কক্সবাজার ভ্রমণ [পর্ব:-৩০] ~ " সামশুন্নাহার আপুর বাসায় "

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

আমার বাংলা ব্লগ



আসসালামু আলাইকুম

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে এই ভ্রমণের অন্য পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে এর আরো একটি পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই ভ্রমণের সবগুলো পর্ব খুব ভালোভাবে গুছিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

এই ভ্রমণের পর্ব একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে যাচ্ছি৷ আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে আমি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ হয়তো @bristy1 আপু@nevlu123 ভাইয়া ওনাদের মাধ্যমে আমাকে ওনাদের পোস্টে অনেকেই দেখেছেন। তাই আজকে আমি আমার নিজের এই পোস্টের ত্রিশ তম পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি৷ আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আশা করি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে সবকিছু দেখানোর।

@samhunnahar আপুর বাসায়।


20240912_152635.jpg

20240912_152446.jpg

20240912_152503.jpg

Location


আজকে আমি আবার আপনাদের মাঝে এই ভ্রমণের আরো একটি পর্ব নিয়ে চলে আসলাম৷ আশা করি আজকের এই পর্বে আমি যা শেয়ার করার চেষ্টা করব সেটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে৷ এখানে আপনারা হয়তো টাইটেল এবং ছবিগুলো দেখেই বুঝতে পেরে গিয়েছেন যে আমি আপনাদের মাঝে কি শেয়ার করতে যাচ্ছি৷ আসলে এরকম মুহূর্তগুলো আমাদের সব সময় মনে থেকে যায়৷ আমরাও যখন এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছিলাম তখন আমাদের কাছে অনেকটাই ভালো লেগেছিল৷ এখানে আমরা খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম যা আমি আপনাদের মাঝে পূর্ববর্তী সময়েও শেয়ার করেছিলাম৷ তাই আজকে আবারো একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করলাম। আমি আমার গত পর্ব গুলোর মধ্যে শেয়ার করেছিলাম যে আমরা সবাই মিলে শামশুন্নাহার আপুর সাথে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ আজকের এই মুহূর্তটা একেবারে ভিন্ন ধরনের৷ আমরা যখন উনাদের সাথে প্রথমে দেখা করেছিলাম তখন ওনারা আমাদেরকে বলেছিলেন যে উনাদের বাসায় যাওয়ার জন্য৷ তবে আমাদের হাতে তেমন একটা সময় না থাকার কারণে আমরা বলেছিলাম যে চেষ্টা করব৷


20240912_152519.jpg

20240912_152536.jpg

Location


তবে তিনি কোনভাবেই কোন কিছু শুনতে রাজি ছিলেন না৷ তিনি বলছিলেন যে আসতে হবে মনে আসতেই হবে৷ তাই আমরা শেষদিন আমাদের কেনাকাটা শেষ করার পরবর্তী সময়ে চেষ্টা করলাম ওনাদের বাসায় যাওয়ার জন্য৷ তাই আমরা এদিক সেদিকের যে সকল ছোটখাটো কেনাকাটা গুলো ছিল সব কিছুই শেষ করে নিলাম৷ সকল কেনাকাটা শেষ করার পরে আমরা সবাই প্রস্তুতি নিলাম ওনাদের বাসায় যাওয়ার জন্য । আমরা অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করার কারণে আমরা অনেক সময় অতিবাহিত করে ফেলেছি। আমরা অনেক জায়গায় থেকে অনেক কিছু নেওয়ার কারণে আমরা অনেকটাই সময়ের অভাবে ছিলাম৷ যার ফলে ওনাদের বাসায় যাওয়ার কোন ধরনের প্রস্তুতিই ঠিকভাবে নিতে পারছিলাম না৷ তাই আমরা অতি তাড়াতাড়ি আমাদের সবগুলো কাজ সেরে নেওয়ার চেষ্টা করলাম৷ আমি গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম যে কিছু কাপড় কিনেছিলাম এবং সেই জামাগুলোর মধ্যে দুইটা ছিল রাইদা এবং আদিলার জন্য৷ এরপর আমরা সেগুলো নিয়ে বাসায় চলে আসলাম এবং বাসা থেকে তৈরি হয়ে গেলাম উনাদের বাসায় যাওয়ার জন্য৷


