"কাঁকড়া ভাপা রেসিপি"

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি,আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে কাঁকড়া ভাপা রেসিপি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।


IMG20230918124836.jpg

কাঁকড়া যেকোনোভাবে রেসিপি করে খাওয়া যায়। কাঁকড়া সাধারণত নদীতে পাওয়া যায় আমার এখনো মনে পড়ে ছোটবেলায় নদীতে কাঁকড়া ধরতে যেতাম। কিন্তু এখন এই কাঁকড়া চাষ করা হয় বিদেশে এই কাঁকড়ার অনেক চাহিদা রয়েছে। অনেকেই অনেক ভাবে এই কাঁকড়া রেসিপি করে খেয়ে থাকে। রেস্টুরেন্টে একটি কাঁকড়ার মূল্য ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার মত। গ্রামে যারা বসবাস করে থাকেন তাদের আর রেস্টুরেন্টে কাঁকড়া খেতে যেতে হয় না কারণ গ্রাম অঞ্চলের অসংখ্য কাঁকড়া পাওয়া যায়। যাই হোক অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম কাঁকড়া ভাপা খাব। যেই ভাবা সেই কাজ আমাদের নদীর পাশে একটি ঘের আছে আর সেখানেই কাঁকড়া পাওয়া যায় শুধু একটু কষ্ট করলেই কাঁকড়া পাওয়া যাবে। যাইহোক অনেক কষ্টে দুটো কাঁকড়া ধরতে পারলাম। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে এসে কাঁকড়া ভাপা রেসিপি করার জন্য তৈরি হয়ে গেলাম। কাঁকড়া ভাপা রেসিপি তৈরি হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি আর লোভ সামলাতে পারলাম না কারণ ভাপার কালার আর ঘ্রাণে আমি আর ঠিক থাকতে পারছিলাম না। এইতো সঙ্গে সঙ্গে গরম ভাতের সাথে কাঁকড়া ভাপা রেসিপি দিয়ে দুই তিন প্লেট খেয়ে নিলাম। কাঁকড়া ভাপা আমার কাছে গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে। এত সুন্দর লেগেছিল যে আমি নিজেকে নিজেই ধন্যবাদ দিতে শুরু করি হা হা হা হা। যাই হোক তাহলে চলুন এক নজরে দেখে আসা যাক আজকের কাঁকড়া ভাপা রেসিপি তৈরি করতে কি কি উপকরণ গুলো লেগেছে।

উপকরণ:

১: কাঁকড়া
২: সরিষার তেল
৩: হলুদ
৪: শুকনা মরিচের গুঁড়া
৫: জিরা গুঁড়া
৬: গরম মশলা বাটা
৭: পেঁয়াজ বাটা
৮: রসুন বাটা
৯ লবণ পরিমাণমতো

ধাপ:১

প্রথমে কাঁকড়া গুলো কেটে ছোট ছোট সাইজ করলাম এবং পরবর্তীতে জল দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে একটি পাত্রে রাখলাম। কাঁকড়া ভাপা করার জন্য একটি পাত্রে যাবতীয় মসলা গুলো নিয়ে নিলাম।

IMG20230918113939.jpg

IMG20230918113923.jpg

ধাপ:২

কাঁকড়া ভাপার জন্য এরপর একটি স্টিলের কৌটা নিলাম। এরপর এই কৌটার ভেতর কিস করা কাঁকড়া গুলো দিয়ে দিলাম এবং তার সাথে সব মসলা গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর পরিমাণ মতন সরিষার তেল এবং সামান্য জল দিয়ে একটি চামচের সাহায্যে ভালোভাবে মেরিনেট করে নিলাম। কাঁকড়া গুলো মেরিনেট করা হয়ে গেলে কৌটাটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
IMG20230918114603.jpg

IMG20230918114546.jpg

IMG20230918114613.jpg

ধাপ:৩

এরপর চুলার উপর কড়াই দিয়ে সাথে সামান্য পরিমাণে জল দিলাম। এরপর এই জলের ভিতর কৌটাটি রেখে দিয়ে তার ওপর ভারী একটি পাথর রেখে দিলাম। যাতে করে যখন জল ফুটবে তখন কৌটাটি যাতে হেলে না পড়ে তার জন্য ভারী একটি পাথর দিয়ে চাপা দিলাম।
IMG20230918115902.jpg

