ক্রিয়েটিভ রাইটি:-পূর্ণতা আর অপূর্ণতা নিয়ে মানব জীবন গঠিত।
সবাইকে শুভরাত্রি,
প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি পরিবার পরিজনকে নিয়ে সবাই ব্যস্ত আছেন? ব্যস্ত থাকারই কথা যেহেতু সামনে আমাদের বড় দিন ঈদ উৎসব। সবাই সেই ঈদকে কেন্দ্র করে কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন। আশা করি অনেকেই কেনাকাটা শেষ করেছেন। আবার অনেকেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন কয়েকদিন পরে। আশা করি সবাই সুন্দরভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন? তবে আমিও গত দুই দিন ধরে বেশ শপিং করলাম বাচ্চাদের জন্য। শপিং করতে গেলে বেশ ভালোই লাগে সবার শপিং করা দেখলে। সবাই এত সুন্দর ভাবে শপিং করতেছে যদিও জিনিসের দাম একটু বাড়তি। কিন্তু এগুলো কারও মাথায় নেই যে যেভাবে পারেন যার যতটুকু সামর্থ্য আছে ঈদের দিনটি কাটানোর জন্য সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কেনাকাটা নিয়ে।
বন্ধুরা শত ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করি ভালো মন্দ বিষয় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার। আজকে আমি আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আপনারা অবশ্যই শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন আমি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। প্রতিটি মানুষের জীবনে পূর্ণতা ও অপূর্ণতা দুটি দিক রয়েছে। মানুষের জীবনে কিছু দিক পূর্ণতা পায় আবার কিছু দিক অপর্ণ থেকে যাই। এই পূর্ণতা আর অপূর্ণতা নিয়ে মানব জীবন গঠিত। আমরা অনেকেই আছি অপূর্ণতার বিষয় গুলো চিন্তা করতে করতেই নিজেকে অনেক বেশি অসহায় মনে করি নিজেকে। সৃষ্টিকর্তা প্রতিটি মানুষকে এভাবে সৃষ্টি করেছেন প্রত্যেক মানুষের কাছে কিছু পূর্ণতা আর অপূর্ণতার দিক রয়েছে। মানুষ কখনোই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে না। যদিও মানুষ তার আশা এবং স্বপ্ন গুলো পূরণ করার জন্য সব সময় চেষ্টা করেন।
কিন্তু একটা মানুষই যখন তার জীবনের সবটুকু পেয়ে যায় তাহলে তার জীবনের প্রতি মায়া থাকবে না। জীবনে বেঁচে থাকার প্রতি তার কোন ইন্টারেস্ট থাকবে না। জীবন কি জিনিস সেই বুঝবে না। আমি মনে করি পূর্ণতার মাঝেই অপূর্ণতা গুলো আমাদেরকে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দেন। কারণ এই পূর্ণতা গুলো নিয়ে যেমন আমরা সুখী তেমনি অপূর্ণতার দিক গুলো আমরা পূর্ণ করার জন্য সব সময় চেষ্টা করি। তবে এই অপূর্ণতার দিক কখনো পূর্ণ হতে পারে না কখনো কখনো। কারণ একটা মানুষ জীবনের সবটুকুই পেতে পারে না। একজন রাজা বাদশা কিংবা কোন ধনী ব্যক্তিত্বের জীবন বৃত্তান্ত আলোচনা করলেই জানতে পারবেন যে তাদের জীবনে অনেক কিছু অপূর্ণতা থেকে গেছে।
তবে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা পূর্ণতার দিক বিচার করেন না। কারণ তারা এত বেশি অকৃতজ্ঞ তারা সৃষ্টিকর্তার অনুগত্য কে অস্বীকার করেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, সৃষ্টিকর্তা প্রতিটি মানুষকে তার সেরাটুকু দিয়েই সৃষ্টি করেন। সেই মানুষটি কালো হোক বা ফর্সা হোক। হতে পারে অনেক লম্বা বা একটু খাটো যে যেভাবে হোক। আমাদের এই সৃষ্টিকে আমাদের এই চেহারাটাকে দেখে আমাদের এই শারীরিক গঠনগুলোকে দেখে আমাদেরকে শুকরিয়া আদায় করতে হয়। সৃষ্টিকর্তার এই নেয়ামত গুলোকে স্বীকার করে নিতে হয়। অনেক মানুষ আছেন যাদের হাত পা নেই। অনেক মানুষ আছেন পঙ্গু চলাফেরা করতে পারেনা।