20240912_152557.jpg

20240912_152614.jpg

Location


এরপর আমরা চলে গেলাম আমাদের বাসার পাশের একটি মিষ্টির দোকানে৷ সেখানে গিয়ে আমরা অনেক কিছুই কেনাকাটা করে নিলাম৷ সেখান থেকে কিছু কেনাকাটা করার পরে আমরা বের হয়ে পড়লাম ওনাদের বাসায় যাওয়ার জন্য৷ ওনাদের বাসায় কিভাবে যেতে হবে সবকিছুই তিনি আমাদেরকে বলে দিয়েছিলেন৷ তাই আমাদের জন্য সবকিছুই একেবারে সহজ মনে হচ্ছিল৷ আমরা সেখান থেকে চলে গেলাম৷ যখন আমরা সবকিছু সেখান থেকে নিয়ে উনাদের বাসার দিকে রওনা দিচ্ছিলাম তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল৷ সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার এবং হ্যাংআউট চলছিল৷ আমি বাইরে হাঁটতে হাঁটতে হ্যাংআউট শুনছিলাম এয়ারপড লাগিয়ে৷ তখন কিছুই শোনা যাচ্ছিল না৷ চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ৷ এত বেশি মানুষ থাকার কারণে কিছু শোনা যাচ্ছিল না৷ এরপর আমরা চলে গেলাম উনাদের বাসায় এবং সেখানে ওনারা আমাদেরকে দেখে অনেকটাই খুশি হয়ে গেলেন৷ উনাদের এই খুশি দেখে আমার কাছেও অনেকটাই ভালো লেগেছিল৷ আসলে যখন কারো সাথে ভার্চুয়ালি কথাবার্তা হয় এবং সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠে যখন তাদের বাসায় গিয়ে সরাসরি দেখা করা যায়, তখন তার থেকে সুন্দর মুহূর্ত আর কিছু হতে পারে না৷ তাই আমরা সবাই মিলে সেখানে চলে গেলাম এবং সেখানে আমরা খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করলাম৷ সেখানে আমরা অনেক্ষণ অবস্থান করার পরে সেখানে অনেক ধরনের কথাবার্তা বললাম এবং সবার সাথে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করা শুরু করলাম৷ একইসাথে সেখানকার পরিবেশও খুবই সুন্দর ছিল৷ এরপর আমরা সেখানে রাতের বেলা আমাদের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বের হতে হতে রাত বারোটার কাছাকাছি এই বেজে গিয়েছিল৷ এরপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে পড়লাম আমাদের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে৷ এরপর আমরা বাসায় চলে আসলাম৷ এরপর আমরা সবাই রেস্ট নিয়ে নিলাম।



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিভ্রমণ
ফটোগ্রাফার@bijoy1
ডিভাইসSamsung Galaxy M34 5g
তারিখ১১.১১.২০২৪
লোকেশনফেনী,বাংলাদেশ

আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।

পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমি কে?

1712822983325.jpg

🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 months ago 

আপনার প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আমাকে এভাবে সাপোর্ট করে পাশে থাকার জন্য।

 5 months ago 

দেখতে দেখতে আমরা আপনার কক্সবাজার ভ্রমণের ৩০ তম পূর্বে চলে আসলাম। আর এই পর্বে চমৎকার একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন। শামসুন্নাহার আপুর বাসায় যাওয়ার অনুভূতি। যেটা খুবই আনন্দনীয়। আপনাদের এত ব্যস্ততার পরেও আপনারা আপুর বাসায় গিয়েছিলেন এটা শুনে বেশ ভালো লাগলো। যাই হোক শামসুন্নাহার আপুর বাসায় যাওয়ার অনুভূতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 5 months ago 

চেষ্টা করেছি সবগুলো মুহুর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করার৷ ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

শামসুন্নাহার আপুর বাসায় গেলেন সবাই।এজন্য বেশ কিছু কেনাকাটা করলেন।একে অপরের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে সেটা সত্যি অনেক ভালো লাগে।বিশেষ করে কমিউনিটির ইউজারদের সাথে,ধন্যবাদ।

 5 months ago 

একদম ঠিক বলেছেন। সেই সম্পর্কের টানে আমরা ওনাদের বাসায় চলে গেলাম।

 5 months ago 

বাহ তুমি তো খুব সুন্দর করে বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরলেন। অনেক ভালো লাগলো তোমার পোস্ট পড়ে এবং খুব সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করলেন। আসলে সেই দিনের মুহূর্তটি খুবই সুন্দর ছিল অনেক ভালো লাগছিল সবাইকে একসাথে দেখতে পেয়ে। তবে এত ব্যস্ততার মাঝে কিছু খাওয়াতে পারি নাই তা আমার কাছে খুবই দুঃখের বিষয় ছিল। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে বিষয়টি বিস্তারিত শেয়ার করার জন্য।