IMG20230918115936.jpg

IMG20230918115956.jpg

IMG20230918120706.jpg

ধাপ: ৪

প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মত ফুটন্ত জলের ভেতর রেখে দেওয়ার পর গ্যাসের চুলাটি বন্ধ করে দিলাম। এরপর খুব সাবধানে ফুটন্ত জলের ভেতর থেকে কৌটাটি উঠিয়ে ঠান্ডা হওয়ার জন্য কিছু সময় রেখে দিলাম। একটু ঠান্ডা হলে আমি কৌটাটির ঢাকনা খুললাম এবং দেখলাম ভাপার কালার খুব সুন্দর হয়েছে। এরপর একটি চামচ নিয়ে একটু নেড়েচেড়ে দেওয়ার পর ফাইনালি একটি পাত্রে নামিয়ে রাখলাম এবং আমার তৈরি রেসিপি এর কিছু ফটোগ্রাফি করলাম এবং নিজের সাথে একটি সেলফি তুললাম।
IMG20230918124646.jpg

IMG20230918125100.jpg

IMG20230918124859.jpg

IMG20230918124847.jpg

IMG20230918124826.jpg
ক্যামেরা পরিচিত:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:২৮.০৯.২০২৩
সময়:০৮.২৩মিনিট


আপনারাও যদি বাড়িতে আমার মত কাঁকড়া ভাপা তৈরি করে খান তাহলে আমার মত দুই তিন প্লেট অনায়াসে খেতে পারবেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি কাঁকড়া ভাপার কাছে মাংসের রেসিপি ও ফেল করবে।

আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Sort:  
 2 years ago 

কাঁকড়া ভাপা রেসিপি আমার আগে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনি আজকে ইউনিক পদ্ধতিতে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে দেখে। আপনার এই রেসিপিটা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু মনে হচ্ছে। নিশ্চয়ই এই রেসিপিটা অনেক বেশি মজা করে খেয়েছিলেন। এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

জানিনা কেমন টেস্ট হয়ে থাকে এই রেসিপিগুলো তারপরেও আপনারা মাঝেমধ্যে আমাদের মাঝে যখন শেয়ার করে থাকেন খুবি ইচ্ছে জাগে এই সমস্ত রেসিপিগুলো গ্রহণ করার, কিন্তু আমাদের ধর্মে এটা খাওয়ার অনুমতি আছে কিনা জানা নেই তবে কেউ খায় না। যাইহোক নতুন একটা রেসিপি সম্পর্কে অবগত হলাম কাঁকড়া এভাবে খাওয়া যায়।

 2 years ago 

একদম ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। কখনোই এরকম রেসিপি খাওয়া হয়নি৷ আর আজকে এই প্রথম আপনার কাছ থেকে এরকম একটি রেসিপি দেখতে পেলাম। আর যেভাবে আপনি এটিকে ডেকোরেশন করেছেন এটিকে দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

কাঁকড়া ভাপা রেসিপি দেখেই সুস্বাদু মনে হচ্ছে, তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপির পরিবেশন অসাধারণ হয়েছে। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

আমরা সচরাচর কাঁকড়া তেমন একটা খাই না। তবে কাঁকড়া কিন্তু অনেক রোগের উপকার। আর আপনার কাঁকড়া ভাপা রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

কাঁকড়া ভাপা দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে। কাঁকড়া ভাপার কালারটা অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। দেখতে যতোটা সুন্দর খেতেও ততটা সুস্বাদু হয়েছে অবশ্যই।রান্নার পদ্ধতি ও অনেক গোছানো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

কাকড়া ভাপা রেসিপিটি আগে কখনো খাওয়া হয়নি। এই ধরনের রেসিপি খেতে কেমন লাগে তাও জানিনা তবে আপনার রেসিপি বানানোর পুরো প্রসেসটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে মনে হয় ভালই হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে ভাইয়া কাকড়া কখনো খাইনি । তবে একবার খেয়েছিলাম সামুদ্রিক কাঁকড়া যখন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। সেখানে বন্ধুদের সাথে রাতে বীচে এসে একটা কাকড়া খেয়েছিলাম তবে কাকড়াটা খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। তবে আপনার এই পোস্ট দেখে মনে পড়ে গেল ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।