ক্রিয়েটিভ রাইটিং গল্প || একতরফা ভালোবাসায় আরও বেশি কষ্ট পেতে হয় (দশম ও শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের নবম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দশম ও শেষ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন,ফকির বাবার কথা অনুযায়ী শিহাব তার মুখে, ফকির বাবার দেওয়া ক্রিম মেখে, সুমির সামনে গিয়েছিল। তো তারপর শিহাব অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে লাগলো,সুমি কখন তার ভালোবাসায় সারা দিবে। যাইহোক ৩/৪ দিন অপেক্ষা করার পর,শিহাব সুমির কলেজের সামনে গেলো এবং বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সুমিকে দেখতে পায়। তারপর শিহাব সুমির একেবারে সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। কিন্তু সুমি সেজন্য বিরক্ত প্রকাশ করলো।
তারপর শিহাব আর সুমিকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। আসলে শিহাব পরীক্ষা করলো,ফকির বাবার টোটকা কাজে দিয়েছে কিনা। কিন্তু শিহাব তো সুমির মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখতে পায়নি। তো শিহাব মনে মনে ভাবতে লাগলো,ফকির বাবার টোটকা কোনো কাজেই দেয়নি। শিহাব সাথে সাথে সেখান থেকে বাসায় চলে গেলো এবং তারপর তার ভাগ্নের বাসায় গিয়ে, ভাগ্নের সাথে সবকিছু শেয়ার করলো। তারপর তারা দু'জন ফকির বাবার কাছে গিয়ে, ফকির বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, টোটকা কেনো কাজে দেয়নি। তো ফকির বাবা আরও ৩/৪ দিন অর্থাৎ মোট এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে বললো। যাইহোক এভাবেই শিহাব আরও ৩/৪ দিন অপেক্ষা করার পর, আবারও সুমির কলেজের সামনে গিয়ে, সুমির সামনে গেলো এবং সুমির সাথে কথা বলার চেষ্টা করলো। কিন্তু সুমি তো শিহাবকে প্রচুর বকাবকি করলো।
শিহাব তখনই বুঝতে পারলো ফকির বাবা একেবারেই ভন্ড। তারপর সে তার ভাগ্নে কে নিয়ে ফকির বাবার কাছে যায় এবং তাকে জিজ্ঞেস করে, কেনো ভন্ডামি করলো তাদের সাথে। তখন ফকির বাবা বলে,হয়তো সুমির শরীরে থাকা তাবিজের কার্যকরী ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয়নি। তাই তার টোটকা কাজে লাগেনি। তারপর সে বলে আবারও ট্রাই করবে। কিন্তু কোনো টাকা পয়সা দিতে হবে না শিহাবকে। কিন্তু শিহাব তবুও রাজি হয় না। কারণ সে বারবার ধোঁকা খেতে খেতে, ফকির বাবার কথা আর বিশ্বাস করতে পারে না। শিহাবের মনটা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। তারপর সে বাসায় এসে,অনেকটা চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ কারো সাথে সেভাবে কথা বলতো না। এমনকি বাহিরেও কম বের হতো। তো শিহাব বেশ কয়েক মাস পর সিদ্ধান্ত নিলো সিঙ্গাপুর চলে যাবে।
কারণ দেশে থাকতে শিহাবের একেবারেই ভালো লাগছিল না। তাই তার ভাইকে বললো সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে। শিহাবের এক ভাই এবং আত্মীয় স্বজন তখন সিঙ্গাপুর ছিলো। শিহাব ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে, ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়নি। তারপর সে সিঙ্গাপুর চলে যায়। সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরেও সে সুমিকে ভুলতে পারছিল না এবং প্রায় প্রতিনিয়ত কষ্ট পেতো সুমির জন্য। আসলে কাউকে মন থেকে ভালোবাসলে,সহজে ভুলে থাকা যায় না। আর একতরফা ভালোবাসায় আরও বেশি কষ্ট পেতে হয়। যাইহোক বেশ কিছু পর্বের মাধ্যমে সত্যিকারের ঘটনা গল্প আকারে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যারা গল্পটা পড়েছেন,তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে কাউকে একতরফা ভালোবাসবেন না। তাহলে কিন্তু শিহাবের মতো কষ্ট পেতে হবে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ১১.৪.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.