কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কাটানো দ্বিতীয় দিনের মুহূর্ত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
মন যখন খারাপ থাকে তখন আমার ইচ্ছে করে যেন সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে বসে থাকি। এটার মূল উপলব্ধি হয়েছিল তখন যখন আমি প্রথমবার কক্সবাজার গিয়ে একদম মনের সুখে সেখানে বেশ অনেকটা সময় কাটিয়েছি। সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকলে মনের মাঝে থাকা কষ্টগুলো যেন ঢেউয়ের সাথে এদিক থেকে সেদিকে চলে যায়। আসলে সমুদ্র আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এজন্য আবারও সমুদ্রের পাড়ে চলে গেলাম। কক্সবাজারের দ্বিতীয় দিন সকালবেলা আমরা ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে চলে গেলাম সমুদ্রের পাড়ে।
দ্বিতীয় দিন সকালবেলা ছিল আমাদের সকলের সমুদ্রের পাড়ে কাটানো বেস্ট একটা মুহূর্ত। সবাই মিলে সেখানে বেশ আনন্দ করেছি। প্রথমে আমরা সুগন্ধা পয়েন্টে চলে গেলাম। সেখান থেকে হেঁটে হেঁটে একদম লাবনী বিচ পর্যন্ত চলে গেলাম। আর এদিকে নিভৃতও অনেক বেশি খুশি। সে যেহেতু পানিতে নামতে পারবে সেই হিসেবে একটু বেশি আনন্দে ছিল। ছবিতে নিশ্চয়ই দেখতেই পাচ্ছেন সেই একা একা দৌড়াচ্ছে। তার পাশাপাশি তার বাবা চাচ্চু তাকে ধরে রেখেও পারতেছে না। সে একাই পানিতে নেমে যাবে।
https://youtube.com/shorts/t5BDEkNV5Bs?si=8aF77JE7Cyg782ঈট
আমি হাঁটতে হাঁটতে একটা ভিডিও করে নিয়েছিলাম,সমুদ্রের গর্জন যেন কানে বাজে।আমি সেই ভিডিওটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দিয়েছি। আমরা প্রথমে লাবনী বীচে গিয়ে একটা সিট নিয়ে নিলাম। ডাবল বেডের সিট নিয়েছি যাতে করে আমরা দুজন অনায়াসে বসতে পারি। এদিকে নিভৃত আছে সেও জ্বালাতন করবে না বসতে পারলে। যাই হোক সেখানে গিয়ে প্রথমে আমরা সিদ্ধ ডিম নিয়েছিলাম অনেকগুলো। বসে বসে সেখানেই খেয়েছি সবাই মিলে। একটা ডিম ২০টাকা করে নিয়েছে।
ডিম খাওয়ার পর চলে এলো ঝাল মুড়িওয়ালা মামা। ঝালমুড়ি না খেলে কি হয়! দুজন দুইটা প্লেট নিয়ে বসে গেলাম, আমার হাজব্যন্ড আর তার বন্ধু তারাও খেলো। এদিকে নিভৃত ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। যদিও তাকে খুব বেশি একটা দেইনি, শুধুমাত্র শসা দিয়েছিলাম।সেখানে বসে বেশ ভালোই ফটোগ্রাফি করেছি। অনেক মানুষ সমুদ্রে গোসল করতে নেমেছে প্রফুল্ল মনে। কেউ সেখানে মন খারাপে নেই। সবাই আনন্দে আছে। বৃদ্ধ থেকে শিশু সবাই বেশ আনন্দ করছে। আমার কাছে এই মুহূর্তগুলো অনেক বেশি ভালো লাগে।
এদিকে আবার হাসবেন্ড এবং তার ফ্রেন্ড দুজনে মিলে সমুদ্র গোসল করছিল প্রায় এক ঘণ্টা। এরপর তারা যখন আসে তখন কলা নিয়ে আসে। সবাই মিলে কলা খেয়েছি। তারপর আরো বেশ কিছুক্ষণ সময় সেখানে কাটিয়েছি। এরপর চলে এলো বাঁশওয়ালা। আমরা সেদিন কক্সবাজারে টাকা দিয়ে বাঁশ কিনেছি, হাহাহা। বিষয়টা হলো বাশের তৈরি এত সুন্দর কিছু কাপ ছিল সেখানে এগুলো কিনে নিয়েছিলাম। এগুলা এত মসৃণ ভাবে তৈরি করা যে সবগুলো নিতে ইচ্ছে করছিল। যদিও সবগুলো নেয়া হয়নি। ছোট ছয়টা কাপ আর দুটো বড় কাপ নিয়েছি। টোটাল আট টা কাপ নিয়েছিলাম।
যাই হোক আজকে আর পুরো পর্বটা শেয়ার করলাম না। অন্যদিন আবার চলে আসব আর একটা পর্ব শেয়ার করতে।সমুদ্রের মাঝে আমাদের সময় গুলো কি রকম কেটেছে সেটা অবশ্যই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি যতবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিয়েছি ততবারই সমুদ্রের তীরে গিয়ে ফিরে আসার মন মানসিকতা খুব কমই হয়েছে। আসলে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ সেখানকার মনোরম পরিবেশ উপভোগ করার মজাই আলাদা। অনেক ভালো লেগেছে আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার তো ইচ্ছে করে সেখানেই থেকে যাই ভাইয়া। এত সুন্দর একটা পরিবেশ ফেলে আসতে ইচ্ছে করে না।
মন খারাপ থাকলে সমুদ্রের পাড় বসে থাকতে খুব ভালো লাগে। এতে মনের যত ব্যথা যন্ত্রণা রয়েছে সবকিছু যেনো সমুদ্রের ঢেউ এর সাথে বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু সেটা কি সবসময় সম্ভব? আমার ইচ্ছে করে বাসা নিয়ে সেখানে চলে যাই। তাহলে অন্তত মন খারাপের সময়টা খুব ভালো উপভোগ করতে পারবো। যাই হোক আপনার ছেলের আনন্দ দেখেই বুঝতে পারছি সবাই খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। আপনারা যাওয়ার দু'দিন আগে আমি সেখান থেকে ঘুরে এসেছি। এমন সুন্দর জায়গায় যেনো বারবার যেতে ইচ্ছে করে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আমি বাড়িতে থাকতেই শুনেছিলাম আপনি সেখানে গিয়েছেন আপু। যদি দেখা হতো তাহলে হয়তো বেশি ভালো লাগতো।
সমুদ্রের পাড়ে সময় কাটালে মানুসিক শান্তি পাওয়া যায়। নিমিষেই মন ভালো হয়ে যায়। আপু আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আর মুহূর্তগুলো তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
একদম ঠিক বলেছেন আপু সেখানে বসে থাকতে ইচ্ছে করে।