ক্রিয়েটিভ রাইটিং//পরিবারের অবহেলিত বড় ছেলে আকাশের গল্প//পর্ব -৩
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
আমার এই গল্পের গত পর্বে আকাশের সালিশ হওয়া বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আকাশ পাশের বাড়িতে ক্ষুধার তাড়নায় ঢুকেছিলো। কিন্তু তাকে এতটা পরিমাণ মেরেছিলো যে সে কথা বলার অবস্থাতেই ছিলো না। তারপরেও বিচারক মন্ডলীরা, কেনো সে পাশের বাড়িতে রাতের বেলা ঢুকেছিলো এটা জিজ্ঞাসা করার পর আকাশ বলে ক্ষুধা লেগেছিলো প্রচুর আর তাদের বাসায় খাবার ছিলোনা ক্ষুধা মেটানোর জন্যই সে বাড়িতে ঢুকেছিলো রাতের খাবার খেতে। এই কথা বিচারক মন্ডলীরা শুনে হতভম্ব হয়ে যায়।
তারপরে বিচারে বসা প্রত্যেক বিচারক মন্ডলী সেই ধনী পরিবারের লোকেদের হেয় প্রতিপন্ন করে। তারা বলে যে একটি বাচ্চা কেনো আপনাদের বাসায় ঢুকেছে তা না জেনে শুনে এভাবে তাকে মেরেছেন। অবশেষে সত্যিটা যাচাই করে আকাশকে সেখান থেকে রেহাই দেওয়া হয়। এদিকে আকাশের মা-বাবা সন্তানের এমন অবস্থা দেখে রীতিমতো হাউমাউ করে সবার সামনেই কেঁদে দেয়। তারপরে তারা আকাশকে নিয়ে তাদের বাসায় ফিরে যায়। সত্যি বলতে ক্ষুধার তাড়না এতটাই কঠিন হয়ে থাকে, বলে প্রকাশ করার মতো নয়। যে বিষয়টাকে উচ্চশ্রেণীর লোকেরা কখনোই উপলব্ধি করতে পারবে না।
তারপরে আকাশের মা-বাবা আকাশকে বাসায় নিয়ে গিয়ে ভালোমতো গা গোসল করিয়ে দিয়ে খেতে দেয়। এই ঘটনার পর থেকেই আকাশ কেমন যেনো মন মরা হয়ে থাকে। আর লেখাপড়ার মধ্যে এতটা পরিমাণ মনোযোগী হয় যে, বাড়তি কোন কিছুই তার কোনো খেয়াল ছিলো না। তারপরেও সে তার বাবার সাথে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করতো। তারপরেও পরিবারে অভাব লেগেই ছিলো। তিন বেলা ভাত তাদের কপালে জুটতো না। কিন্তু পরিশ্রম ঠিকই করা লাগতো। এরই মাঝে আকাশ সিদ্ধান্ত নেয় টিউশনি করা শুরু করবে।
তার এলাকার মধ্যে এমন কোনো শিক্ষক ছিলো না যারা ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে মেয়েদের পড়াবে। অভাবে টলোমলো সংসারে থেকেই আকাশ চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হয়। চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষায় আকাশ প্রথম স্থান অধিকার করেছে। যার ফলে এলাকার মানুষরা ছেলেমেয়েদের আকাশের কাছে পড়াতে আগ্রহী হয়। তখন থেকেই আকাশ নিজের গ্রামে টিউশনি করানো শুরু করে। সেই সাথে তার বাবাকে পরিবারের কাজে এবং কৃষি কাজে নানাভাবে সহযোগিতা করে। কঠিন গুরু দায়িত্ব আকাশের কাঁদে। হঠাৎ একদিন আকাশের পাশের বাসার সেই বড়লোক পরিবারের এক ব্যক্তি এবং ছোট্ট একটি বাচ্চা সহ আকাশদের বাসায় উপস্থিত হয়।তারপর...................(বাকিটা পরের পর্বে শেয়ার করবো)
আমার লিখে যাওয়া প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো কমেন্ট বক্সে দেখতে পাবো ।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
https://x.com/mdetshahidislam/status/1912854555081232561?t=R1vF2bFZBy7oh3peSJz1_g&s=19
https://x.com/mdetshahidislam/status/1912859858782609681?t=3IgxESynvK2UrMPpkgT8zQ&s=19
https://x.com/mdetshahidislam/status/1912861010870034682?t=7fU35GZ3kOYPQugoEcc4NQ&s=19
https://x.com/mdetshahidislam/status/1912861799038538041?t=J4n-5yHXsT_B2u7B5bUNWQ&s=19
https://x.com/mdetshahidislam/status/1912862613719093551?t=9u_rM2_OFqxg9iDbl4pbJQ&s=19
আপনার গল্পের আগের পর্ব গুলো আমার পড়া হয়নি। তবে আজকের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তবে আকাশের জন্য একটু খারাপ লাগলো। আসলে ভাগ্য কার কি আছে বলা মুশকিল। সেই বড় লোক যখন বাসায় এসেছে দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।