ক্রিয়েটিভ রাইটিং: পুস ও জাদুর জঙ্গল 😺

in আমার বাংলা ব্লগ13 days ago
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু /আদাব

🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001


আজ ২৯ মার্চ রোজ শনিবার ২০২৫ ইং:।

বাংলায় ১৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী..............

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।বরাবরের মতো আজ আমি একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব। আশা করছি আমার লেখা পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

20250328_165823.jpg

ঝলমলে রোদ পড়ছে সবুজ পাতার ওপর। বাতাসে মিষ্টি ফুলের ঘ্রাণ। ছোট্ট এক পাহাড়ের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে পুস। এক বুদ্ধিমান আর দুঃসাহসী বিড়াল যার চোখে ঝলমলে সোনালি আলো।আজ সে বেরিয়েছে এক বিশেষ অভিযানে। লোককথায় শোনা এক জাদুর জঙ্গলের সন্ধানে, যেখানে নাকি লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় দরজা যেটা খুললেই দেখা যাবে হারানো এক জগত, যেখানে সময় থমকে আছে।পুসের গলায় ছোট্ট এক ঘণ্টা বাঁধা যা নাকি তাকে বিপদ থেকে সতর্ক করবে। তার সাথে আছে এক ছোট্ট পরী, যার ডানায় ঝিলমিল আলো জ্বলে।"আমরা কি সত্যি সেই দরজাটা খুঁজে পাবো?" পরী ফিসফিস করে বলল।পুস হেসে বলল"রহস্যের চাবি লুকিয়ে থাকে কৌতূহলে। চল দেখি কি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।"গহীন বনের মাঝে এক রহস্যময় ছায়া নড়েচড়ে উঠল। সত্যিই কি পুস সেই জাদুর দরজার সন্ধান পাবে? নাকি সে নিজেই এক নতুন রহস্যের অংশ হয়ে যাবে?

পুস আর পরী ধীরে ধীরে গভীর বনে প্রবেশ করল। গাছগুলো এত লম্বা যে সূর্যের আলো মাটিতে পৌঁছাতেই পারে না। কোথাও কোথাও সাদা কুয়াশার আস্তরণ লেগে আছে যেন বনের নিঃশ্বাস। হঠাৎ একটা ফ্যাকাশে নীল আলো তাদের পথ আলোকিত করল।ওটা কী? পরী অবাক হয়ে বলল।পুস সতর্ক চোখে তাকিয়ে বলল,"আমার মনে হয় কেউ আমাদের দেখছে।"আকস্মিকভাবে ঝোপের আড়াল থেকে বেরিয়ে এল এক বিশালাকার বনবিড়াল, যার গায়ে রুপালি দাগ। তার চোখ দুটো গভীর আর বুদ্ধিদীপ্ত।তোমরা কারা? এই জঙ্গলে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ গম্ভীর কণ্ঠে বলল সে।পুস একদম ভয় পেল না বরং বিনয়ের সাথে বলল, "আমি পুস আর এটা আমার সঙ্গী পরী। আমরা সেই জাদুর দরজার সন্ধান করছি।বনবিড়াল কিছুক্ষণ ভেবে বলল, "তোমরা কি জানো, এই দরজার সন্ধান করতে গিয়ে কতজন হারিয়ে গেছে? যদি তোমরা সত্যিই খুঁজতে চাও, তবে তোমাদের তিনটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।"পুস আর পরী একে অপরের দিকে তাকাল। তাদের মধ্যে কৌতূহল বাড়তে লাগল।"কি ধরনের পরীক্ষা?" পরী জানতে চাইল।

প্রথম পরীক্ষা হলো সাহসের। তোমাদের কালো হ্রদের ওপারে যেতে হবে যেখানে জলের নিচে ঘুমিয়ে আছে ছায়া দৈত্য। দ্বিতীয় পরীক্ষা হলো ধৈর্যের যেখানে তোমাদের ধাঁধার সমাধান করতে হবে। আর তৃতীয় পরীক্ষা হলো হৃদয়ের, যেখানে তোমাদের নিজেদের ভেতরের সবচেয়ে বড় দুর্বলতার মুখোমুখি হতে হবে।"পুসের চোখে আত্মবিশ্বাস ঝলসে উঠল। "আমরা প্রস্তুত আমাদের নিয়ে চলো!"প্রথম পরীক্ষা হলো কালো হ্রদ।বনবিড়াল তাদের একটি অন্ধকার জায়গায় নিয়ে গেল, যেখানে বিশাল এক হ্রদ। হ্রদের পানি এত কালো যে মনে হচ্ছিল, যেন সেটা এক অন্তহীন গভীরতা।পরী কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, "এটা কী? এটা তো একটা অভিশপ্ত হ্রদের মতো দেখাচ্ছে।বনবিড়াল বলল এখানে এক ছায়া দৈত্য বাস করে। যদি তোমরা সত্যিকারের সাহসী হও, তবে এই হ্রদ পেরিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু যদি ভয় পাও তবে সে তোমাদের গিলে ফেলবে।পুস বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে সামনে এগিয়ে গেল। হ্রদের জলে তার প্রতিবিম্ব দেখাল, কিন্তু সেটা ছিল না তার আসল প্রতিচ্ছবি বরং সেখানে এক বিশাল ছায়ার অবয়ব ফুটে উঠল। সেই ছায়া আস্তে আস্তে আকার পেতে লাগল, আর এক বিশাল দৈত্যের রূপ নিল।পরী আতঙ্কে চিৎকার করল, "ওটা আমাদের খেয়ে ফেলবে!"কিন্তু পুস শান্ত ছিল। সে জানত সব ভয়েরই একটা ভিত্তি থাকে, আর যদি মন শান্ত রাখা যায়, তবে কোনো ছায়া কখনো বাস্তবকে পরাজিত করতে পারে না। সে দৃঢ় কণ্ঠে বলল, "তুমি আমার ভয়ের প্রতিচ্ছবি মাত্র। আমি তোমাকে জয় করব"তার কথা শেষ হতেই দৈত্যের অবয়ব ফিকে হয়ে গেল আর হ্রদের ওপারে একটা সোনালি আলো জ্বলে উঠল।বনবিড়াল সম্মতিসূচক মাথা নাড়ল। "তুমি প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছ।

পোস্টের বিষয়ক্রিয়েটিভ রাইটিং
পোস্টকারীতানহা তানজিল তরসা
ডিভাইসরেডমি নোট ১১
লোকেশনপাবনা
আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর লেখার মধ্যে ভূল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেবেন।


১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি তানহা তানজিল তরসা। আমার স্টিম আইডির নাম @tanha001। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমি বিবাহিতা। আমার একটা ছেলে সন্তান আছে। আমি ফটোগ্রাফি, গান গাইতে,রান্না করতে ও বাইকে ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। আমার জন্ম স্থান কালিগঞ্জ থানা ঝিনাইদহ জেলায়। আমি পেশায় এক গৃহিনী। পাশাপাশি আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমি আমার হাসবেন্ড এর চাকরির সূত্রে পাবনা চাটমোহর এ বসবাস করছি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। স্পেশালি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন ও মডারেটরদের যারা আমাকে এত সুন্দর একটা কমিউনিটিতে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমাকে প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করছেন।


১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


Logo.png

Banner.png
20250324_092618.jpg