কিন্তু তাদের চেয়ে তো আমি কম না বা আপনি কম না। সৃষ্টিকর্তা তো আপনাকে বা আমাকে কত সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। হয়তো গায়ের চামড়ার রঙ একটু কম। অথবা হতে পারে একটু বেশি লম্বা অথবা একটু খাটো। তাহলে আপনি বা আমি ওই পঙ্গু লোকের মত নয়। অবশ্যই আমার এই সৃষ্টিকে আমার এই পাওনাকে স্বীকার করে নিতে হবে। আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছেন তাদেরকে সৃষ্টিকর্তা এত সম্পদ দিয়ে পাঠয়েছেন। কিন্তু তারা তাদের কাছে থাকা অমূল্য সম্পদগুলোকে অপব্যবহার করেন তারা নিয়ামত স্বীকার করেনা।
অপব্যবহার করে তারা আরও চাহিদা বাড়ায়। তারা আরও পেতে চাই তাদের রুচি টা আরও বেশি বৃদ্ধি করে। এর ফলস্বরূপ আসলেই ভাল হয় না। কারণ সৃষ্টিকর্তা পরীক্ষা করে থাকেন সবাইকে। অনেকে আছেন অনেক কিছু পেয়ে থাকেন। আবার অনেকে আছেন শূন্যতে সন্তুষ্ট। তাহলে বুঝতে হবে আপনার এত টাকা থাকার শর্তেও আপনার এত পূর্ণতা থাকার সত্ত্বেও আপনি কেন অস্বীকার করবেন। সমাজে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা রিক্সা চালায় সারাদিন। তারা যা পায় তা নিয়ে খেয়ে সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করেন দিন শেষে।
আবার অনেক মানুষ আছেন যারা অনেক আহ্লাদী করে জীবন যাপন করেন। নিজের ইচ্ছে মত নিজের পছন্দ মত খাবার দাবার গুলো খেয়ে থাকেন। তাদের বড় বড় দালান এবং অনেক সম্পত্তি অনেক কিছু তাদের। কিন্তু তারপরও তারা অস্বীকার করেন তাদের কিছু নেই। সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে দেয় না কিংবা তাদের সহায় নয় এমন কথা বলে থাকেন। আসলে এমন অনেক মানুষ আছেন আমাদের চারপাশে যারা পূর্ণতার স্বীকার করে না।
কখনও একজন মানুষ তার জীবনের সবটুকু পাইনা। মানুষ তার জীবনের পছন্দ মত সবকিছু পূরণ করতে পারি না। কিছু পায় কিছু পায় না এই নিয়ে আমাদেরকে খুশি থাকতে হবে। আমাদেরকে পূর্ণতা অপূর্ণতার মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলতে হবে। তাহলে আমরা সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভ করতে পারব। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকেই সহায় করবেন। আমাদের সবার উচিত সৃষ্টিকর্তার নেয়ামত টুকুর শুকরিয়া আদায় করা।
আশা করি আপনারা সকলেই বুঝতে পারছেন আমার লেখা গুলো পড়ে। সময় দিয়ে আমার আজকের লেখা গুলো পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
লেখার উৎস | জীবনের বাস্তবতার অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | কেনভা দিয়ে তৈরি |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটি |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
বাহ বেশ চমৎকার একটি জেনারেল রাইটিং লিখেছেন তা বলতেই হবে ৷ একদম ইউনিক আর বাস্তবিক কথা গুলো তুলে ধরেছেন ৷ আসলে আমাদের জীবনে চলার পথে আশা প্রতার্শা স্বপ্ন চাওয়া পাওয়া ৷ এসব আছে বলেই হয়তো এ জীবনকে উপভোগ করছি ৷ তবে কখনো কখনো সব ইচ্ছা পূর্নতা পায় এটাই সত্য আর বাস্তবিক ৷ ওই যে বলে না সব স্বপ্ন পূর্ন হলে জীবনে বাস্তব তা কে উপলব্ধি করা যায় ৷ তবে ঠিক বলেছেন যে জীবনের সবকিছু কে মেনে নিয়েই চলতে হবে তবেই সৃষ্টিকর্তার সানিধ্য পাওয়া সম্ভব ৷
