আপু। যাইহোক বাচ্চারা এরকমই ওদের কোনো পছন্দের জিনিস দেখলে ওরা খুবই খুশি হয়। ধন্যবাদ আপু দারাজ থেকে দোলনা কেনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য