ক্রিয়েটিভ রাইটিং: যখন পকেটে টাকা থাকে না, সম্পর্কগুলোও নিঃস্ব হয়ে যায়।
🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
হ্যালো বন্ধুরা........…
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আশাকরি আপনারা আপনাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আমার পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক ভালো আছি। বেশ কিছুদিন ধরে একটানা বৃষ্টি হওয়ার পরে অবশেষে রোদের দেখা পেলাম।প্রতিদিনের মতো আজও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আজকের পোষ্টের মূল টপিক যখন পকেটে টাকা থাকে না, সম্পর্কগুলোও নিঃস্ব হয়ে যায়আমাদের সমাজে আজকাল এই বিষয়টা অহরহ দেখা যায়। আপনার পকেটে টাকা না থাকলে কেউ আপনার পাশে থাকবে না।এমন কি আমি অনেক সম্পর্ক দেখেছি আপন বাবা-মা পর্যন্ত পাশে থাকে না তো আত্মীয়-স্বজন,বন্ধুবান্ধব তো দূরের কথা। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আজ আমি কি বিষয়ে আলোচনা করব।আশা করি আমার আজকের শেয়ার করা নতুন ব্লগটি আপনার কাছে ভালো লাগবে।চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
Source
জীবনের একটি নির্মম সত্য হলো সত্য হলো স্বামীর পকেটের ওজনই যেন অনেক সময় তার মর্যাদার পরিমাপক হয়ে দাঁড়ায়। টাকার অঙ্কে মাপা হয় তার সম্মান, তার ব্যক্তিত্ব, এমনকি তার ভালোবাসাও। যখন একটি সংসারে স্বামীর হাতে টাকা থাকে, তখন সবাই তার চারপাশে ভিড় জমায়, কথা শোনে, মাথায় তুলে রাখে। কিন্তু একবার যদি সেই হাত খালি হয়ে যায় তখনই শুরু হয় অবহেলার আর এক অসহ্য অধ্যায়।শুরুটা হয় খুব চুপিসারে। স্ত্রী প্রথমে বুঝতে চায় না, কিংবা বুঝেও অস্বীকার করে। কিন্তু ধীরে ধীরে সংসারের ছোট ছোট কথায় সেই অভাবের ছায়া পড়তে থাকে।এই মাসে কেন এত কষ্ট হচ্ছে?সন্তানের স্কুল ফি এখনো কেন জমা হয়নি?তোমার বন্ধুদের তো সবাই কিছু না কিছু করে”এইসব কথার আড়ালে যে চাপা দুঃখ জমে, সেটা কেবল সেই মানুষটিই বোঝে যার হাতে আর কিছু নেই।এক সময় সেই স্ত্রীও বদলে যায়। যে একসময় স্বামীর পাশে পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সে-ই হয়তো এখন মনে মনে হিসাব করে এই মানুষটা আদৌ ভবিষ্যৎ দিতে পারবে কি না। সমাজ তখন তার ওপর আঙুল তোলে, বন্ধুরা মুখ ফিরিয়ে নেয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের চোখে তখন আর তিনি “ঘরের মানুষ” নন বরং এক ধরনের বোঝা।সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার হলো, তার আত্মসম্মানটা ক্ষয়ে যেতে থাকে দিনের পর দিন। বাইরে কাজ খুঁজে বেড়ানো সেই মানুষটা যখন রাতে ঘরে ফেরে, তখন তার মুখের চেহারাই বলে দেয় সে আজও হেরে গেছে। অথচ কেউ জানে না, এই হেরে যাওয়ার ভেতর কত যুদ্ধ, কত আত্মত্যাগ, কত লড়াই লুকিয়ে আছে।
অথচ টাকা থাকলে এই মানুষটিই ‘ভালো স্বামী’, ‘দায়িত্ববান পিতা’, ‘আদর্শ জামাই’ হয়ে যেত। কেবল কপালের দোষে, অর্থাভাবে তার পরিচয়টাই বদলে যায়। যেন ভালোবাসা, ত্যাগ, আন্তরিকতা এসব কিছুই অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। সম্পর্কগুলো কেবল তখনই টিকে থাকে, যখন তার পেছনে অর্থের জোর থাকে।এই সমাজ কেন এমন? কেন একজন মানুষকে তার আয় দিয়ে বিচার করা হয়? কেন আমরা ভুলে যাই, স্বামী মানে কেবল উপার্জনের যন্ত্র নয় সে একজন মানুষ, তার অনুভূতি আছে লজ্জা আছে, অক্ষমতার যন্ত্রণা আছে?প্রত্যেক সংসারে এমন সময় আসতেই পারে, যখন আয় কমে যাবে, ভাগ্য মুখ ফিরিয়ে নেবে। তখন স্ত্রী পরিবার, সমাজ যদি একটু সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিত তাহলে হয়তো সেই মানুষগুলো হারিয়ে যেত না। তারা আরও একবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারত।একটি কথা মনে রাখা দরকার টাকা সবকিছু না। একজন স্বামীর চরিত্র তার ভালোবাসা, তার সংগ্রামকে কখনো টাকার অঙ্কে মাপা উচিত নয়। সে যখন পকেট খালি নিয়ে ফিরে আসে, তখন দরকার ভালোবাসার পরিপূর্ণতা, সম্মানের নির্ভরতা কারণ তাতেই আবার একটা ভাঙা মানুষ গড়ে উঠতে পারে।
পোস্টের বিষয় | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | কালীগঞ্জ |
https://x.com/TanhaT8250/status/1944384244832231904?t=tpQQn_lrHRsVspWq_OT7Zw&s=19
https://x.com/TanhaT8250/status/1944384704716939503?t=kMZXqN3mNUiBDoXFymBiTg&s=19
https://x.com/TanhaT8250/status/1944385081466102146?t=5LuEdwBeqiKqnlleXC0hDw&s=19