আপনি ঠিক বলছেন স্বপ্ন যখন পূর্ণতা পায় তখন আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়। কিন্তু সব ইচ্ছে তো আর পূর্ণতা পাই না জীবনে।
বেশ সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন আপু। আপনার পোস্টি পড়ে আমার একটি কথা মনে পরে গেল যে, একটি লোক সে গরীব তার পরার মত জুতা নেই সে আফসোস করতে করতে মসজিদে গেলো নামায পড়তে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখতে পেলো যে, একটা লোকের দুটো পা নেই। আর তখন সেই লোকটি ভাবলো তার তো দুটো পা আছে কিন্তু মসজিদে ঐ লোকটির তো জুতা পড়ার মত পাই নেই। তখন সেই লোকটি সাথে সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে শুকরিয়া জানালো।তাই বলবো অপূর্ণতার চেয়ে জীবনের সকল কিছুকে শুকরিয়া জানিয়ে আমাদের আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর বিষয় ও লেখাগুলো সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনার উদাহরণটা পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। প্রতিটি মানুষের উচিত কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1771987006492659921?t=9uHFFkobRb6fB_48yx9Vwg&s=19
খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আসলে আমাদের জীবনের সবকিছু নিয়েই আমাদের জীবন গঠিত৷ এই জীবনে যা কিছু রয়েছে তা আমাদের মেনে নিতে হবে৷ আমাদের জীবনের সবকিছু থেকেই আমাদেরকে শিক্ষা গ্রহণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে৷ আমাদের জীবনের পূর্ণতা রয়েছে এবং অপূর্ণতাও রয়েছে৷ যদি আমরা পূর্ণতাকে পেয়ে অপূর্ণতা ভুলে যাই অথবা অপূর্ণতা পেয়ে যদি আমরা হতাশ হয়ে যাই তাহলে তা আমাদের জীবনের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়৷ যদি অপূর্ণতা না থাকতো তাহলে আমরা কিছুতেই বুঝতে পারতাম না যে পূর্ণতা কি৷ তেমনি অসুস্থতা না থাকলেও আমরা যেরকম সুস্থতা বুঝতে পারি না৷ এটি এরকম একটি ঘটনা৷ ধন্যবাদ এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
প্রতিটি মানুষের উচিত সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য স্বীকার করা।
তা নাহলে সে দুনিয়াতে যেরকম পাপী হিসেবে থাকবে তেমনি আখিরাতেও তার জন্য কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করছে৷
আমি এখনো ঈদের কেনাকাটা শুরু করিনি আপু। ভাবছি কী কেনা যায় নিজের জন্য কী কিনব হা হা। আপনার পোস্ট টা পড়ে অনুপম রায়ের গানের একটা লাইন আমার মনে পড়ে গেল " যেটা ছিল না ছিল না সেটা না পাওয়ায় থাকে, সব পেলে নষ্ট জীবন "। আসলেই জীবনে অপূর্ণতা থাকা ভালো এতে করে বাঁচার প্রতি একটা আকর্ষণ থাকি। আর সবকিছু নিমিষেই পেয়ে গেলে তো জীবনের প্রতি একটা ঘৃণা চলে আসে। সৃষ্টিকর্তা না চাইতেই আমাদের সব দিয়েছেন। কিন্তু আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গঠন মূলক মতামত প্রদান করার জন্য।
বেশ ভালো বলেছেন আপু আমাদের জীবনে পূর্ণতা অপূর্ণতা থাকবেই। যদি আমরা একেবারেই সব পেয়ে যায় তাহলে কোন কিছুর মূল্য আমাদের কাছে থাকে না। আবার অনেকেই আছেন তাদের সবকিছু থাকলেও সেটা স্বিকার করতে চায়না।বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট টি পড়ে। শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্ট পড়লেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।