ক্রিয়েটিভ রাইটিং গল্প || একতরফা ভালোবাসায় আরও বেশি কষ্ট পেতে হয় (তৃতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন,শিহাব কলেজে ভর্তি হওয়ার পর,বেশ কিছুদিন পরে আবারও স্কুলের দিকে গিয়েছিল সুমির সাথে কথা বলতে। অর্থাৎ শিহাব রাস্তায় দাঁড়িয়ে সুমির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। তো সুমি যখন শিহাবকে রাস্তায় দেখলো,তখন কিছুটা অবাক হয়ে গেলো। কারণ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিহাবের বিচার করার পর,তারপর সে আর কথা বলার চেষ্টা করেনি সুমির সাথে। যাইহোক শিহাব যখন সুমির সামনে গেলো কথা বলার জন্য, তখন সুমি বিরক্ত বোধ করলো।
সুমি প্রথমে কিছু না বললেও পরবর্তীতে শিহাবকে বললো,আমাকে ডিস্টার্ব করলে তার পরিণতি খুব খারাপ হবে। তো শিহাবও বললো যা হবার হবে, আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। তারপর সুমি আবারও ওয়ার্নিং দিলো শিহাবকে। কিন্তু শিহাব তো নাছোরবান্দা। সে বললো পরের দিন আবার আসবে। তো শিহাব সেদিনের মতো বাসায় চলে গেলো এবং সুমি সারাদিন স্কুলে বসে ভাবতে লাগলো,শিহাবের নামে তার দুই ভাইয়ের কাছে বিচার দিবে কিনা। তারপর সুমি ভাবলো যে আরও কিছুদিন দেখবে। এরপর বেশ কয়েকদিন শিহাব আর সুমির সামনে আসলো না। এতে করে সুমি অবাক হলো এবং ভাবলো যে ছেলেটা বেশ অদ্ভুত। যাইহোক মোটামুটি বেশ কিছুদিন পরে শিহাব আবারও সুমির সাথে কথা বলার চেষ্টা করে এবং তখন একটানা ৩/৪ দিন শিহাব সুমিকে বিরক্ত করে।
তো সুমি বাধ্য হয়ে তার দুই ভাইয়ের কাছে বিচার দেয় শিহাবের নামে। এটা শোনার পর তো সুমির দুই ভাইয়ের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। তারপর তারা সিদ্ধান্ত নিলো শিহাবকে মারধর করবে। কিন্তু সুমির বাবা বললো যে শিহাবের বাসায় বিচার দিতে। যদি তারপরও কোনো ঝামেলা করে,তাহলে অন্য ব্যবস্থা করা যাবে। তো সুমির দুই ভাই শিহাবের বাসায় গিয়ে বিচার দিলো। তারপর শিহাবের বড় ভাইয়েরা প্রচন্ড বকাবকি করলো শিহাবকে। তাছাড়া শিহাবকে বললো এমন করলে তার পড়াশোনা বন্ধ করে দিবে এবং কাজে লাগিয়ে দিবে। আসলে শিহাবের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড খুবই ভালো। তাই বাড়িতে বিচার নিয়ে এসেছে বলে,তাদের মানসম্মানে আঘাত লেগেছে। যাইহোক এতকিছু ঘটে যাওয়ার পর শিহাব খুব কষ্ট পেলো এবং ভাবলো যে সুমির সামনে আর কখনোই যাবে না।
তখন শিহাব পড়াশোনায় মনোযোগ দিলো। শিহাব ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে উঠলো এবং সুমি এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হলো। সুমি যে কলেজে ভর্তি হয়েছিল, সেই কলেজ থেকে শিহাবের কলেজ কাছাকাছি ছিলো। অর্থাৎ রিকশা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট লাগতো। আসলে কাউকে মন থেকে ভালোবাসলে কখনোই ভুলে থাকা যায় না। তো শিহাব মাঝেমধ্যে সুমির কলেজে যেতো সুমিকে দেখার জন্য। মাঝেমধ্যে দেখতে পেতো,আবার মাঝেমধ্যে দেখতে পেতো না। তবে শিহাব কথা বলার চেষ্টা করে না সুমির সাথে। কারণ সে জানে যে, কথা বলতে গেলেই আবার বাসায় বিচার দিবে। তো শিহাব একজন ফকির বাবার সন্ধান পেলো তার এক বন্ধুর মাধ্যমে। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২১.২.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যিকারে ভালো বাসলে কখনো ভুলা যায় না। শিহাব সত্যি মন থেকে সুমিকে ভালোবাসে।যাইহোক শিহাব যেহেতু ফকির বাবার কাছে গিয়েছে দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।বেশ ভালো লাগলো গল্পটা পড়ে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
আসলেই আপু শিহাব সত্যি সত্যি সুমিকে অনেক ভালোবেসেছিল। কিন্তু সুমি সেটা বুঝতে চাইতো না। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।