ক্রিয়েটিভ রাইটিং গল্প || একতরফা ভালোবাসায় আরও বেশি কষ্ট পেতে হয় (অষ্টম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের সপ্তম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে অষ্টম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন,ফকির বাবা শিহাবকে বলেছিল কেনো তার দেওয়া তাবিজ কাজ করেনি। সুমির পরিবার হয়তোবা আগে থেকেই সুমির শরীরে এমন তাবিজ বেঁধে রেখেছে, যাতে করে সুমিকে কেউ তাবিজ করার মাধ্যমে বশে আনতে না পারে। অর্থাৎ কেউ যাতে সুমির ক্ষতি করতে না পারে। এই ধরনের ঘটনা গুলো আগে প্রায়ই শুনতাম। যাইহোক সেই ফকির বাবা শিহাবকে বললো, সুমি যে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে,সেই রাস্তায় একটি তাবিজ গেঁথে রাখতে হবে।
তাহলে ধীরে ধীরে সুমির শরীরে থাকা তাবিজটা অকেজো হয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে সুমিকে বশে আনার জন্য অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করবে। তো শিহাব এবং তার ভাগ্নে ফকির বাবার কথায় রাজি হলো। কিন্তু তারা কোনো টাকা পয়সা আগে দিবে না। যখন সুমি শিহাবের প্রেমে সারা দিবে,তখন ফকির বাবাকে তার ফি অর্থাৎ টাকা দিবে। কারণ সেই ফকির বাবার প্রথম তাবিজ একেবারেই বৃথা গিয়েছে। তো ফকির বাবা তাদের প্রস্তাবে রাজি ছিলো। কারণ সে আত্নবিশ্বাসী ছিলো যে,তার তাবিজে এবার কাজ হবেই হবে। তো সুমি কলেজে পড়লেও,প্রাইভেট পড়তো তাদের পাশের মহল্লায়। অর্থাৎ সেই টিচারের কাছে একাউন্টিং পড়তে যেতো।
তো শিহাব খুব ভালোভাবে খোঁজ খবর নিলো,সুমি কোন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে এবং কয়টা বাজে পড়তে যায়। তারপর শিহাব একদিন ভোরবেলা তার এক বন্ধুকে নিয়ে সেই রাস্তায় চলে গেলো এবং মাটি খুঁড়ে তাবিজ গেঁথে দেয়। এমনভাবে তারা কাজটা করে,যাতে করে কেউ না দেখে। তাই তারা ভোরবেলা সেখানে গিয়েছিল। যাইহোক রাস্তায় তাবিজ গেঁথে দেওয়ার পর শিহাব অপেক্ষা করতে থাকে। সপ্তাহ খানেক পরে শিহাব তার ভাগ্নের সাথে ফকির বাবার কাছে যায় এবং তাকে সবকিছু খুলে বলে। তারপর ফকির বাবা ধ্যানে বসে বুঝার চেষ্টা করলো,সুমির শরীরে থাকা সেই তাবিজ অকেজো হলো নাকি। তো ফকির বাবা বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো।
তারপর বললো তার মনে হচ্ছে, সুমির শরীরে থাকা তাবিজ অকেজো হয়নি এখনো। তাই আরও সপ্তাহ খানেক অপেক্ষা করতে বলে শিহাবকে। শিহাব এবং তার ভাগ্নে বাসায় চলে গেলো। তারপর আবারও শিহাব অপেক্ষা করতে লাগলো। এরমধ্যে শিহাব আর সুমির সাথে দেখা করেনি। কারণ সুমির সামনে গেলেই সুমি খুব রাগ করে। যাইহোক সপ্তাহ খানেক পরে আবারও ফকির বাবার কাছে যায় শিহাব এবং তার ভাগ্নে। তারপর সে বলে এবার এমন একটি পদ্ধতি সে খুঁজে বের করেছে, সেটা অনেকটাই সহজে করা যাবে এবং সেটা অবশ্যই কাজে দিবে। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২৮.৩.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1905223889984139309?t=nz-QNU9pPV12krDzc9mqng&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1905228505115156536?t=XgNN3RAjiJM370S8r0gPHw&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1905311742063706228?t=qo-13SYEBMZ27lf0zJhJJQ&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1905535953885937968?t=1QZArjQk4qwvHzH1F6awZQ&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1905546107238973592?t=qJq3MWBVzzHdetOuyBpveg&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1905582858984718402?t=9NcZyfXE3m7V7Vq2vOklYA&s=19
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গল্পের এই অংশটি সত্যিই দারুণ রহস্যময় এবং কৌতূহলীয়! শিহাবের একতরফা ভালোবাসার জন্য এই ধরনের পথ বেছে নেওয়া নৈতিকভাবে ভুল হলেও, কাহিনীটা বেশ আকর্ষণীয়। পরবর্তী পর্বে কী ঘটে, সেটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম! আপনার লেখাটা বেশ চমৎকার।
আসলে কেউ কাউকে প্রচন্ড ভালোবেসে ফেললে,তখন ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে যায়। তাই বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।